বিশ্বখ্যাত দানশীল
প্রিন্স আগা খান চতুর্থ আর নেই
বিশ্বখ্যাত দানশীল ও শিয়া ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ইমাম প্রিন্স করিম আল হুসেইনি (আগা খান চতুর্থ ) ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশ পর্তুগালের লিসবনে তার জীবনাবসন হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
তার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (একেডিএন) এক বিবৃতিতে এমন খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম পুরুষানুক্রমিক ইমাম। ১৯৩৬ সালে সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। দানশীলতার জন্য তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বহু হাসপাতাল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি।
বিশ্বের ৩৫টি দেশে অবস্থানরত প্রায় দেড় কোটি ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ইমাম ছিলেন তিনি। ১৯৫৭ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তার দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন আগা খান।
আরো পড়ুন:পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা নিয়ে লেখাপড়া করেন তিনি। একই বছর ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে বংশগত নয় এমন ‘হিজ হাইনেস’ খেতাব দিয়েছেন।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার প্রয়াত মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আগা খান। বিবিসির খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধুর এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত রাজা চার্লস। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগা খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন প্রিন্স আগা খান। বাহামাসে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, একটি সুপার-ইয়ট এবং ব্যক্তিগত বিমান ছিল তার। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তার সম্পদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল ব্যবসা, বিশেষ করে ঘোড়া পালন ও রেসিং শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে।
কেন একটি প্রজন্মকে বাদ দিয়ে তাকে ইমাম করা হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে তার দাদা সুলতান মোহাম্মদ শাহ অছিয়তনামায় লিখেছেন, ওইসময়ে বিশ্বে একটা মৌলিক পরিবর্তন এসেছিল। বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞানের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছিল। যে কারণে তখন একজন তরুণ নেতার প্রয়োজন ছিল, যিনি নতুন একটি যুগে বেড়ে উঠেছেন এবং নিজেকে বিকশিত করেছেন। তিনি তার অফিসে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারবেন।
আরো পড়ুন:পর্তুগালে দাবানলে নিহত ৭
৩০৪ দিন আগে