হাতিরঝিল
হাতিরঝিলে লেক থেকে গাজী টিভির নিউজরুম এডিটরের লাশ উদ্ধার
রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে বেসরকারি গাজী টেলিভিশনের নিউজরুম এডিটর রাহনুমা সারাহর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, মো. সাগর নামে এক রেস্টুরেন্টের কর্মচারী লেকে ভাসমান অবস্থায় রাহনুমার লাশ দেখতে পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত পৌনে ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে রাহনুমা (৩২) স্বামী সাঈদ শুভ্রর সঙ্গে ঢাকার কল্যাণপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্বামী শুভ্র গণমাধ্যমকে বলেন, সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারকে না জানিয়ে সাত বছর আগে বিয়ে করেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে রাহনুমা অফিসে গিয়ে রাতে বাড়ি না ফিরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দেন।
শুভ্র বলেন, “পরে আমি তাকে ফোন করে বলি, ‘রাতে বাসায় যদি না ফেরো, তাহলে অন্য কাউকে টাকা পাঠালে কেন? সে বলে, আমি ব্যস্ত আছি। বলে ফোন কেটে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে।”
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসে রাহানুমার লাশ দেখতে পান শুভ্র।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়নি, তবে আমার স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে বিচ্ছেদ চাইছিলেন।’
বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তারা স্থানীয় কাজী অফিসে গিয়েছিলেন জানিয়ে শুভ্র বলেন, ‘পরে দেশের এ অবস্থায় আর কাজী অফিসে যাওয়া সম্ভব হয়নি।’
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাহনুমা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলায় একটি পোস্ট আপলোড করেন, যেখানে তিনি লেখেন, 'জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভালো।’
এরপর আরেকটা পোস্টে ফাহিম ফয়সাল নামের একজনকে ট্যাগ করে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে ইংরেজিতে লেখেন, ‘তোমার মতো বন্ধু পেয়ে ভালো লাগছে। সৃষ্টিকর্তা তোমার মঙ্গল করুন। আশা করি তোমার সব স্বপ্ন তাড়াতাড়ি পূরণ হবে। আমি জানি আমাদের একসঙ্গে অনেক কিছুর পরিকল্পনা ছিল। দুঃখিত, সেসব পূরণ করতে পারছি না। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য দিক।’
২ মাস আগে
হাতিরঝিলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর হাতিরঝিলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সঙ্গে থাকা এক সহকর্মী। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে হাতিরঝিলের কুনিপাড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে জসিদুল মিয়া জাহিদ (২৪)। তিনি পাটোয়ারী এলপিজি অটোমোবাইল ওয়ার্কশপের কর্মচারী ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, রাত ১০টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে জাহিদ ও তার সহকর্মী সৌরভকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় প্রাইভেটকারটি।
পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত পৌনে ১১টার দিকে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
১০ মাস আগে
হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ৪০ বছর পর সুতিভোলা খাল দিয়ে নৌকায় চড়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াত করছি। এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তবে আমরা যেতে চাই বহুদূর। সুতিভোলা খাল হয়ে সাতারকুল দিয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নৌপথ চালু হবে সেভাবেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দখল ও দূষণমুক্ত করে হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে। নতুনবাজার একশো ফিট থেকে ঐতিহ্যবাহী সুতিভোলা খাল হয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। এছাড়া আধুনিকভাবে খালের পাড় বাঁধানো হবে, সবুজায়ন করা হবে। পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩) দুপুরে সুতিভোলা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে সাতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে নৌকায় চড়ে সরেজমিনে সুতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এলাকাবাসীর সঙ্গেও মতবিনিময় করেন তিনি
মেয়র বলেন, আমি আজ সুতিভোলা খালে নৌকায় চড়েছি। স্থানীয় লোকজন আমাকে জানাল দীর্ঘ ৪০ থেকে ৫০ বছর আগে এ ঐতিহ্যবাহী সুতিভোলা খাল দিয়ে নিয়মিত নৌকা চলত। কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল নিয়ে মানুষ এ খাল দিয়ে নৌকায় করে যাতায়াত করত। আজ আবার দীর্ঘ সময় পরে আমি এ খালে নৌকায় চড়লাম।
