নীতিমালা
আর কোনো পরিস্থিতিতে যাতে ইন্টারনেট বন্ধ না হয়, সেই নীতিমালা হচ্ছে: ফয়েজ আহমদ
দেশে আর কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে যাতে ইন্টারনেট বন্ধ না হয়, সেলক্ষ্যে নীতিমালা তৈরি করতে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
রবিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘দ্রুতগতির মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফয়েজ বলেন, বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের অংশীদার হয়ে কাজ করছে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। এই সফরে বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্টারলিংক
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ভূমি বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের মতো কার্যক্রম পরিচালনায় এসব সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে। স্টারলিংক টিম এই কাজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব সম্পত্তি এবং কিছুক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে স্টারলিংক।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের স্থান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। স্টারলিংক বাংলাদেশের শহরে কিংবা প্রান্তিক অঞ্চলে, উত্তর অঞ্চল কিংবা উপকূলে লোডশেডিং কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলামুক্ত রিলায়েবল এবং হাইস্পিড ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা দেবে।’এ ছাড়াও এটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা এবং উচ্চমান কোয়ালিটি সার্ভিসের নিশ্চয়তা দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। প্রধান উপষ্টোর এই তথ্য সহকারী জানান, ‘যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যানসার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং ডিজিটাল ইকোনমিক ইনিশিয়েটিভগুলোকে বেগবান করবে।’
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সাথে একটা বোধগম্য মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ মোস্তফা হুসাইন।
মোস্তফা হুসাইন বলেন, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবাখাতে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি হতে হবে সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস। কোয়ালিটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করতে হবে। ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনতে হবে। ডাটার কোন মেয়াদ থাকবে না। ইন্টারনেট যে কোন অজুহাতে বাজে কোন কারণে সরকার বন্ধ করবে না এই ঘোষণা অথবা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবাখাতের সংস্কারের জন্য তিনি কিছু সুপারিশ করেন। সুপারিশে তিনি বলেন, অবৈধ আইএসপি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে মোবাইল অপারেটরদের আইএসপি ব্যবসা থেকে বিরত রাখতে হবে। ওভারহেড ফাইবার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। ব্যান্ডউইথ ও এনটিটিএন এর দাম নির্ধারণ না করে বাজার প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দিতে হবে। ইন্টারনেট এর ওপর কর কমিয়ে আনতে হবে। সহজ লভ্য হ্যান্ডসেট গ্রাহকদেরকে কিস্তির মাধ্যমে অপারেটরদেরকে বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মোবাইল অপারেটর যদি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায় আসে তাহলে আইএসপির ব্যবসা থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি'র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মাহতাব উদ্দিন, আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিডি জবসের সিইও ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, আইএসপিএবি'র সভাপতি ইমদাদুল হক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, বেসিসের অ্যাসোসিয়েট কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসির, গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডাইরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, রবির রেগুলেশনের ডিরেক্টর শাহ মো. ফজলে খোদাসহ আইআইজিবি, আইএসপিএবি, মোবাইর অপারেটর প্রতিনিধি এবং টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
৫২ দিন আগে
উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দিতে নীতিমালা জারি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪’ শিরোনামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ
নীতিমালায় বলা হয়, সরকার অথবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, তাদের স্ত্রী বা স্বামীর পৃথক আয় থাকলে অনুরূপ আয় ও সম্পদ বিবরণীও প্রধান উপদেষ্টার কাছে একইসঙ্গে জমা দিতে হবে। এ আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রধান উপদেষ্টা তার নিজের বিবেচনায় উপযুক্ত পদ্ধতিতে প্রকাশ করবেন। আয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য একটি ফরমও তৈরি করে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জানিয়েছে, দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে। তবে এ বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অটোমেটেড সরকারি আর্থিক সেবা
প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
২১১ দিন আগে
পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা না থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নীতিমালা তৈরিতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১১জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা: হাইকোর্টের রায় বহাল
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘নারীর একার পক্ষে একটি বাচ্চা সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া সিজারিয়ানদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও প্রকট। সিজার করার পর একজন নারী তেমন কোনো কাজই করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে পুরুষকেই বাচ্চার দেখাশোনা করতে হয়। এ কারণে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন। আদালতে এসব বিষয় তুলে ধরেছি। এছাড়া বলেছি, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৭৮টির বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু রয়েছে।’
এর আগে, গত ৩ জুলাই ছয় মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে এ রিট করেন।
রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য— এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার আমাদের দেশে অনেক বেশি। সিজারের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এই সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।
রিটে আরও বলা হয়, পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।
পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালা সংবিধানের ৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
২৯৫ দিন আগে
