দূষণ
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’,দূষণের তালিকায় বিশ্বে সপ্তম
ঢাকার বাতাসের মান আজ বুধবার (১৩ মার্চ) 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) ১৬০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে শহরটি।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও ইরাকের বাগদাদ যথাক্রমে ২৯৪, ২০১ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আজ সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাস ঢাকার
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে পঞ্চম ঢাকা
৯ মাস আগে
সোমবার সকালে ঢাকার বাতাস দূষণের তালিকায় বিশ্বে ‘পঞ্চম’
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৪ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং করাচি যথাক্রমে ৫৬২, ৩১৩ এবং ১৯৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাস ঢাকার
১ বছর আগে
প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে 'মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, বেসরকারি খাত, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল-মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
১ বছর আগে
সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
বাংলাদেশ বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সময়োপযোগী নীতি ও গণসচেতনতার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সিপিডির এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২০ বছরে বায়ু দূষণজনিত রোগে মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ বেড়ে গেলেও ঢাকা মহানগরীতে দূষণ থেকে রেহাই নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রবিবার ধানমন্ডির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে সবুজ নগরের উন্নয়ন’ শীর্ষক জ্ঞান-আদান-প্রদান কর্মশালায় উপস্থাপনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।
সিপিডি ‘গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার লক্ষ্য বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক বোঝা এবং প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ করা।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ দুটি বিস্তৃত বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে ফোকাস করবে- বায়ু দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ।
প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
বায়ু দূষণের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) পিএম২.৫ এবং পিএম১০ যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার এবং ১০ মাইক্রোমিটার থেকে কম বায়ুগত ব্যাস নিয়ে গঠিত। পিএম ২.৫ এতই কম সময় যে তাদের কোটি কোটিকে একটি লোহিত রক্তকণিকার ভিতরে লাগানো যেতে পারে, যার ফলে শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার এবং অন্যান্য ধরণের রোগে মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি: শাহাব উদ্দিন
পিএম দূষণ ১৯৯৫ সালে ৫১.৬ মাইক্রোমিটার/এম৩ থেকে ২০১৯ সালে ৬৩.৪ মাইক্রোমিটার/এম৩ -তে বেড়েছে – যা ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির গুরুতর স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে, যা শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ক্ষতি করে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, উপস্থাপনা প্রকাশ করে।
শক্তিশালী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং কার্যকর নীতি অবিলম্বে নেওয়া না হলে আগামী বছরগুলোতে বায়ু দূষণ বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছে সিপিডি।
আরও পড়ুন: এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
১ বছর আগে
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’- এ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও লেমিনেটেড প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ না হওয়ায় ফলে ‘প্লাস্টিক দূষণ’ অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬ (ক) ধারা সংশোধন, দূষণ-কর আরোপ এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের জবাবদিহির লক্ষ্যে পরিবেশ আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
বৈশ্বিক মোট প্লাস্টিক দূষণের ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাংলাদেশে হয়ে থাকে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হলেও, কার্যকর প্রয়োগের অভাবে প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ দূষণ শুধু অব্যাহতই নয় বরং উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধিই পেয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্যসহ ব্যাপকভাবে বর্জ্য ফেলার কারণে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের অন্যতম দূষিত নদীতে পরিণত হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণের কারণে আমাদের বাস্তুতন্ত্র ও ভূমির ব্যাপক দূষণ ঘটায় গাছপালা ও অন্যান্য প্রাণীর অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। এ ছাড়া জৈব রাসায়নিক সারে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকায়, তা কৃষিকাজে ব্যবহারের ফলে স্থায়ীভাবে মাটি দূষিত হচ্ছে।’
