অপারেশন ডেভিল হান্ট
অপারেশন ডেভিল হান্ট: খুলনায় আটক ১৮
অপারেশন ডেভিল হান্টে খুলনা মহানগরীতে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- আড়ংঘাটা গাইকুড় ঝাউতলার মো. রানা চৌধুরী (৩৯), নগরীর বাগমারা এলাকার রফিকুল ইসলাম পলাশ (৪০), নগরীর হাজী মহাসিন রোডের বেল্লাল হোসেন (৬০), নগরীর মিয়াপাড়া এলাকার হাবিবুবর রহমান মিনা (৭৫) ও লতিফুন্নেছা (৬৫), নগরীর রুপসাঘাট এলাকার মো. রেজাউল করিম, বানিয়াখামার এলাকার মো. রফিক (৩৮), লবণচরা সাচিবুনিয়া সরদার বাড়ি এলাকার নারায়ন চন্দ্র সরকার (৬০), বয়রা বাজার এলাকার শেখ আরিফউল্লাহ (৬০), শেখপাড়া লোহাপট্টি এলাকার মো. এস. এম. পান্না সরদার (৩৭), দৌলতপুর আঞ্জুমান রোডের মো. সোহাগ ফরাজী (৩২), আঞ্জুমান রোডের মো. শুকুর আলী (২৬), নগরীর মোহাম্মদনগর তকিম সড়কের মারুফ আহম্মেদ সুজন (২২), আড়ংঘাটা গাইকুড়ের মো. সোহাগ শেখ (৪২), শিরোমণি পশ্চিম পাড়ার শেখ সামছুর রহমান (৫০), খালিশপুর নিউজপ্রিন্ট গেটের মোস্তফা শিকদার মোস্ত বাউল (৫৩), খালিশপুর পিপলস কলোনীর মরিয়ম বেগম (৫২) ও আলতাপগোল লেনের সোহাগ দেওয়ান (৪১)।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: সিলেটে আটক আরও ১৩
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) আহসান হাবিব জানান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। খুলনা মহানগরীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত কুখ্যাত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
৩৬ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: সিলেটে আটক আরও ১৩
সিলেটে চলমান ডেভিল হান্ট অপারেশনে আরও ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক আসামিরা হলেন- সিলেটের জালালাবাদ থানার সাহেবেরগাও, টুকেরবাজরের আকমল হোসেন (৪২), শাহপরান থানার সাদাটিকর নয়াগাঁও এলাকার সাহান আহমদ (৩৭), সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি বিমানবন্দর থানার সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার মো. জসিম উদ্দিন তালুকদার (৪৬), যুবলীগের কর্মী তেররতন শাহজালাল উপশহর এলাকার অন্তর খান (২৫), একই এলাকার মো. ফুল মিয়া (৪৫), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ওসমানীনগরের নূরপুর এলাকার আমির উদ্দিন (৩০), একই এলাকার কামরুল ইসলাম কালু (২৭), দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিলেট জেলার সভাপতি মোগলাবাজার থানার তুরুকখলা এলাকার মো. আকমল আলী (৫২), আওয়ামী লীগ কর্মী সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার মঞ্জুরুল ইসলাম শিপলু (৩৫), সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের ভাগিনা এবং বিশ্বনাথ থানার অলংকারী ইউনিয়নের সক্রিয় যুবলীগ কর্মী হইদরপুর গ্রামের কসুদ মিয়া চৌধুরী লিপন (৩৮), গোয়াইনঘাটের ৬ নম্বর ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফতেহপুর ৫ম খন্ড এলাকার আব্দুল্লাহ আল রহমান (৪০), কানাইঘাটের খালেরপাড় এলাকার সৈয়দ গোলাম আলী (৫০) এবং সিলেট নগরীর কতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল (৪২)।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: খাগড়াছড়িতে আটক ১১
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩৬ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: খাগড়াছড়িতে আটক ১১
অপারেশন ডেভিল হান্টে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মানিকছড়ি ও উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে গত ৪ দিনে খাগড়াছড়ি জেলায় ৫৮ জনকে আটক করা হলো।
আটকরা হলেন— ছাত্রলীগের গুইমারা উপজেলা সহসভাপতি মো. মহসিন প্রকাশ হৃদয়, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহব্বত আলী শেখ, মানিকছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, খাগড়াছড়ি পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাহাবুল ইসলাম রাহুল, ছাত্রলীগ কর্মী মো. বেলাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মহালছড়িতে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ লাল মিয়া, পানছড়িতে যুবলীগ নেতা মো. আক্তার হোসেন, মাটিরাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধালীগের সাধারন সম্পাদক জাফর উল্যাহ, ছাত্রলীগ নেতা মো. রাসেল ও দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর হোসেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পিকনিকের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল বেলেন, ‘জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীদের আটকে পুলিশ দিন-রাত অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।’
৩৭ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে; কিন্তু তাদের দোসররা দেশে বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী এসব অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্টে নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও সুপ্রিমকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপারেশন ডেভিল হান্টের সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের মাধ্যমে অপারেশন ডেভিল হান্টের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনায় সমন্বয় করছেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় এসকল অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি। তারা আইনশৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রের এমন কোনো কাঠামো নেই যেটা ধ্বংস করেনি। আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশ—রাষ্ট্রের এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবেন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, পুলিশ ও আদালত ফাংশনাল হলে মবতন্ত্র কমে যাবে। মানুষ দেখতে চায় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করছে তথা রাষ্ট্রের প্রকৃত অস্তিত্ব রয়েছে।
তিনি এসময় বিচারকদের হুটহাট করে জামিন না দেওয়া এবং জামিনের যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত না করার আহ্বান জানান।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শতশত গুম ও হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কাঠামোকে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়।আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ টার্গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষকে মুক্তি দেওয়া তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছে। সেজন্য পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ নানা সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
