দূষণ
ঢাকার বাতাসের মান মাঝারি, দূষণের শীর্ষে ভারতের দিল্লি
রাজধানী ঢাকার বাতাস দিন দিন বিষাক্ত হয়ে উঠছে, যা শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা এখন ১৭তম স্থানে আছে। যা শহরের পরিবেশগত সংকটের গভীরতা প্রকাশ করে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৩। এই মাত্রার বাতাসকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘মাঝারি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা শিশু, বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন এমন মানুষের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
ভারতের দিল্লি, মিশরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ১৯৫, ১৭৪ ও ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুসারে, ঢাকার বাতাস সবসময়ই বিশ্বের সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর তালিকার উপরের দিকে থাকে। কখনও কখনও তা ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে ওঠে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটা বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আজও বইতে পারে উষ্ণ তাপপ্রবাহ
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০২৩ সালে বাংলাদেশে পিএম ২.৫ মাইক্রোনের গড় ঘনত্ব ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বার্ষিক বায়ুমান নির্দেশনার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের ৩টি প্রধান উৎস হলো— ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘দূষণে শহরটি ক্রমাগত বসবাসের অযোগ্য হলেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সটি আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।
২২৪ দিন আগে
বৈশাখের শুরুতেই ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
নতুন বছরের উদযাপনে আনন্দের পাশাপাশি বাতাসে ভাসছে আশঙ্কার ছায়া— বৈশাখের প্রথম দিনেই দূষণের তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে তিলোত্তমা শহর ঢাকা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১২মিনিটে ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে রাজধানী ঢাকার অবস্থান অস্বাস্থ্যকর। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৪, ২১৪ ও ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের তালিকায় শীর্ষ তিনটি শহরের মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২৩৫ দিন আগে
কোনাপাড়ায় বন্ধ হলো দূষণকারী সব কারখানা
কোনাপাড়ার ময়লার ভাগাড় ও সামাদনগরে গত তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়ে সব বায়ুদূষণকারী ব্যাটারি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা, মান্ডা, গ্রীন সিটির পেছন অংশ, সামাদনগর, শরীফপুর, ময়লা রাস্তা মোড় ও কোনাপাড়ায় এসব অভিযান পরিচালন করা হয়।
এ সময় এসব এলাকায় থাকা ঢালাই লোহার কারখানাগুলোও বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযানে গ্রীন মডেল টাউনের আশপাশের এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ সময় কোনাপাড়া এলাকার মোবাইল কোর্টের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযানে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ, টহল পুলিশ ও লাইন পুলিশও।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ
২৪৮ দিন আগে
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর, দূষণে তৃতীয়
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হয়ে চলেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকার ঢাকার বাতাস ১৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
বায়ুদূষণে ঢাকা যেখানে সবসময় বিশ্বে এক কিংবা দুই নম্বরে থাকে, সেখানে আজ (শুক্রবার) তৃতীয় স্থানে।
আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২৩৮ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ২৩১ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরেই অবস্থান ভারতের দিল্লির, আর ১৬৩ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষণে ষষ্ঠ
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২৭৩ দিন আগে
ঢাকায় কেন এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর একটি ঢাকা। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দূষণে শহরটি অনেক আগেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তার ওপর গড়ে উঠেছে যত্রতত্র প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এতে করে ভুগতে থাকা এই শহরটির ওপর নতুন করে চাপ বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মত, শিক্ষাকে অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকীকরণের কারণে এমনটি হয়েছে, যা সুষ্ঠু নগর-পরিকল্পনার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অতীতের সরকারগুলো মালিকপক্ষকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় শিক্ষাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়নি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৪৬ লাখের বেশি। আর ঢাকাকে বিশ্বের বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী শহরের একটি বলছে ইআইইউ গ্লোবাল লাইভেবিলিটি ইনডেক্সের ২০২৪ সালের সমীক্ষা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ যটতা বসবাসের অনুপযুক্ত, ঢাকার অবস্থান তারও নিচে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে ৫৩টি পাবলিক ও ১১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যদিও এই পরিসংখ্যানে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির কোনো তথ্য যুক্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির উন্নয়নে বাকৃবি-মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা
২০২২ সালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ১৭টি, আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৬৯টি। অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি মোট ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই রয়েছে ৮৬টি। দেশের ১১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২ লাখ ৪০ হাজার ৫১৩ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৮৩ জন। অন্যদিকে, ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৭১ জন।
২০২২ সালের পর গত তিন বছরে আর কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি ইউজিসি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে উচ্চশিক্ষার চাহিদার তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। সীমিত আসন সংখ্যা এবং জাতীয় শিক্ষা বাজেটে উচ্চশিক্ষাখাতে বরাদ্দ ঘাটতি থাকার কারণে উচ্চশিক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায়, উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণে ভারত, পাকিস্তান ও জাপানের আদলে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চায় সরকার।
ঢাকায় কেন এত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়?
