পরিচ্ছন্নতা
ঈদে ঢাকার পরিচ্ছন্নতায় দুই সিটিকে সহযোগিতার অঙ্গীকার ইশরাকের
হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ নেওয়ার আইনি পথ সুগম হয়েছে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের। এরপরই নগরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে নিজেকে ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইশরাক। সেইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল আজহায় ডিএনসিসির পাশাপাশি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতায়ও সহযোগীতার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেছেন, শপথ কেবল একটি ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা)। জনতার মেয়র হিসেবে আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে, তার ওপর আমার দায়িত্ব বর্তায়।
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব।… বিকালের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়) একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: কাকরাইলের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করলেন ইশরাক
ইশরাক জানান, দক্ষিণ সিটিতে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের অনুমোদন দেওয়া হবে। নিজেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তিনি।
ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে পিন করে রাখা একটি কমেন্টে আগামী সিটি নির্বাচনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
সেখানে লিখেছেন, টানা ১০ বছর বিএনপি গ্রেটার (বৃহত্তর) ঢাকা চালিয়েছে। ৯০টির মধ্যে ৭০টির বেশি ওয়ার্ড কমিশনার আমাদের (বিএনপির) ছিল। এখন অনেকে মারা গিয়েছেন কিন্তু একাধিক বিকল্প প্রার্থী আছেন। তাদের কাজে লাগিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে ঢাকা সিটির জন্যে প্রাথী বাছাই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিকেলে এ সংক্রান্ত আদেশ প্রকাশ হয়। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন। পরবর্তীতে নির্বাচনি ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তৎকালীন ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়।
১৯৬ দিন আগে
ধানমন্ডিতে ডিএসসিসির মশা নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধন অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ধানমন্ডি সোসাইটি এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন ও ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি এলাকাকে ৭টি জোনে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ২৯ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান
এ সময় মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিএসসিসি ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
‘ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে।’
২২৪ দিন আগে
সেন্টমার্টিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)—
পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ২০০ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এতে অংশ নিয়েছেন।
চলমান এ অভিযান আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ও আগামীকাল চলবে। এছাড়াও, গত দুই মাসে সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সও দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত দুমাসে বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রদূষণরোধে জাহাজ ঘাট থেকে ২৪১ কেজি প্লাস্টিক ও ৮৭ কেজি পলিথিন সংগ্রহ করা হয়।
প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে ১৪.৩ মেট্রিক টন এবং কক্সবাজারে ৬৭.৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক অপসারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটকের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৬৯৪ জন পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে কয়েকটি জাহাজকে সতর্ক করা হয় এবং দুইটি জাহাজকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পর্যটক ও স্থানীয়দের সচেতন করতে দ্বীপে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। সৈকতের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তায় বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির (বিএমসি) অধীনে ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৬ জন লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একযোগে কাজ করবে।
২৯৫ দিন আগে