কারখানা
বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরে ৩ কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুরের তিনটি কারখানার শ্রমকিরা।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ
১২ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বাঘের বাজার জোনের পরিদর্শক সুমন মিয়া জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে সকালে কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করেন। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক বন্ধ কারখানার ভেতরে জোর করে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন তারা।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টায় কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
১ মাস আগে
কারখানাগুলোকে সহিংসতা-হামলা থেকে রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর: অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশের শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার কারখানাগুলোকে সহিংসতা ও হামলা থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদেরকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা এই শিল্পকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব দেশে আশার নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিল্প, অর্থ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ব্যবসায়ী নেতারা পোশাক ও ওষুধ খাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, তারা সন্দেহ করেন যে দেশের বাইরে বসবাসরত গোষ্ঠীসহ বহিরাগতদের প্ররোচনায় কারখানাগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনার সহমর্মিতা ও উপলব্ধি গভীরভাবে স্পর্শ করেছে: ইউএই প্রেসিডেন্টকে ড. ইউনূস
শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও ক্রয়াদেশ পাওয়ার প্রচেষ্টায় শ্রম সংস্কার গ্রহণের জন্য শিল্প নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার বড় সুযোগ আমাদের রয়েছে। আমাদের শ্রম আইনকে আইএলও স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এবং দেশের উৎপাদনকারীদের আরও ক্রয়াদেশ(অর্ডার) দিতে আগ্রহী।
বৈঠকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
২ মাস আগে
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বিজিএমইএ’র
শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ইউএনবিকে বলেন, 'বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিকদের সার্বিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।’
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
৩ মাস আগে
রপ্তানিমুখী চামড়াজাত পণ্য কারখানায় নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
সরকার রপ্তানিকারকদের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে নগদ প্রণোদনা দেবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শতভাগ রপ্তানিমুখী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির জন্য নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিসি-ইউএনওদের দামি গাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়: অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন
পরিপত্রে উল্লিখিত নগদ অর্থ সহায়তা-সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকার দীর্ঘদিন ধরে চামড়া খাতের সহায়তার অংশ হিসেবে শতভাগ রপ্তানিমুখী চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ৪৩টি পণ্যের জন্য নগদ সহায়তা কমানো হয়।
এর মধ্যে চামড়া খাত অন্যতম। গত ৩০ জানুয়ারি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
আরও পড়ুন: সিআইবির ডাটাবেজে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৫ মাস আগে
বাংলাদেশে ভারতের নতুন ওষুধ কারখানার উদ্বোধন
বাংলাদেশের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা যৌথভাবে শনিবার মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি সান ফার্মার নতুন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছেন।
সান ফার্মা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিশেষায়িত জেনেরিক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা, যা ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বছরে ১০০ কোটিরও বেশি ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশে এটি এই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় বিনিয়োগ।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও শিল্প সংশ্লিষ্টতার অংশ হিসেবে নতুন বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন। এটি তাদের সম্পর্কের সাম্প্রতিক রূপান্তরের একটি দৃশ্যমান প্রতীক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই প্ল্যান্ট বাংলাদেশের কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট। এটি কেবল বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ নয়, বরং এটি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের উদাহরণ।
হাইকমিশনার ভার্মা কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততাসহ স্বাস্থ্য খাতে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। সেসময় ভারত 'ভ্যাকসিন মৈত্রী' এবং অক্সিজেন এক্সপ্রেস-এর আওয়তায় বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশও ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ উপহার দেয়।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়ে হাইকমিশনার জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উত্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী: সালমান এফ রহমান
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের চালু থাকা ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ পূরণ করে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের প্রবৃদ্ধির রেকর্ড অনুযায়ী ভারত একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার।
সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদনে নতুন করে গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতীয় নির্মাতাদের জন্য যৌথ উদ্যোগ, যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তি চুক্তির আকারে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ভারতীয় বিনিয়োগ কেবল দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ককেই শক্তিশালী করবে না, বরং দুই অর্থনীতির মধ্যে শক্তিশালী সরবরাহ ব্যবস্থা এবং মূল্য শৃঙ্খল সংযোগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও আরেকটি পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুন: করদাতাদের ওপরই বেশি চাপ দিচ্ছে এনবিআর: সালমান এফ রহমান