শিক্ষার অবাধ বাণিজ্যিকীকরণের কারণেই ঢাকায় এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউজিসির প্রতিবেদন অনুসারে, এ জেলায় বর্তমানে ৫৭টি প্রাইভেট ও ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
ঢাকায় এত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন আছে কিনা—জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘কথা হচ্ছে, প্রয়োজন থাকলেও যেখানে-সেখানে যেমন-তেমন লেখাপড়া করানো আর সার্টিফিকেট দেওয়া—এটা তো সার্টিফিকেট বাণিজ্য! এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
এজন্য কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং করাও দরকার বলে মনে করেন এই শিক্ষা অধিকারকর্মী। তিনি বলেন, ‘এটির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের। তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ৬ এর ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, পাঠদানের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্তসংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কমন রুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে।
৩ উপধারায় বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে।
ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অংশই কিন্তু এই শর্ত পূরণ করছে না—প্রসঙ্গে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘ইউজিসি কয়দিন পরপর বলে যে ক্যাম্পাস করতে হবে, কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে খুব একটা নাড়াচাড়া হয় না। কী পড়ানো হচ্ছে এবং কী প্রয়োজনে এগুলো হচ্ছে—সেটি আগে দেখার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের কারণে এমনটি করা হয়েছে। ঢালাও বাণিজ্যিকীকরণ তো গ্রহণযোগ্য নয়। প্রাইভেট খাতের বিকাশ ঘটলে সমস্যা নেই, কিন্তু একটি নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর মধ্যে তো তাদের আসতে হবে! কয়দিন পরপর বলেন—প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাস করতে হবে। অথচ শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের একটি উপায়। এ ব্যাপারে তাই আইন কঠোর করতে হবে।’
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কয়েকটি নিজেদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে স্বীকার করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠান বড় বড় ক্যাম্পাস করে চলে গেছে, বেশিরভাগই গেছে; কিন্তু বাকিরা গরজ করছে না, আইনের তোয়াক্কাই করছে না। এই তোয়াক্কা করানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।’
নগর-পরিকল্পনার সঙ্গে বেমানান
ঢাকা শহরের এত এত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নগর-পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা—জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এটা একেবারেই বেখাপ্পা। যেখানে আমরা বিক্রেন্দ্রীকরণের কথা বলে আসছি, সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় করার মাধ্যমে ঢাকা শহরকে আরও কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে।’
‘এমনকি যখন বিকেন্দ্রীকরণের কথা ওঠে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে বলা হলো, তখনও আশুলিয়াসহ ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে তারা ক্যাম্পাস স্থাপন করল। অথচ ঢাকার বাইরে এতগুলো বিভাগীয় শহর আছে, জেলা শহর আছে; সেখানে যদি এসব বিশ্ববিদ্যালয় যেত, তাহলে ঠিক হতো।’
উদহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন রংপুর থেকে একজন শিক্ষার্থীকে ঢাকায় এসে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেখানে হতো, তাহলে তারা সেখানে বসেই লেখাপড়া করতে পারতেন।’
আগের সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই এসব হয়েছে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এই অধ্যাপক।
তার ভাষ্যে, ‘বিগত সময়ে যারা মন্ত্রী ও আমলা ছিলেন, তারা তাদের মতো করে পরিচিত লোকজনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারে বিকেন্দ্রীকরণ নীতি নিয়ে ভাবার মতো সময় তাদের ছিল না।’
ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দেওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের ইচ্ছামাফিক এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ তারা ঢাকা ছেড়ে যেতে চাননি। এর ফলে এটি নগরীতে অনেক বেশি চাপ তৈরি করেছে। এতগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শহরের জন্য কখনোই ভালো কিছু নয়। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্তগুলো নগর-পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।’
ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণের বিপরীত
ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে সবসময় বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সরকারগুলো তাদের মতামতের বিপরীতে গিয়ে ঢাকাকে কেন্দ্র করেই বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গ তুলে নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় আশুলিয়ায় যাওয়া মানে সেটি ঢাকার বাইরে নয়। পঞ্চাশটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি ঢাকার (জেলার) মধ্যেই কোথাও জমি ভরাট করে তৈরি হয়, তাহলে সেটিকে ঢাকার বাইরে যাওয়া বলে না। ঢাকার বাইরে বলতে একেবারে নতুন জেলা কিংবা বিভাগীয় শহর হতে হবে। সেটাকে বলে বিকেন্দ্রীকরণ।’
তার অভিযোগ, ‘ঢাকার কেন্দ্রস্থল থেকে সরে গিয়ে যদি আশুলিয়া কিংবা বিরুলিয়ায় ক্যাম্পাস স্থাপন করা হয়, তাহলে সেটিকে বিকেন্দ্রীকরণ বলে না। আর এ কারণে ঢাকার আয়তন বাড়ছে, গ্রেটার ঢাকা হচ্ছে। ঢাকার বাইরে বলতে একেবারে ঢাকা জেলা পার হতে হবে, কিন্তু তারা বলছেন ঢাকা শহর ছাড়লেই হবে। সরকার আসলে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রাহ্য না করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এমনটি হয়েছে।’
তার সঙ্গে একই মত পোষণ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বিকেন্দ্রীকরণ করা উচিত। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি—সবই ঢাকাকেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। এগুলোকে বিকেন্দ্রিকরণ করা উচিত।’
ইউজিসি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না বলেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাকাকেন্দ্রিক হচ্ছে বলে মনে করেন এই প্রবীণ শিক্ষক। বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা নিয়ে সরকারের একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। ঢাকার বাইরের মানুষও যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, সেরকম কার্যক্রম প্রণয়ন করা উচিত।’
ঢাকার সবকিছুই অপরিকল্পিত
কেবল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, ঢাকায় কোনোকিছুই পরিকল্পনামফিক করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইউজিসি সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে আমাদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে, সেগুলোকে কোয়ালিটি এডুকেশনের (মানসম্পন্ন শিক্ষা) দিকে নিয়ে যেতে চাই।’
ড. আনোয়ার বলেন, ‘এই চিন্তা মাথায় রেখে মানের ঘাটতি থাকলে নতুন করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় করতে আমরা সর্বাত্মক নিরুৎসাহিত করব। পাবলিক ও প্রাইভেট মিলিয়ে দেশে এখন ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এত ছোট দেশে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়! একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করতে দুইশ থেকে পাঁচশ বিঘা পর্যন্ত জমি লাগে এবং আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ খুবই কম।’
‘অধিকাংশ জমি জলাভূমি ও কৃষিজমি। এসব ভরাট করে আমাদের উন্নয়নের অনেক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, হোক সেটা পাওয়ার প্ল্যান্ট কিংবা ইন্ডাস্ট্রি। এসবের মধ্যে বিশ্ববিদ্যায় একটা কমপোনেন্ট, যেটা আসলে খুব অল্প জায়গা নিচ্ছে। তবে খুব সচেতনভাবে এ বিষয়টির পরিচালনা করা দরকার।’
নগর-পরিকল্পনাবিদরা তো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকারি পর্যায় থেকে যদি আসে, পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে অবশ্যই আমরা সেটাকে উৎসাহিত করব। শিক্ষার সঙ্গে সোসাইটিকে কমিউনিকেট করার জন্য যে ধরনের পলিসি ও কাঠামোগত সাপোর্ট দরকার, সেটা ডেভলপড করা অত্যন্ত জরুরি।’
পরিকল্পিত শহর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিক থেকে নগরের সিভিক ফ্যাসিলিটির ক্ষেত্রে কোন কোন কম্পোনেন্টগুলো থাকবে, কোথায় থাকবে, সেটা কতটা থাকবে, কতটা থাকলে ওভারক্রাউডেড হবে না, নগরীর বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতিকর হবে না—সেই জিনিসগুলো বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন এই শিক্ষক।
ধীরে ধীরে ঢাকা থেকে বেরোচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। তার কথায়, ‘এখন সবগুলোই আস্তে আস্তে শহরের বাইরে যাচ্ছে। আমাদের তিন বিঘা জমি যেটা দরকার, এক একর জমি দরকার—সেটা করতে গিয়েই সবাই ঢাকার বাইরে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তো ঢাকার বাইরেই ছিল, কিন্তু ওটা এখন শহর হয়ে গেছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও ঢাকার প্রান্তে চলে গেছে।’
‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য তিন বিঘা জমির যে রিকোয়ারমেন্ট আছে, সেটা তারা কোথায় পাবে? এগুলো ঢাকার বাইরে শিফট করতে একটু সময় নিচ্ছে, তবে শিফট করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। আর শিফট না করলে তো (আমরা) সার্টিফাই করছি না!’
