বোমাতঙ্ক
কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ফের বোমাতঙ্ক
তিনদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এলাকায় আবারও বোমাসদৃশ বস্তু দেখা গেছে। এর ফলে নতুন করে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া তল্লাশির একপর্যায়ে দুপুরে কেরু কোম্পানির চিনিকল এলাকায় এই ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো দেখা যায়। তারপর থেকে পুলিশ সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের ক্যাডার জয়নাল আবেদিন নফরের কেরু মিলের অফিসের পেছনে ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো রাখা হয়। পরে রাজশাহী র্যাব-৫ এর বোম ডিসপোজেল ইউনিটের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসার পর সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এর আগে, গত ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডে অফিস-সংলগ্ন স্থান থেকে ককটেল উদ্ধার করা হয়। রাজশাহী থেকে র্যাব-৫ এর বোম্ব ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেল দুটি নিষ্ক্রিয় করেন। ওই ককটেলগুলো শক্তিশালী বলেও জানান তারা।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। ফলে আমরা চরম আতঙ্ক আর অনিশ্চিয়তার মধ্য রয়েছি।
অপরাধীদের শনাক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হোক বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৬৯টি বোমা ও তৈরির সরঞ্জামসহ আটক ২
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, ‘এলাকায় বারবার বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের বিষয়টি উদ্বেগজনক। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘লাল রঙের টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রবিবার দুপুরে চারটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। পরে রাজশাহী র্যাব-৫ এর বোম ডিসপোজেল ইউনিট এসে বোম সাদৃশ্য বস্তু নিষ্ক্রিয় করে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এই বস্তুগুলো রাখা হচ্ছে।’
৫০ দিন আগে