‘মৌলিক মানবাধিকার নীতিকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে এবং আদালতকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হবে।’
কর্মশালায় ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির সব ম্যাজিস্ট্রেট, সব পাবলিক প্রসিকিউটর, ঢাকা ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সব জোনাল উপপুলিশ কমিশনার ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
৪০ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্টে নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপারেশন ডেভিল হান্টে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সেজন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে রাঘবোয়াল চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না। যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি। যতোদিন ডেভিল মুক্ত না হবে ততদিন অপারেশন চলবে। এজন্য কমিটি আছে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় থাকবে, কারণ ছোলা, খেজুরের সরবরাহ ভালো। দেশে সারের কোনো সংকট নাই, কিছু ডিলার শয়তানি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। রমজানে আমাদের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ বাইরের দেশে রমজানে দ্রব্যমূল্য কমে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ টার্গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সঠিক সংবাদ প্রকাশ করা জন্য ভারত এখন আর আগের মতো মিথ্যা সংবাদ করে না।’
সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের ভূমিকায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে খুশি, তবে আইন যেন কেউ হাতে তুলে না নেয়।’
মতবিনিময় সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রাজশাহীতে দায়িত্বরত সেনা, বিজিবি, র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪১ দিন আগে
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা প্রতিরোধে অপারেশন ডেভিল হান্ট: সিনিয়র সচিব
দেশকে যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারেন, সে জন্যই অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা যাতে না থাকে সে জন্যই, যাতে মানুষের মনকে উদ্বেলিত না করে, সে জন্যই এই প্রচেষ্টা। এটি পুলিশের পদক্ষেপ।’
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের ছয় মাস পার হলেও মানুষ পুলিশের কাছে নিরাপত্তা পাচ্ছেন না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি একমত। এটা বলা মুসিবত। যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে, সেখানে পরাজিত শক্তিকে কেউ রাখে না, আমরা অতটা মানবিক হতে পারিনি। আমরা তাদের সংস্কার করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ১ সিনিয়র সচিবসহ ২ সচিব ওএসডি, ২ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
‘আমরা বুঝতে পারি, কিছু লোককে জবরদস্তিমূলকভাবে করানো হয়েছে, কিছু লোক ভয়ে করেছেন, কিছু যারা ডাইহার্ট (গোঁড়া) ছিল, তারা পালিয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু একটি বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে, তাদের গড়ে তোলা দরকার। আবার আগে যে অরিয়েন্টেশন ছিল, সেটা থেকে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে,’ বলেন এই সিনিয়র সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘মাসছয়েক আগে দেশে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণেই সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মনোবল ক্ষুণ্ণ হয়ছে। মানসিক দুর্বলতা এসেছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়েছে। কাজেই বেসামরিক বাহিনীকে সমর্থন দিতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
‘এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। তার একটি হচ্ছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট। এখানে যৌথভাবে সবাই একটি ফোকাসড ওয়েতে (কেন্দ্রিভূতভাবে) কিছু কাজ করছে। দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটাকে আমরা নিউট্রালাইজড (নিঃশ্বেষ) করবো। সে জন্য আমরা আইনানুগভাবে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা নেওয়া হবে। আর এ জন্য সব বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে, ব্রিফ করা হয়েছে। কাজও চলমান রয়েছে। আজও করেছি। আগামীতেও চলতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা পাচ্ছে না সরকার: সিনিয়র সচিব
নাসিমুল গনি বলেন, ‘আগে যেভাবে আইন প্রয়োগ করা হতো, আমরা সেই পথে হাঁটতে পারবো না। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইনের স্পিরিট নিয়ে কাজ করতে হবে। সে জন্য আমরা চেষ্টা করেছি যে আইন প্রয়োগের সাথে যারা জড়িত, তাদের সবার (পুলিশ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রসিকিউটর) সাথে বসবো। কীভাবে আমরা সুষ্ঠুভাবে আইন প্রয়োগ করবো? মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা করে এটা করতে হবে। মানবাধিকার কেন? কারণ মানবাধিকারের কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।’
‘আমরা চাই, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যাতে একটা ভালো ভবিষ্যত রেখে যেতে পারি, আমাদের সিস্টেমের মধ্যে যেন গুড প্র্যাকটিস আমরা রেখে যেতে পারি। আর কোথাও যাতে আয়নাঘর তৈরি না হয়। আমাদের সিস্টেমে যারা কাজ করবেন, তারা যাতে উপযুক্তভাবে কাজ করতে পারেন। এসব প্রয়াসের মধ্যে একটি হচ্ছে এই অভিযান,’ বলেন তিনি।
৪২ দিন আগে
আজ থেকে গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুরসহ সারা দেশে আজ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে যৌথ বাহিনী। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে সহিংস ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির
সভাসূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হবে। আজ শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু হবে।
এ বিষয়ে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে গাজীপুরে মারধরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
৪৩ দিন আগে