মা-মেয়ে
চাঁদপুরে ঘুমন্ত মা-মেয়ের উপর এসিড নিক্ষেপ, আটক ১
চাঁদপুরে মতলব উত্তরে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া এসিডে ঝলসে গেছে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মা ও মেয়ের শরীর। এদের মধ্যে মেয়ে মিলি আক্তারের অবস্থা গুরুতর। মিলি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
রবিবার রাত ১১টায় উপজেলার সুজাতপুর এলাকায় এ র্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্বজনরা তাদের দুইজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
মিলির স্বামী মোহাম্মদ সায়েম বিদেশে থাকেন।
আরও পড়ুন: নেশার টাকার না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, এলাকার এক যুবক মিলিকে বিয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিয়ের পর মিলি আক্তার স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করতেন। এরমধ্যে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এলে রবিবার রাতে এসিড নিক্ষেপের শিকার হন মিলি ও তার মা।
এসিডদগ্ধদের স্বজন সাকিব হাসান জানান, রাতে মা ও মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় কে বা কারা জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে থেকে এসিড ছুঁড়ে মারে। পরে তাদের চিৎকারে বাড়ির অন্যরা ছুটে আসেন। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল ইউএনবিকে জানান, এসিডে মেয়ে মিলি আক্তারের মুখ, বুক, পিঠ, ডান হাত এবং মা রাশেদা আক্তারের বাম হাত ও উরু ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের দ্রুত ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, এসিড ছুঁড়ে মারার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে রাত ১টায় সফিকুল ইসলাম মানিক নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি জানান, এ যুবক মিলি আক্তারের বিয়ের আগে তাকে উত্ত্যক্ত করত। তাই সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার দুপুরে মেয়ের বাবা আইয়ুব আলী প্রধানীয়া এ ব্যাপারে মামলা রুজু করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
মানিকগঞ্জে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, বাবা আহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর টোল রোড এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক নারী ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন নিহত নারীর স্বামী মোটরসাইকেল চালক জিল্লুর রহমান।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ জন হলেন- অন্তঃসত্ত্বা সুরাইয়া নাসরিন (২৮) ও মেয়ে আইরা (৩)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন জিল্লুর রহমান (৩৬)।
তারা নগরীর হিলভিউ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় সিএনজির ২ যাত্রী নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে হালিশহর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, রাতে মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হালিশহরের টোল রোড হয়ে পতেঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় জিল্লুর রহমানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিল্লুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসাছাত্রী নিহত
১ বছর আগে
বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বান্দরবান জেলায় সোমবার ও মঙ্গলবার ভূমিধসে মা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সকালে লামা উপজেলার কুমারীতে বাড়ির ওপর মাটির টুকরো ধসে নুরুল ইসলাম (৩৫) নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
এদিকে সোমবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার গোদাপাড়ায় ভূমিধসে নুরুন্নাহার (৩৫) ও তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার(১২) নিহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া টানা বৃষ্টিতে সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আরও বলেন, জেলা শহরের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ প্লাবিত হওয়ায় ইতোমধ্যেই ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০০ মানুষ।
ইতোমধ্যে দুর্গতদের জন্য ৮৫ মেট্রিক টন খাদ্য ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ৪৩টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
১ বছর আগে
নোয়াখালীতে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় সংলগ্ন একটি বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৫) ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত মা ও মেয়েকে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে নূর নাহার বেগম মারা যান এবং মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। নিহতদের পরিবার থেকে হত্যার কারণ জানা যায় নি।
স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
নড়াইলে গ্রামপুলিশকে কুপিয়ে হত্যা
১ বছর আগে
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
ফরিদপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মা ও তার মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ভাঙ্গা উপজেলার আতাদী গ্রামের জুয়েল শেখের স্ত্রী লাবনী বেগম(৩৮)। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় তার কন্যাশিশু জয়নব আক্তার (২) ও একই এলাকার টিটুল শেখের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার(১৭)।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
আহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দিকে ১৬ টন চিনি নিয়ে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। এ সময় প্রচুর কুয়াশা ছিল। কুয়াশায় রাস্তায় প্রায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। চিনিবাহী ট্রাকের পেছনে ভাঙ্গাগামী একটি ব্যাক্তিগত গাড়িও ছিল। ওই গাড়িতে চালকসহ ছয়জন যাত্রী ছিল। ঘটনাস্থলে এলে পেছন থেকে ওই ব্যক্তিগত গাড়িটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত আহত ছয়জনই ওই ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে এ এদূর্ঘটনা ঘটে। এতে ব্যক্তিগত গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, এ ঘটনায় ট্রাকটিকে আটক করে হাইওয়ে থানায় এনে রাখা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, নিহত লাবনী বেগমের মৃতদেহ হাইওয়ে থানায় ও বাকী মারা যাওয়া দুইজনের মৃতদেহ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
১ বছর আগে
ফতুল্লায় গ্যাস লাইন লিকেজে মা-মেয়ে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগে মা ও তার শিশু মেয়ে দগ্ধ হয়েছে।
শনিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার আলামিনবাগ এলাকায় পুলিশ সদস্য সারোয়ার জাহানের বাড়ির ভাড়াটের ঘরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ মা ও মেয়েকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
তবে মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
দগ্ধরা হলেন, নার্গিস আক্তার (২৮) ও মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৬)।
নার্গিসের স্বামী মনির মিয়ার বন্ধু সোলায়মান মিয়া জানান, মনির অটোরিকশা চালক। শনিবার মনিরের গাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি মাহফিলে যান তিনি। রাতে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, আগুনে মনিরের স্ত্রী ও শিশু মেয়ে দগ্ধ হয়েছে। পরে বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের আগুনের ঘটনায় নার্গিস আক্তারের শরীরের ৭০ শতাংশ ও মেয়ে মরিয়মের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকটের কারণে না’গঞ্জে এক বছরে ২৭ জন দগ্ধ ও ৫ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ২
১ বছর আগে
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
রাজশাহীর পবা উপজেলায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংর্ঘর্ষে মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আমান কোল্ড স্টোরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালক আব্দুল মান্নান (৪৮) নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য দুজনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
রাজশাহী নওহাটা ফায়ার স্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমান কোল্ড স্টোরের সামনে মাটিবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংর্ঘষ হয়। এতে একটি মোটরসাইকেলের আরোহী আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। আরেকটি মোটরসাইকেলে স্ত্রী ও কন্যাসন্তান নিয়ে আরেক ব্যক্তি ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাদের কন্যাশিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তাদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মা মারা গেছেন ও বাবা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নগরীর পবা থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আর হাসপাতালে শিশুর মা মারা গেছেন। তাৎক্ষণিক মা ও শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পড়ুন: গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
২ বছর আগে
শার্শায় মেয়েকে ‘বিষ খাইয়ে’ মায়ের ‘আত্মহত্যা’
যশোরের শার্শা উপজেলায় মায়ের ওপর অভিমান করে নিজ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুন (৩০) ও তার মেয়ে আঁখি মনি (৬)।
লক্ষণপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোমিনুল হোসেন জানান, মেয়েটার বিয়ের পর সংসারে ঝামেলার কারণে বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে সুমি খাতুন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সাথে পারিবারিক বিষয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৯ টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে সুমি খাতুন প্রথমে মেয়েকে বিষপান করান তারপর নিজেও বিষপান করেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে তার পরিবার ও এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঁখি মনিকে (৬) মৃত ঘোষণা করেন এবং মা সুমি খাতুনকে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে সুমি খাতুনও মারা যান।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বিষপানে মা-মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। মরদেহ দুটি যশোর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের নারাজি
যশোরে চিকিৎসকের ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রামে এক দম্পতির ‘আত্মহত্যা’
৩ বছর আগে
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক আমবাগান এলাকায় রবিবার সকালে যাত্রীবাহী বাস উল্টে মা ও তার নয় মাস বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
৪ বছর আগে