অনলাইন গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে আরও পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে বাস্তবতা ছিল, সে জায়গা থেকে সংখ্যাগত এবং গুণগত দিক থেকে আমরা কতটুকু এগিয়েছি, কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে- এগুলোর তুলনামূলক বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশনা বের করতে হবে।
আরাফাত আরও বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখন প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে। মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অধিদপ্তরের কাজে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করতে হবে।
ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩ প্রয়োজনবোধে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন তিনি।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪৪৯ দিন আগে
নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ আরোপ কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ রুল দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় বহাল: ভেঙে ফেলতে হবে গুলশান শপিং সেন্টার
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭, ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুইজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বিধানের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ৭ ডিসেম্বর রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এসব দলিলে সইকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
৪৫৬ দিন আগে
এআই’র নজরদারি ও বিভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা আবশ্যক: অধিকার বিশেষজ্ঞরা
জাতিসংঘের নিযুক্ত স্বাধীন অধিকার বিশেষজ্ঞদের মতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-চালিত স্পাইওয়্যার এবং বিভ্রান্তি বাড়ছে বলে মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে নতুন প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক নজরদারি ব্যবস্থা, মানুষের জ্ঞান বা সম্মতি ছাড়াই ‘সংবেদনশীল প্রেক্ষাপটে’ ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘জরুরি এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক সতর্ক সীমা প্রয়োজন যে প্রযুক্তির জন্য আবেগ বা লিঙ্গ স্বীকৃতি সঞ্চালনের দাবি করে।’ যারা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষার জন্য বিশেষ র্যাপোর্টার ফিওনুয়ালা নি আওলাইনকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তারা মানবাধিকার রক্ষক এবং সাংবাদিকদের কাজে স্পাইওয়্যার এবং নজরদারি প্রযুক্তিকে ইতোমধ্যেই ‘আতঙ্কজনক’ ব্যবহার এবং ‘প্রায়শই জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের আড়ালে’ প্রভাবের নিন্দা করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারকে সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে: জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ
তারা জেনারেটিভ এআই-এর বিদ্যুত-দ্রুত বিকাশকে মোকাবিলা করার জন্য নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে যা মিথ্যা অনলাইন সামগ্রীর ব্যাপক উৎপাদনে সক্ষম করে যা বিভ্রান্তি এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন যে এই পদ্ধতিগুলো ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়গুলোকে আরও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য প্রকাশ না করে। যার মধ্যে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুপ্রবেশকারী নজরদারি অনুশীলনের সম্প্রসারণ এবং অপব্যবহারের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম, বৈষম্য সহজতর এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে কমিশনকে সক্রিয় করে।
তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তাভাবনা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, এবং প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার এবং মানবিক পরিষেবাগুলোতে ব্যবহারের জন্য সম্মানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যেখানে মানবাধিকারের অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় সেখানে নির্দিষ্ট প্রযুক্তি এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম মিডিয়ার সম্মুখীন হলে জনগণকে সতর্ক করতে এবং ব্যবহৃত প্রশিক্ষণের ডেটা এবং মডেলগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য প্রবিধান জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
বিশেষজ্ঞরা মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বড় আকারের ডেটা সংগ্রহ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহসহ উন্নত লক্ষ্যযুক্ত নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবহার পর্যন্ত ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সতর্কতার জন্য তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তারা বলেন, ‘আমরা এই ধরনের পদক্ষেপগুলো ব্যবহারে সংযম করার আহ্বান জানাই যতক্ষণ না বৃহত্তর মানবাধিকারের প্রভাবগুলো সম্পূর্ণরূপে বোঝা না হয় এবং শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা সুরক্ষা ব্যবস্থা না হয়।’
স্পেশাল র্যাপোর্টর্স এবং অন্যান্য অধিকার বিশেষজ্ঞরা সকলেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল দ্বারা নিযুক্ত হন। তারা নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক সমস্যা বা দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং রিপোর্ট করার জন্য বাধ্য হন। তারা জাতিসংঘের কর্মী নন এবং তাদের কাজের জন্য বেতন পান না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকারের ওপর দারিদ্র্যের প্রভাব পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
৬৯৭ দিন আগে
কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক দাম নির্ধারণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং কৃষকদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কিছু লক্ষ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করে নীতিটি তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, নীতিমালায় কৃষিপণ্যের বাজার কীভাবে মনিটরিং করা যায় এবং কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া যায় তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নীতি অনুসারে নেয়া অন্যান্য পদক্ষেপগুলো হলো- কৃষক ও বাজারের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো, তথ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, বিপণন অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডিজিটাল বাজারের প্রচার, গ্রুপভিত্তিক, গোষ্ঠীভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক বিপণনকে শক্তিশালী করা, ই-কৃষি বিপণনের প্রচারের অন্তর্ভুক্ত সিস্টেম এবং ডিজিটাল বাজার এবং সামগ্রিক সরবরাহ চেইন উন্নয়ন করা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ খাতের আধুনিকীকরণ, পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা পণ্য ব্যবহার করে এবং বিদেশি লোকেরাও পণ্যগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পাটজাত পণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পাট খাতকে কৃষি খাতের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ৯০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, পাটজাত পণ্যকে শিল্প পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু এখন পাটের আঁশের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাই, এখন এই বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পাটজাত পণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
