নাস্তা
ধীরেসুস্থে খাবার না খেয়ে বিপদ টানছেন নাতো?
আপনি কি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিটের কম সময়ে আপনার সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার খেয়ে নিচ্ছেন? তাহলে সাবধান! আপনি যদি অতিদ্রুত খাবার গ্রহণ করেন—তাহলে বিপদ জেঁকে বসতে পারে আপনার শরীরে।
একজন মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যতটা প্রয়োজন, ধীরে ধীরে খাওয়া ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচুর শাকসবজি-ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি সময় নিয়ে চিবিয়ে-চিবিয়ে খাওয়াটাও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দ্রুত খাবার খেলে সেটি গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি কতটুকু খাবার গ্রহণ করা হবে, সে বিষয়ে মস্তিষ্ক মানুষকে সঠিক সময়ে সতর্ক করতে পারে না। ফলে বেশি খেয়ে শরীরের মেদ বাড়ানোর কাজ সহজ হয়।
শুধু কি তাই, রাঁধুনীর কয়েকঘণ্টা ধরে রান্না করা খাবার সামান্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই যদি শেষ করে দেওয়া হয়, তিনি মনে কষ্টও পেতে পারেন। আবার ধীরে ধীরে খাবার খান—এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে খেতে বসে যদি আরেকজন নিমিষেই তার খাবার শেষ করে ফেলেন—সেটিও দৃষ্টিকটু।
তবে কারও ভালো লাগলো কি খারাপ সেই পরোয়া না করলেও নিজের সুস্বাস্থ্যের স্বার্থে প্রতিটি মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: অফিসে কাজের ফাঁকে হালকা ক্ষুধা মেটাতে পুষ্টিকর শুকনো খাবার
কত কম সময়ে খেলে সেটি ‘অতিদ্রুত’ হবে?
২০ থেকে ৩০ মিনিটের কম সময়ে যদি কোনো ব্যক্তি তার সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার খেয়ে নেন—তাহলে ওই ব্যক্তি অতিদ্রুত খাবার গ্রহণ করছেন—এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের সেন্টার ফর বিহেভিয়রাল হেলথের বিশেষজ্ঞ লেসলি হেইনবার্গ বলেন, ‘পেট ভরে গেছে’ পাকস্থলী থেকে হরমোনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে —এমন সংকেত পৌঁছাতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে।’
তাই যারা দ্রুত খাবার খান, তাদের এই সংকেত না পাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে। ফলে পেট ভরে যাওয়ার পরও অনেকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করেন বলে মত দেন তিনি।
অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নিলে ক্ষতি কী?
অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, দুমুঠো ভাত না হয় বেশিই খেয়েছেন কিংবা দুটো বেশি রুটি; তাতে কি এমন হয়েছে? এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অবশ্যই এতে সমস্যা আছে।
লেসলি বলেন, ‘দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত বাতাস গিলে ফেলতে পারে মানুষ। এতে পেট ফাঁপ দিতে পারে কিংবা বদহজম হতে পারে। আবার সময় নিয়ে ঠিকমতো খাবার চিবিয়ে না খেলে হজমেও সমস্যা হতে পারে। এতে খাবারের পুষ্টি ঠিকমতো শোষিত হয় না—এমনকি খাবারের অপর্যাপ্ত টুকরোগুলো খাদ্যনালীতে আটকেও যেতে পারে।’
বিগত সময়ে পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ দ্রুত খাবার খান, তাদের মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অন্যদিকে যারা ধীরে খাদ্য গ্রহণ করেন, তাদের এই ঝুকিঁ কম।
তাহলে খাবার খাওয়ার গতি কমাবেন কীভাবে?
দ্রুত খাবার খাওয়া যাদের অভ্যাস, এই সংবাদ পড়ে তাদের কপালে ভাঁজ পড়তে পারে। তবে চিন্তার কারণ নেই, বিশেষজ্ঞরা সমস্যার পাশাপাশি সমাধানও বাতলে দিয়েছেন। খাওয়ার গতি কম করতে খাবার গ্রহণের সময়ে প্রথমেই টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ লেসলি।
লেসলি বলেন,‘টিভি দেখতে দেখতে যারা খাবার খান, তারা সাধারণত কোনো একটি বিজ্ঞাপন বা একটি শো শেষ করা পর্যন্ত খেতে থাকেন। ফলে মস্তিষ্ক কখন পেট ভরে যাওয়ার সংকেত দিয়েছে, তা খেয়াল করতে পারেন না অনেকে।’
২১ দিন আগে
ভালোবাসা দিবস ২০২৫: ভ্যালেন্টাইনস ডেতে মুক্তি পাচ্ছে যেসব নাটক
২০২৫ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও সাজ সাজ রবে মুখরিত বিনোদন পাড়া। ফেব্রুয়ারি মাস শুরুর পর থেকেই নাটকপ্রেমিরা রীতিমত মুখিয়ে রয়েছে ছোট পর্দার বর্ণীল আয়োজন দেখার জন্য। অনেকে বসে পড়েছেন প্রিয় তারকার নাটকগুলো আলাদা করে লিস্ট করার। এই উদ্দীপনার খোরাক যোগাতে নির্মাতারাও টিজার, ট্রেলার ও ফার্স্ট লুকের সয়লাব তুলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। বরাবরের মতো দর্শকদের প্রত্যাশিত দৃষ্টি থাকছে ইউটিউব চ্যানেলগুলোর প্রতি। চলুন, দেখে নেওয়া যাক- এবারের ভ্যালেন্টাইন উৎসবের কোন নাটকগুলো দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।
ভালোবাসা দিবস ২০২৫-এর যে ১০টি নাটক ব্যাপক সাড়া ফেলতে পারে
.