তিনি বলেন, সাতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে সুতিভোলা খালে কাউন্সিলরদের নিয়ে নৌকায় চড়ে দেখলাম মানুষ কীভাবে ময়লা ফেলে খালটিকে নোংরা করেছে। খালের পাড়ে ময়লায় ভরপুর। সিটি করপোরেশন থেকে ফ্লোটিং এক্সকেভেটর দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দখলে থাকার কারণে আগে যেখানে নৌকা চড়ে যাওয়া যেতো আজ তা পুরোপুরি পারিনি। কারণ একটু আগাতেই দেখি দখল হয়ে গেছে। খাল পারে বাড়ি উঠে গেছে। একটা বাড়ি খালের পাশে উঠে গেল দেখার কেউ নেই! কে অনুমতি দিয়েছে? কীভাবে অনুমতি দিল সেটা যাচাই করতে সমস্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আবার খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে মাছ চাষ করছে। এগুলো কারা করছে? এভাবে খাল দখল করে বাড়ি যা খুশি তাই করা যাবে না। খালের সীমানা ছেড়ে মাছ চাষ করেন। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। এগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিচ্ছি। নিজেরা না সরালে ম্যাজিস্ট্রেট কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। সিটি জরিপ নয়, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী সুতিভোলা খাল দিয়ে নৌকা নিয়ে সাতারকুল হয়ে আফতাবনগর দিয়ে হাতিরঝিল ঘুরে বালু নদীতে নৌকা চলাচল করা। নতুন একটি নৌপথ চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খাল পরিষ্কার থাকলে মশা জন্মাবে না। মানুষ স্বস্তি পাবে। এজন্য জনগণকে সতর্ক হতে হবে। আর কেউ যেন খাল দখল না করে। আমরা আজ কচুরিপানা পরিষ্কার করে দিলাম। নতুন করে যেন কেউ দখল না করে। সেজন্য ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা আছে। খাল রক্ষায় এলাকাবাসীসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা খাল নিয়ে মাস্টার প্ল্যান করছি। এডিবি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) আমাদের খালের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আজকে এডিবির একজন কনসালটেন্ট আমাদের সঙ্গে পরিদর্শনে এসেছেন। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সুতিভোলা খালে নৌপথ চালু হবে। এছাড়াও মিরপুর রূপনগর খাল হয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু হবে। এক্সপার্টদের সঙ্গে আলাপ করছি কীভাবে সব নৌপথে সংযোগ সৃষ্টি করা যায়। অনেক বাজেট প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপ করছি। আশা করছি জনগণের সহযোগিতায় দ্রুতই কার্যক্রম চালু করতে পারবো।
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, জনগণের নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববোধ জাগ্রত হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাল পরিষ্কার রাখতে হবে, দখলমুক্ত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
১১ মাস আগে
হাতিরঝিল এলাকায় ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ
হাতিরঝিল এলাকায় ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। যদিও প্রকল্পের কারণে প্রয়োজনীয় সড়ক মেরামতের কাজ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) গত সেপ্টেম্বরে তাদের কাজ শেষ করে নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা মেরামতের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দেয়।
সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি রাজউকের নিযুক্ত একটি ঠিকাদার সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করলেও তা খুব ধীর গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
ডিপিডিসি ও পিজিসিবি হাতিরঝিল লেকে ওভারহেড ক্যাবল প্রতিস্থাপনের জন্য ওই এলাকার রাস্তা খননের মাধ্যমে হাই ভোল্টেজ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করেছে।
পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিপিডিসি প্রথমে জুনে তার অংশের কাজ শেষ করে ও পরে সেপ্টেম্বরে পিজিসিবির কাজ শেষ হয়।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা জানান, কাজ শেষ হওয়ার পর রাজউক সড়কগুলো মেরামত করবে।
সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজউকের নিযুক্ত ঠিকাদার মগবাজার রেড ক্রিসেন্ট এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। কাজের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই এলাকার রাস্তায় ব্যাপক হারে ধুলাবালি বেড়েছে।
কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন রাস্তা ব্যবহার করতে হয় জানিয়ে রাজীব আহমেদ বলেন, ‘ধুলোবালি সবসময় উড়ছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে।’
পিজিসিবির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান সুমন জানান, তার প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই মাস আগে কাজ শেষ করে প্রকল্প এলাকা থেকে সব সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছে।
সড়ক মেরামতকাজের দায়িত্বে থাকা রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
হাতিরঝিল এলাকায় হাইভোল্টেজ ওভারহেড সঞ্চালন লাইন প্রতিস্থাপনের জন্য ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শুরু করে ডিপিডিসি।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, প্রকল্পটি শেষ হলে হাতিরঝিলে কোনো ওভারহেড ক্যাবল থাকবে না।
তিনি বলেন, হাতিরঝিল এলাকার দক্ষিণ অংশে রাস্তা খননের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করা হয় এবং রামপুরা ব্রিজ এলাকা দিয়ে মগবাজারে পৌঁছানো যায়।
রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুলশান, তেজগাঁও ও রামপুরার বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃত্রিমভাবে হাতিরঝিল লেক তৈরি করা হয়। তবে ওভারহেড কেবলগুলো পরিকল্পনার সঙ্গে জায়গার বাইরে ছিল।
হাতিরঝিল থেকে ওভারহেড ক্যাবল অপসারণ ডিপিডিসির বৃহত্তর পরিকল্পনার একটি অংশ।
যার মধ্যে রয়েছে- ডিপিডিসির মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করা।
আরও পড়ুন: খুলনার ময়ূর নদে হাতিরঝিলের আদলে হবে সেতু
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
১ বছর আগে
খুলনার ময়ূর নদে হাতিরঝিলের আদলে হবে সেতু
খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সেতু। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ময়ূর নদের উপর রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন এই সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহামুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, যানবাহনের চাপ বাড়ায় খুলনা মহানগরীর প্রবেশদ্বার ময়ূর নদের ওপর থাকা ব্রিটিশ আমলের একটি সেতুর পাশে ২০১৬ সালে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়।
দ্বিতীয় সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই পানির স্তর থেকে সেতুটির উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। পাশাপাশি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলে দুটি সেতুই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ময়ূর নদে পাশাপাশি নতুন ও পুরোনো দুটি সেতু রয়েছে। এ দুটি সেতু ভেঙে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন দুটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রথমে পুরোনো সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এটির কাজ শেষ হলে পাশাপাশি থাকা অপর সেতুটি ভেঙে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ ডিজাইনের সেতু দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৮ দশমিক ৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩ দশমিক ৭০ মিটার। সেতু দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। নদীর পানির সীমা থেকে সেতুর উচ্চতা হবে পাঁচ মিটার।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
১ বছর আগে
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের তারের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে চরম ভোগান্তির শিকার হাতিরঝিলের দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী যাত্রীরা। এদিকে এ বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে যাত্রীদের আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এক দিকে খোঁড়াখুঁড়ি, অপরদিকে বর্ষা- নগরীর যাত্রীদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মূলত হাতিরঝিল সড়ক ব্যবহার করে যেসব যাত্রী দ্রুত গুলশান বা রামপুরা থেকে মগবাজারে পৌঁছাতে চান তাদেরই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে গেছে এবং প্রায়ই যানবাহন গর্তে আটকে যাচ্ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তাদের ওভারহেড তারগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য এলাকার রাস্তা খননের মাধ্যমে উচ্চ ভোল্টেজের ভুগর্ভস্থ তারগুলো স্থাপন করছে।
ডিপিডিসির মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হাতিরঝিলের ওভারহেড ট্রান্সমিশন লাইনগুলো মাটির নিচে চলে যাচ্ছে।
পিজিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিপিডিসির তার স্থাপনের কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। তবে পিজিসিবির কাজ এখনও চলছে। আর এটি সম্পূর্ণ হতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চাইতে সুন্দর ও নান্দনিক হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক।
শিক্ষার্থীর নাম পুলক গোমেজ (২১) এবং আহত জাহেদ হাসান তার বন্ধু।
রবিবার (২৩ জুলাই) ভোর পৌনে ৪টার দিকে রামপুরা ডি আই টি রোডের মুখে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পুলক গোমেজ (২১) মার্টিন লুথার কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী বিপিন গোমেজের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
বর্তমানে নর্দা সরকার বাড়ি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিল ছোট।
স্থানীয়রা জানান, পুরান ঢাকায় বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলেন দুই বন্ধু। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে রামপুরা ডি আই টির ওয়াপদা রোডের মুখে সড়ক দুর্ঘটনা শিকার হন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে পুলককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, পুলকের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত জাহেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ দুর্ঘটনায় ট্রাকটি শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক নিহত
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় লেগুনা চালক নিহত
১ বছর আগে
হাতিরঝিলে বাসের ধাক্কায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত
রাজধানীর হাতিরঝিলে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিসুল হক সাকি (২৫) একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের নিহতের শ্যালক আল আমিনের বরাত দিয়ে জানান, সাকি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ছিলেন। তিনি উত্তরার একটি মেসে থাকতেন এবং হাতিরঝিলের সোনালীবাগে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: সিংড়ায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
মোটরসাইকেলে করে উত্তরার দিকে যাওয়ার পথে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান আল আমিন।
খবর পেয়ে এসআই আব্দুল কাদের ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ বছর আগে
রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালক নিহত
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়লে চালক নিহত হয়।
নিহতের নাম মো. ইসহাক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়লে চালক আহত হয়।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মোটরসাইকেল উল্টে দুই কলেজছাত্র নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
১ বছর আগে
হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ চার দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাউজককে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়েছে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি বহাল থাকবে বলে
এদিন আদালতে রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার ইমাম হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: ‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ঘোষণার রায় স্থগিত হয়নি: শুনানি ২৭ জুন
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ মে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ চার দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরে ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৫৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এই রায় স্থগিত চেয়ে গত বছর জুনে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাজউ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউককে লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলেন। সে অনুযায়ী রাজউক লিভ টু আপিল দায়ের করে। আজ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে রাজউককে আপিল দায়ের করতে বলেন আপিল বিভাগ।
জানা গেছে, হাইকোর্ট রায়ে হাতিরঝিলের পানি এবং এর নান্দনিক সৌন্দর্য ও মহামূল্যবান এই জাতীয় সম্পত্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি
১. সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদী রায় অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ি খালসহ হাতিরঝিল এলাকা যা ‘হাতিরঝিল’ নামে পরিচিত পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি তথ্য জনগণের ন্যাস সম্পত্তি তথা জাতীয় সম্পত্তি।
২. হাতিরঝিল এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ-সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদীর রায় অনুযায়ী বেআইনি এবং অবৈধ।
৩. হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
৪. রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনে মধ্যে সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য প্রতিপক্ষদেরকে (রিটের বিবাদীরা) নির্দেশ দেয়া হলো।
এছাড়াও, আদালত হাতিরঝিলের বিষয়ে ৯ দফা সুপারিশসহ পরামর্শ দেয়া হলো। সেগুলো হলো:
ক. হাতিরঝিল এবং বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং পরিচালনার নিমিত্তে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ তথা হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা।
খ. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কন্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ করা।
গ. জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন করা।
ঘ. নির্ধারিত দূরত্বে বিনামূল্যে সব জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা।
ঙ. পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা।
চ. পানির জন্য ক্ষতিকর হেতু লেকে সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
ছ. লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা।
জ. হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করা।
ঝ. হাতিরঝিল এবং বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ (রাজস্ব) বাজেট থেকে বরাদ্দ করা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে পাবলিক ট্রাস্ট (জনগণের সম্পত্তি) ঘোষণা করে ২০২১ সালের ৩০ জুন রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এ রায় দেন।
এর আগে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্লানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে রাজউকের নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পরে ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার ব্যক্তির ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যু
১ বছর আগে