শরীয়তপুরে দেশের নবম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এটি বর্তমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ইনস্টিটিউট হবে।’
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা একটি বিদ্যমান অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে, যা সরকারকে গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পথ প্রশস্ত করেছে।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’- বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে জারি করা হয়েছিল।
গত ৫ জানুয়ারি সংসদে নতুন অধ্যাদেশ পেশ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ এখন আইনে পরিণত হচ্ছে। এখানে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এটি অধ্যাদেশের মতোই।’
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
৮৪২ দিন আগে
নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নীতিমালা করছে ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে। সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদ্যস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে: ইউজিসি
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন এবং ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ।
কমিটিকে শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির বিষয়ে ইউজিসি জানায়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,অধিকাংশ নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এছাড়া,ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এজন্য নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, অবকাঠামো ও কারিকুলাম চূড়ান্ত না করে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিমালা করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে শুরু করবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হলে দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি হবে। এছাড়াও তারা বৈশ্বিক বাজার উপযোগী হিসেবেও গড়ে উঠবে।
সভায় কমিটির সদস্যরা জানান, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সংকট রয়েছে এবং জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্লান তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নীতিমালাটির খসড়া তৈরি হবার পর কমিটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সভা ও সেমিনারের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা তৈরি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
৯৪৭ দিন আগে
প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত, নীতিমালা প্রণয়ন
এখন থেকে প্রতি বছর ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অধস্তন আদালতের পাঁচজন বিচারক এবং সকল জেলার মধ্য থেকে দলগতভাবে একটি জেলা জজশীপ/মহানগর দায়রা জজশীপকে এই পদক দেয়া হবে। আর এ জন্য ‘প্রধান বিচারপতি পদক নীতিমালা, ২০২২’- প্রণয়ন করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং বিচারিক সেবার উৎকর্ষ অর্জন, কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, শুদ্ধাচার, সক্ষমতা, দক্ষতার উন্নয়ন ও বিকাশে এবং বিদ্যমান মামলার জট নিরসন করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য মামলা-মোকদ্দমার নিষ্পত্তি আরও গতিশীল করতে প্রতিবছর এ পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি পদক নীতিমালা, ২০২২ এবং প্রধান বিচারপতি পদকের আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নীতিমালার বিধান ৯(গ) অনুসারে জেলা ও মহানগর বাছাই কমিটি গঠন সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি ও কমিটির সদস্যদের নাম ও পদবিসহ তালিকা সরাসরি অথবা ডাকযোগে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (দৃষ্টি আকর্ষণ: সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী কর্মকর্তা, প্রধান বিচারপতি পদক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাছাই সংক্রান্ত জাজেস কমিটি)’ বরাবরে এবং উক্ত বিজ্ঞপ্তির সফট কপি নির্ধারিত মেইলে পাঠাতে হবে। প্রধান বিচারপতি পদকের আবেদন ফরম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে মন্ত্রিসভায় নীতিমালা অনুমোদন
৯৯৪ দিন আগে
সন্ধ্যা ৬টার পর বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
বালি উত্তোলনের বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, এটি শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে আমরা বলেছি, বালি উত্তোলন কোনক্রমেই সন্ধ্যার পরে হবে না। বালি উত্তোলনের সময় হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। যাতে দিনের বেলা বালি উঠানো হয়, তাহলে জনগণসহ সবাই দেখতে পারবে।
সোমবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙনের সবচেয়ে বড় কারণ বালি উত্তোলন। বালি উত্তোলনের ব্যবসাটি একটি রমরমা ব্যবসা। এখানে বিনিয়োগ খুবই কম, দেশীয় ছোট ছোট ট্রলার নিয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে তারা বালি উঠায়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় বালু তুলতে পারবেন না সেলিম চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বালুমহাল আছে, জেলা প্রশাসন এসব বালুমহাল ইজারা দেয়। জেলা প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা আছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বালুমহাল ঘোষণা করতে হবে। তারা সেখান থেকে বালি উঠাতে পারবে। তবে বালি উঠানো আমরা বন্ধ করতে পারবো না। বালি উঠানো বন্ধ করলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে, বালির দাম বেড়ে যাবে।'
জাহিদ ফারুক বলেন, 'আমি মনে করি বালি উত্তোলন যদি সঠিকভাবে হয়, তবে এই নদী ভাঙনের যে প্রবণতা আছে তা অনেকাংশে কমে যাবে। এখন ইঞ্জিনিয়াররা বলা শুরু করেছেন, এভাবে যদি বালু উত্তোলন করা হয় তবে যতই কাজ করি সব দোষ তো এসে আমাদের উপরে এসে পড়বে। তারাও একটা অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করছেন।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন: সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৬ জনের জরিমানা
১০৫২ দিন আগে