ধানমণ্ডি ৩২
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত: ঢাকা
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত। এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ঢাকা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ‘অপ্রত্যাশিত’ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করছেন, যা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
রফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বক্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বক্তব্য প্রদান অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে নানা ধরনের বিরুপ পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখেছি। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য প্রদান করে না। অন্যদের কাছ থেকেও বাংলাদেশ একই ধরনের আচরণ আশা করে।
এর আগে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের এই ঘটনার অবশ্যই নিন্দা জানানো উচিৎ।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দখলদারত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনটি ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ধ্বংস করা হয়, যা দুঃখজনক। বাঙালির পরিচয় গড়ে দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্য যারা দেন এবং এ নিয়ে যারা গর্ববোধ করেন, তাদের প্রত্যেকেই এই বাসভবনের গুরুত্ব বোঝেন।’
এরপর এই হামলায় ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বলে, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা, বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় ভারতের কাছে তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেয়। ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলবের এক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে দিল্লি।
৩৫ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২: চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড়
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড় কমেনি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙন এখনও চলছে। তবে এবার বহিরাগতরা এসে ভাঙা ভবন থেকে ব্যবহার্য ইট, লোহা খুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত।
দেখা যায়, ফুটপাতে বিশাল আকৃতির কন্টেইনার ভাঙছেন কয়েকজন। ঝালাই করে বড় বড় লোহার পাত খুলে নেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য।
গত বুধবার ভাঙন শুরুর পর থেকেই চলছে ইট, পাথর, লোহাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুটপাট। প্রথম দিকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও এখন জায়গাটি একেবারে উন্মুক্ত। ফলে অবশিষ্ট যা কিছু আছে, অনায়াসে তা নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।
৩২ নম্বরে আসা অনেকেই জানান, এখানে কী হয়েছে, এখনও কী চলছে—তা দেখতে এসেছি। কেউ কেউ আবার স্মৃতি হিসেবে রাখতে ছবি তুলতে এসেছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
৩৬ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২: সরঞ্জাম লুটতে ব্যস্ত অনেকে, কেউ করছে চুরি
শেখ মুজিবুর রহমানে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গতকাল (বুধবার) রাতে শুরু হওয়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কর্মকাণ্ড এখনও চলছে। তবে বৃহস্পতিবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লুটপাট।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভিড় একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। এর মধ্যেই কেউ কেউ ইট, লোহার জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমনই একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুলছি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করব বলে।’
এ সময় ইট হাতে চলে যেতে দেখা যায় অনেককে। ইট সংগ্রহ করতে ভাঙনের কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। আরও দেখা যায়, একটি পোড়া গাড়ি ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
আগুনে দেওয়াল পুড়ছে, তবু তারা লোহা ও বিক্রয়যোগ্য যা কিছু আছে, লুট করতে ব্যস্ত।
মাইকিং করে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সবাইকে সরে আসতে বললেও অনেকেই পরোয়া করছেন না।
এর মধ্যে সেখানে আবার খাবারের দোকান বসিয়েছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
হায়দার আলী নামে এক দই বিক্রেতা বলেন, ‘আজকেই এখানে প্রথম আসছি। আগে টাউনহলে বিক্রি করতাম। এখানে ভাঙচুরের জন্য মানুষ বেশি, তাই বিক্রিও বেশি হচ্ছে।’
শুধু দই নয়, এই ঘটনা ঘিরে গড়ে ওঠা অন্য খাবারের দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ করা গেছে।
৩০ টাকা দরে স্যান্ডউইচ বিক্রি করছেন শফিকুর রহমান। আজই প্রথম এসেছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যদিন আসব কী করতে? এত মানুষ এখানে আছে বলেই আজ এসেছি।’
অনেকে শুধু দেখতে এসেছেন। কেউ বলছেন, ছবি তুলতে এসেছেন।
লুটপাটের মাঝে কেউ কেউ চুরি, পকেটমারিও করছে। সব মিলিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল ধানমণ্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিতে।