মন-দুয়ারী
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবার জুটি বাধতে চলেছেন সময়ের নতুন দর্শকনন্দিত মুখ নাজনীন নাহার নিহার সঙ্গে। দেশের সফল নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিনের পরিচালনায় এই জুটিকে দেখা যাবে সুখ-দুঃখ মিশ্রিত একটি পারিবারিক গল্পে।
নিউইয়র্ক প্রবাসী অপূর্ব দেশে ফিরে তার দাদীকে নিউইয়র্ক নিয়ে যেতে চাইলে বাধা হয়ে দাড়ায় পরিবারের লোকজন। এ সময় অপূর্বর পরিচয় হয় নিহার সঙ্গে। এই পরিচয় ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। একই সঙ্গে এই অদ্ভূত মেয়েটির সংস্পর্শে পরিবার নিয়ে অপূর্বর মনের সব প্রতিবন্ধকতা কেটে যেতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: সঙ্গীতের সেরা পুরস্কার বিজয়ীরা
‘মন-দুয়ারী’ শিরোনামের এই নাটকের গল্প লিখেছেন নাসির খান ও পরিচালক নিজে।
অপূর্ব-নিহা জুটি ছাড়াও নাটকের বিভিন্ন ভূমিকায় রয়েছেন দিলারা জামান, আমিনুর রহমান বাচ্চু, শারমীন সুলতানা শর্মী, শফিউল আলম বাবু, মিলি মুন্সী ও রাইসা।
সঙ্গীত নির্ভর নাটকের গানগুলোতে কথা দিয়েছেন সোমেশ্বর ওলী ও মেহেদী হাসান লিমন এবং সুর করেছেন সাজিদ সরকার ও সজিব দাশ। কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কণা, অবন্তি সিঁথি, মাহতিম সাকিব, রেহান রাসুল, ও নাজির মাহমুদ।
কালার গ্রেডিংসহ সার্বিক সম্পাদনায় ছিলেন রাশেদ রাব্বি। সেন্ট্রাল মিউজিক অ্যান্ড ভিডিও (সিএমভি)-এর ব্যানারে নাটকের প্রযোজনা করেছেন শেখ শাহেদ আলী পাপ্পু।
আরো পড়ুন: কবে আসছে ‘স্কুইড গেম: সিজন ৩’?
বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০
৪ বছর পর নিজেদের সেরা ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আবার ফিরছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও ফারহান আহমেদ জোভান। চতুর্থ সংস্করণ হলেও পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরী নাটকের শিরোনাম দিয়েছেন বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০।
সিরিজটির প্রথম নাটক মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে, যেটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিশেষ করে এর ‘অভিযোগ’ গানটি দর্শকদের মনে গেঁথে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ ও ২০২১ সালে নাটকের আরও দুটি সিক্যুয়াল বের হয়। সেই শেষবার জোভান-মেহজাবীন জুটিকে দেখেছিল দর্শক। এতদিন বাদে সেই নস্টালজিয়ায় আবারও প্রাণবন্ত হবে বন্ধুত্ব ও ভালবাসার গল্প।
নাটকটি উপভোগের জন্য চোখ রাখতে হবে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে।
বসন্ত বৌরি
অভিনেত্রী তানজিন তিশার সঙ্গে উদীয়মান তারকা খায়রুল বাশারের জুটিটি দর্শকদের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আসছে ভালবাসা দিবসে আবারও এই জুটির কাজ দেখতে পাবেন দর্শকরা।
মিশুক মিঠুর নির্দেশনায় ‘বসন্ত বৌরি’ নাটকটিতে রাশভারী রোমান্টিক গল্পের অবতারণা করবেন এই দুই মেধাবী অভিনয়শিল্পী। গল্পের লেখনীতে ছিলেন জাহান সুলতানা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ২০২৫: দর্শক মাতাতে মুক্তির মিছিলে যেসব ঢালিউড সিনেমা
অন্যান্য সহ-অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সমু চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, মিলি বাশার, আব্দুল্লাহ রানা এবং মুহিত তমাল।
কেএস ফিলম্স প্রযোজিত নাটকটির সঙ্গতে ছিলেন জাহিদ নীরব এবং সম্পাদনা ও রঙ বিন্যাসে ময়ুখ বারী।
তোমায় পাবো কি?
এই নাটকটির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রুদ্র ও চিত্রা। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। একজন গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রুদ্র। সংগ্রামের সময়গুলোতে চিত্রা সর্বদা পাশে থেকে রুদ্রকে সাহস দেয়। কিন্তু পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সময় চিত্রার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের চাপ আসে। রুদ্রর কথা জানালে তারা কিছুতেই সম্মতি দেয় না। অন্যদিকে রুদ্রও প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করতে নারাজ। এমন উভয় সঙ্কটে পড়ে কষ্ট নিয়ে চিত্রা অস্ট্রেলিয়া চলে যায়।
পোস্ট-গ্রাজুয়েশনের পর দেশে ফিরে এসে চিত্রা রুদ্রের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে। কিন্তু তখনও সে জানে না যে, রুদ্র এখন অনেক বড় সঙ্গীতশিল্পী হয়ে গেছে। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পায় না। মাঝের বিশাল এক সময় তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ হয়নি। আদৌ কি তাদের মধ্যে ফের দেখা হবে? এর উত্তর জানতে দেখতে হবে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ প্রযোজিত এই নাটকটি।
আরো পড়ুন: মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
রুদ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, আর চিত্রার ভূমিকায় তানজিম সাইয়ারা তটিনী।
সম্পাদনা ও রঙ বিন্যাসে ছিলেন রাশেদ রাব্বি ও আবহ সঙ্গীতে শুভ্র রাহা। গিগাবাইটের ব্যানারে নাটকটি সম্প্রচারিত হবে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে।
৭৯ দিন আগে