বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলা
বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপি নেতা ও তার সমর্থকের হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাশেদুল (২৭) ওই উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য।
অভিযোগ রয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা বাজারে রাশেদুলের ওপর হামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার সমর্থকরা। রাশেদুলের মৃত্যুর খবর শুনে বিএনপি নেতা হান্নান ও তার সহযোগীদের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেছেন ক্ষুদ্ধ বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
বগুড়া সদর থানার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হারুনার রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাশেদুলের ওপর হামলার কারণ সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসী তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান। অপর দুটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েল।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতের শিকার কিশোরীর মৃত্যু, হামলাকারী গ্রেপ্তার
বিএনপি নেতা আলী হাসান নারুন বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদ মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় বাটালুর (হান্নান) নেতৃত্বে তার কর্মীরা ধাওয়া করে। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে রেখে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবি বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই জের ধরে রাশেদ নামের একজনকে মারধর করা হয়। শুক্রবার রাশেদ মারা গেলে তার পক্ষের লোকজন বাটালু (হান্নান) ও তার লোকজনের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেন। এর আগেই বাটালু ও তার লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। রাশেদুল মারা যাওয়ার খবরে পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেননি।
৫৫ দিন আগে