৩৮ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
গত ছয় মাসে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি জানিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে তার একটি হচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদের অপমান, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা করেছেন।
দ্বিতীয়টি, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালে যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি-৩২’র ঘটনায় একটি মহলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে: হাফিজউদ্দিন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে—এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কার্যক্রম নিয়ে নয়া দিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
৩৮ দিন আগে
আগুন ও বুলডোজারে খসে পড়ছে ধনমণ্ডির ৩২ নম্বর ভবন
বুলডোজারের আঘাতে খসে পড়ছে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়। এরআগে রাত ৯টার দিকে ভবনটির তৃতীয় তলায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টায় প্রথমে বাড়ির সামনে একটি ক্রেন নেওয়া হয়েছে। পরে আরেকটি বুলডোজার আনা হয়। বাড়ির একপাশে আগুন জ্বলছে।
ক্রেন নিয়ে যাওয়া হলে উৎস্যুক জনতাকে ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ সময়ে‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রদের। কেউ কেউ শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়েও স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এমন এক দিনে এই ঘটনাপ্রবাহ চলছে, যেদিন গণ আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ছয় মাস পূর্ণ হল।
বুধবার রাত ৮টার পর থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়িটির সামনে জড়ো হতে থাকেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে জনতা। লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে যোগ দেন অনেকে।আরও পড়ুন: ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
শেখ মুজিবুর রহমান তার এই বাসভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগের দিনগুলোতে দিকনির্দেশনা দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী–পুত্র, পুত্রবধূসহ আত্মীয়দের হত্যা করা হয়েছিল এখানে। এই বাড়িটিকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
৩৮ দিন আগে
ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে গেট দিয়ে বাড়ি ভাঙতে ভাঙতে ক্রেনটি ভেতরে প্রবেশ করেছে।
এরআগে রাত সাড়ে ১০টায় ক্রেন বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময়ে উৎস্যুক জনতাকে ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ সময়ে‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রদের।
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
৩৮ দিন আগে
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে ক্রেন
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ক্রেন সামনে ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ছাত্র-জনতা সেখানে ক্রেনটি নিয়ে গেছেন। এ সময়ে উৎস্যুক জনতাকে ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
তবে রাত ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ক্রেন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেনি। এ সময়ে‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রদের। ক্রেনটি এখন বাড়ির সামনে অবস্থান করছে।
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
রাত ৮টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানমন্ডিতে গিয়ে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে প্রথমে ফটক ভেঙে ফেলা হয়। পরে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভবনের তৃতীয় তলার একটি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়িটির দেয়াল ভাঙতে শুরু করা হয়েছে।
৩৯ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২-এর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
গেট ভেঙে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালাচ্ছে বিক্ষুব্ধরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অনলাইন ভাষণের প্রতিবাদে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে মিছিল করার ঘোষণা দেয় বিক্ষুব্ধরা।
ঘোষণা অনুযায়ী রাত ৯টায় বুলডজার নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলেও বিক্ষুব্ধরা কর্মসূচি পাল্টে রাত ৮টার মধ্যে মিছিল নিয়ে বত্রিশ নম্বরে পৌঁছে যায় এবং বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে।
এ সময় বিক্ষুব্ধরা বলেন, ৩২ নম্বরের এই বাড়ি স্বৈরাচার আর ফ্যাসিবাদের প্রথম প্রতীক। এই বাড়িকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। দেশে মুজিববাদ বলে কিছু থাকবে না। ফ্যাসিজমের কোনো চিহ্ন থাকবে না।
এ সময় তারা শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দেয়। অনেকেই বাড়ির দোতালায় উঠে ভাঙচুর চালায় এবং হাতুড়ি, শাবল ও কাঠ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বাড়ির অন্যান্য অংশ ভাঙচুর করে।
৩৯ দিন আগে