১ মিনিট
এবারও ২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
অন্য বছরের মতো এবারও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাকআউট) থাকবে সারা দেশ। কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে।
তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। গত বছর অবশ্য রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে ২৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ২৫ মার্চ প্রতীকী ব্ল্যাকআউটের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রমজান মাসে তারাবির নামাজের বিষয় বিবেচনায় রেখে রাত ১২টা থেকে ১২টা এক মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্ল্যাকআউটের প্রস্তাব দেন। তবে বিস্তারিত আলোচনার পর সারা দেশে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালনের বিষয়ে সবাই একমত হন।
বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলোতে ব্ল্যাকআউট প্রযোজ্য হবে না বলেও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পুরো ঢাকাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা
এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন-স্থাপনায় কোনো অবস্থাতেই ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
অন্যান্য বছর ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমরাস্ত্র প্রদর্শনী হয়ে থাকে। এ বছর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী হবে না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৬৫ দিন আগে