পরিবেশ দূষণ রোধে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ, এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স (ইপিআই)-২০২২ এর এই তথ্য উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস এবং প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক দূষণসংক্রান্ত বিধিমালা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ও সীমিত করাসহ প্লাস্টিকের পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক বিকল্প এবং বায়েডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে দূষণ-কর প্রয়োগসহ আইনের কঠোর প্রয়োগ, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি ও তার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক প্রণীত একটি অ্যাকশন প্ল্যান নীতিগতভাবে গ্রহণের পাশাপাশি জেলা কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানসমূহে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ ব্যবহার বর্জনের যে নির্দেশনা প্রদান করেছে, তা যেন শুধু ‘কাগজে-কলমে’ সীমাবদ্ধ না থাকে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি। একইসঙ্গে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় গৃহীত সকল কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অর্থবহ সচেতনতা ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ রোধে ব্যবহৃত তহবিলসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি, আইন ভঙ্গকারী এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য টিআইবি জোর দাবি জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ডিএসএ বাতিলের দাবি টিআইবি’র
১ বছর আগে
ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালেও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। রবিবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৩ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান চতুর্থ।
থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, নেপালের কাঠমান্ডু ও চীনের উহান যথাক্রমে ১৬২, ১৫৯ ও ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
১ বছর আগে
‘পানির প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার ও অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে’
পানি আমাদের এই বিশ্বের প্রাণের উৎস। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষা ও অবকাঠামো পর্যন্ত সবকিছুতেই মানুষের টিকে থাকা ও ভালো থাকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য পানি অপরিহার্য।
কিন্তু এই প্রাণের উৎসের প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার হচ্ছে, অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে। এদিকে চলতি দশকের শেষ দিকে পানির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন পানির প্রাকৃতিক চক্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে দূষণ যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পানিজনিত দুর্যোগ, রোগের প্রাদুর্ভাব, পানির স্বল্পতা ও খরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অবকাঠামো, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের শৃংখলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য এসব ব্যর্থতার কারণে শত কোটি মানুষকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মানুষগুলো নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন: প্রথম জাতিসংঘ পানি সম্মেলন নিউইয়র্কে শুরু ২২ মার্চ
বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে এখন পানির সার্বিক চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে উন্মুক্ত জলপ্রবাহ ও পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে, নতুবা উচ্চমূল্যে তথাকথিত নিরাপদ পানি কিনে। ২২ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত পরিবেশে কিংবা অপরিচ্ছন্ন, বিপজ্জনক অথবা ভাঙাচোরা শৌচাগারে মলমূত্র ত্যাগ করছে এবং ৪৪ শতাংশের ক্ষেত্রে বর্জ্য পানি অপরিশোধিত অবস্থায়ই প্রকৃতিতে ফিরছে। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হচ্ছে।
সংক্ষেপে বললে, ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে আমাদের যে লক্ষ্য তা থেকে আমাদের বিশ্ব বিপজ্জনকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে।
এ বছরের বিশ্ব পানি দিবস মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষা, টেকসই ব্যবহার এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমাদের ব্যক্তি ও সামগ্রিক পর্যায়ে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
জাতিসংঘ পানি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এই সময়টা সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকার, স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়িক সমাজ, বিজ্ঞানী, তরুণ সমাজ, নাগরিক সংগঠন ও সমাজকে সম্মিলিতভবে কাজ করার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন ধারণা প্রণয়ন ও বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে জি-২০ এর নেতৃত্বে সরকার, ব্যবসায়িক সমাজ ও বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি কাটিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতাও করতে হবে।
অপচয় করার মতো এক মুহূর্তও আমাদের হাতে নেই। আসুন, ২০২৩ সালকে আমরা পরিবর্তন এবং মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষায় বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করি।
আসুন, পানির সুরক্ষা, টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং সবার জন্য সমহারে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি পানে ১২ গরু-মহিষের মৃত্যু
১ বছর আগে
দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’
দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’ নামে একটি ব্যতিক্রম ধরনের প্রতিবাদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জেসিআই ঢাকা নর্থ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার এর আয়োজনে এতে অংশ নেন নদীপাড়ের মানুষ, পরিবেশকর্মী, গবেষক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও যুব নেতারা।
মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজের নিচের খেয়াঘাটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করে আয়োজকরা। এরপর বুড়িগঙ্গায় গণগোসলে অংশ নেন অংশগ্রহণকারীরা।