৫ মাস আগে
কুমিল্লায় নকল চিপস কারখানায় অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
কুমিল্লায় নকল চিপস উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা ও বিএসটিআই।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে যৌথ এই অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ‘ঈদ যাত্রায় ভাড়া-গতি-যাত্রী অতিরিক্ত হলে এক লাখ টাকা জরিমানা’
বিএসটিআই কুমিল্লার উপপরিচালক (সিএম) কে এম হানিফ বলেন, মেসার্স রবি ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই থেকে তিনটি পণ্যের লাইসেন্স নিয়ে প্রসিদ্ধ ব্রান্ডের আরও ৮টি পণ্য নকল করে মোড়কজাত করে বিক্রি করছে।
তিনি আরও বলেন, নকল মোড়কজাত পণ্যের মধ্যে হুবহু বোম্বের সুইটস কোম্পানির মতো রিং চিপস, পটেটো চিপস ও লেইজার চিপস। একইসঙ্গে প্রাণ কোম্পানির জিরোস চিপসের আদলে জোরস চিপস নাম দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ফলে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং নকল চিপসের মোড়কের ৫টি রিল জব্দ করে পুঁড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) হাফিজুর রহমান, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন এবং জেলা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অংক বাড়ানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
৬ মাস আগে
যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী
এখন থেকে যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিক আইন সংশোধনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন সেটি জানতে চেয়েছে প্রতিনিধিরা।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকে শ্রমিকদের সম্মতির হার ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই হার ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই হার আরও কমানো হবে তবে সেটি ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল— এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এটা সবার জন্য করবো, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রমিক আইন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।’
যেসব বিষয়ে কাজ শেষ হয়েছে সেসব প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।’
বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছে, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত এই সরকার করবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব সংকটে থাকলে আবোল-তাবোল বলে: আইনমন্ত্রী
স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
৬ মাস আগে
খুলনায় আইসক্রিম-সেমাই কারখানায় অভিযান, ২ কারখানাকে জরিমানা
খুলনায় নকল আইসক্রিম তৈরি করে বিক্রি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদনের কারণে দুই কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ভোক্তা অধিকারের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এই অভিযান চালান।
আরও পড়ুন: পাবনায় র্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক
অভিযানে নকল রোবো ললি তৈরি ও বিক্রি করার অপরাধে আইসক্রিম কারখানার মালিক সাজুকে ৩০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদনের অভিযোগে ভূঁইয়া ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড় কাটার খবরে অভিযানে গেলেন বন কর্মকর্তা, মিনি ট্রাকের চাপায় মৃত্যু
৭ মাস আগে
গাজীপুরের কারখানায় মেশিন বিস্ফোরণে নিহত ১
গাজীপুরে মোবাইল ফোনের সিম তৈরির একটি কারখানায় বিস্ফোরণে একজন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর মেট্রো থানার ধীরাশ্রম ভারারুল এলাকার ইন্টিলিজেন্ট কার্ড লিমিটেড কারখানা এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লিখন গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।
কারখানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারাখানার ভেতরে একটি মেশিন সেট করতে গিয়ে বিস্ফোরণ হলে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ঝলসে পুড়ে মারা যায় কারখানার শ্রমিক লিখন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্টেশন অপারেটর নিহত
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ওই প্রতিষ্ঠানটিতে লেমিনেশন মেশিন বিস্ফোরণ হয়।
এতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নেভায়।
বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
৮ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ক্রোনি এ্যাপারেলসে গ্যাস বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন, তিতাস কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও কলকারখানা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা।
আরও পড়ুন: যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
পরিদর্শনের সময় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনয়নের হাটখোলা এলাকায় ক্রোনি এ্যাপারেলসে তিতাসের গ্যাস সংযোগস্থলে বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধ হন। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণের কারণ শনাক্ত করতে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
রাতে তিতাসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও একদিন বাদেই সেখানে অবৈধভাবে সংযোগ নেওয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা মূল বিতরণ সংযোগটির ভালবের দুই পাশে ওয়েল্ডিং ঝালাই দিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
তিতাস কর্তৃপক্ষের ধারণা, বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়েল্ডিং করে সেই সংযোগ স্থাপনের সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, ফায়ার সার্ভিসের জেলা উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ, তিতাসের ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক মো. মুশিউর রহমান ও জেলা কলকারখানা অধিদপ্তরের পরিদর্শকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
৯ মাস আগে