আরও পড়ুন: ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে বাকৃবির সংবর্ধনা
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে গিয়ে স্থায়ী সনদের জন্য আবেদন করার নিয়ম রয়েছে, কিন্তু সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘আমরা মনিটর করছি। যারা ঢাকার মধ্যে আছে, সেগুলোকে আমরা সনদের জন্য এন্টারটেইন (বিবেচনা) করছি না। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঢাকার বাইরে যাচ্ছে, তারা কনভোকেশন করতে পারছে না, কিছুই করতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এগোতে চাই। খবরদারি কিংবা জুলুমে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের একটা মেকানিজম আছে, সেটা পূর্ণ না করলে তারা কনভোকেশন কিংবা অন্যকিছু করতে পারে না। ফলে ওরা নিজেদের স্বার্থেই ঢাকার বাইরে চলে যাচ্ছে।’
৩০০ দিন আগে
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে
ঢাকা শহরের বাতাস ফের ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পরিস্থিতিতে চলে এসেছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ২৩০ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে শহরটি।
বৃহস্পতিবারেরও বাতাস ছিল নাগরিকদের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। একিউআই সূচক অনুসারে, কণা দূষণের একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি, ভারতের দিল্লি এবং কম্বোডিয়ার নম পেন শহরগুলো যথাক্রমে ২২০, ১৯৮ এবং ১৮৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার তালিকায় যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ বিপজ্জনক, দূষণে বিশ্বের দ্বিতীয়
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটা বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের ৩টি প্রধান উৎস হলো— ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘দূষণে শহরটি ক্রমাগত বসবাসের অযোগ্য হলেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে বিশ্বের চতুর্থ
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সটি আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।
৩১৫ দিন আগে
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’,দূষণের তালিকায় বিশ্বে সপ্তম
ঢাকার বাতাসের মান আজ বুধবার (১৩ মার্চ) 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) ১৬০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে শহরটি।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও ইরাকের বাগদাদ যথাক্রমে ২৯৪, ২০১ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাস ঢাকার
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে পঞ্চম ঢাকা
৬৩২ দিন আগে
সোমবার সকালে ঢাকার বাতাস দূষণের তালিকায় বিশ্বে ‘পঞ্চম’
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৪ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং করাচি যথাক্রমে ৫৬২, ৩১৩ এবং ১৯৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাস ঢাকার
৭৬০ দিন আগে
প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে 'মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, বেসরকারি খাত, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল-মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
৮৪০ দিন আগে
সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
বাংলাদেশ বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সময়োপযোগী নীতি ও গণসচেতনতার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সিপিডির এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২০ বছরে বায়ু দূষণজনিত রোগে মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ বেড়ে গেলেও ঢাকা মহানগরীতে দূষণ থেকে রেহাই নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রবিবার ধানমন্ডির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে সবুজ নগরের উন্নয়ন’ শীর্ষক জ্ঞান-আদান-প্রদান কর্মশালায় উপস্থাপনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।
সিপিডি ‘গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার লক্ষ্য বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক বোঝা এবং প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ করা।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ দুটি বিস্তৃত বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে ফোকাস করবে- বায়ু দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ।
প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
বায়ু দূষণের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) পিএম২.৫ এবং পিএম১০ যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার এবং ১০ মাইক্রোমিটার থেকে কম বায়ুগত ব্যাস নিয়ে গঠিত। পিএম ২.৫ এতই কম সময় যে তাদের কোটি কোটিকে একটি লোহিত রক্তকণিকার ভিতরে লাগানো যেতে পারে, যার ফলে শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার এবং অন্যান্য ধরণের রোগে মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি: শাহাব উদ্দিন
পিএম দূষণ ১৯৯৫ সালে ৫১.৬ মাইক্রোমিটার/এম৩ থেকে ২০১৯ সালে ৬৩.৪ মাইক্রোমিটার/এম৩ -তে বেড়েছে – যা ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির গুরুতর স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে, যা শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ক্ষতি করে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, উপস্থাপনা প্রকাশ করে।
শক্তিশালী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং কার্যকর নীতি অবিলম্বে নেওয়া না হলে আগামী বছরগুলোতে বায়ু দূষণ বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছে সিপিডি।
আরও পড়ুন: এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
৮৭৯ দিন আগে