আরও পড়ুন: দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে রবিবার ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’
অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজনের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’-এর সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা শহরের ত্রাণকর্তা। এই নদীর তীরে ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস করে, যারা দূষণে জর্জরিত পানির কারণে অর্থনৈতিক, শারীরিকসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন। ভিন্নধর্মী এই আয়োজনে মধ্য দিয়ে আমরা বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধ ও এই নদীর পানি গোসলের উপযোগী করতে সবাইকে উৎসাহিত করতে চাই।’
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘ঢাকা শহরের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হলেও বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে পরিকল্পিত ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শহরের যতই উন্নয়ন হয়েছে, ততই বুড়িগঙ্গার অবস্থা খারাপ হয়েছে। ফলে নদী তার সৌন্দর্য হারিয়ে এখন দূষণে জর্জরিত। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর গুরুত্ব তুলে ধরে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, গৃহস্থালির বর্জ্য, চিকিৎসা বর্জ্য, পয়োনিষ্কাশন, মৃত প্রাণী, প্লাস্টিক ও তেল বুড়িগঙ্গাকে প্রতিনিয়তই দূষণ করে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বুড়িগঙ্গা নদী কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। ঢাকাকে বাঁচানের জন্যই বুড়িগঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
২ বছর আগে
বন্দর এলাকার দূষণ রোধে সংসদে আইন পাস
বন্দর এলাকার পরিবেশ দূষণ করায় কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল ২০২২’ শিরোনামের একটি বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে, কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
সামরিক শাসনামলে জারি করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ বাতিল করার লক্ষ্যেও বিলটি আনা হয়।
প্রস্তাবিত বিলে পানি, ভূমি ও উপকূল দূষিত করে পরিবেশের ক্ষতি করার শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, আইনের অধীনে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে এবং শাস্তির বিধান পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ না থাকলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস
বিলে সংযোজিত নতুন বিধান অনুযায়ী বন্দরের টোল, ফি ও অন্যান্য চার্জ ফাঁকি দিলে এক মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ভাড়া ও টোলের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি চার্ট তৈরি করবে এবং সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেবে। তবে ৫ হাজার টাকার নিচে ভাড়া বা টোল দিতে কোনো অনুমতি লাগবে না।
খসড়া আইনে বন্দরের উন্নয়নে একটি তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য একজন চেয়ারম্যান এবং সাত সদস্যের বোর্ড থাকবে। বিদ্যমান আইনে চার সদস্যের বোর্ড রয়েছে। বোর্ড প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি সভা করবে।
আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষ হলে পৌরসভায় প্রশাসক, সংসদে বিল পাস
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সংসদে বিল উত্থাপন
২ বছর আগে
নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নদীর নাব্যতা রক্ষা, দূষণ ও দখল রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আরও তৎপর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীগুলোতে যেন নাব্যতা থাকে, নদী দূষণ এবং দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ আমাদের নদী রক্ষার যে জেলা কমিটি, সেটার সভাপতি জেলা প্রশাসক। তারা ইতোমধ্যে অনেক ভূমিকা রাখছেন এবং এগুলো আরও জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের নৌপথগুলোতে বিঘ্নতার তৈরি হয়। এগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। স্থলবন্দরগুলোতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নজরদারি আরও জোরদার করার জন্যও ডিসিদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আমাদের স্থলবন্দর যেগুলো আছে, যেহেতু সেখানে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়, সে জায়গায় কোন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড যাতে না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের নজরদারি আছে, তারা রাখছেন। তারপরেও এটা জোরদার করার জন্য আমরা বলেছি। সার্বিকভাবে আমাদের যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে, এগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব ছিল কী না-জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় যে মানুষগুলো আছে, যেমন হাতিয়া, ভোলা, এসব নদী বন্দরগুলোর আরও উন্নয়ন করা এবং যাত্রীবান্ধব করা। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে নৌ দুর্ঘটনা বেড়েছে নয়, কয়েকটি বড়-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌ দুর্ঘটনা কমে গেছে। নৌ সেক্টরে দীর্ঘদিন যাবত একটা অচলায়তন, অনিয়ম (হয়ে) আসছে। এটা এতবড় একটা সেক্টর, একবারেই পরিবর্তন সম্ভব নয়।
যেমন আমরা যে লঞ্চে যাতায়াত করি, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, এটির নকশায় পরিবর্তন করা দরকার। শুধু কোভিড পরিস্থিতির কারণে নয়, বর্তমান আধুনিক যুগে এটি চলে না। এ জায়গাটায় আমরা নজর দিচ্ছি।'
এ বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এ সেক্টরকে নিরাপদ করা।
আরও পড়ুন: দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের স্থানান্তর না হওয়ার আহ্বান নৌ প্রতিমন্ত্রীর
২ বছর আগে