ইফতারি সামগ্রী
রোজার শুরুতেই খুলনার বাজারে আকাশছোঁয়া দাম
খুলনার বাজারগুলোতে রোজার শুরুতেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষ করে বেগুনি, শসা ও লেবুসহ ইফতারি সামগ্রীর দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন-চারগুণ। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর কেসিসির বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।
প্রকারভেদে বেগুন কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা ছিল। শসা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রূপসা বাজার, ময়লাপোতা বাজার ঘুরে জানা যায়, ‘ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজি প্রতি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাজারে অহেতুক দাম বাড়ালে ছাড় নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের এক বিক্রেতার কাছে বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খামার থেকে মুরগি কম সরবরাহ হওয়ার কারণে এখন দাম একটু বাড়তি। তবে রমজানে মুরগির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে থাকবে।’
কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের মায়ের দোয়া ভেজিটেবল সপ-এর বিক্রেতা জানান, ‘দুদিনের ব্যবধানে আড়তে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সরবরাহ আগের মতো রয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকার কারণে আড়তদাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সাধারণ ক্রেতার কাছে জবাবদিহিতার শিকার হচ্ছি।’
তাসলিমা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে ভেবেছিলাম, কিন্তু চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়ে যাচ্ছে।
‘গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। কেসিসি দাম না কমিয়ে আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে,’ অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাগালের বাইরে চাল ও তেলের দাম
যদিও খুলনা জেলা প্রশাসন প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
৪০ দিন আগে