অস্কার ২০২৫ বিজয়ী সেরা সিনেমা
অস্কার ২০২৫: ৯৭তম অ্যাকাডেমি পুরষ্কারের আসর মাতালেন যারা
মহা সমারোহে পর্দা নামলো বিশ্ব চলচ্চিত্রের মহা উৎসব অস্কারের ৯৭তম আসরের। ২০২৫-এর ২ মার্চ কোটি কোটি সিনেমাপ্রেমির উদ্দীপ্ত দৃষ্টি ছিল লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারের দিকে। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিক্চার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’র পরিবেশনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল মার্কিন মুল্লুকের হলিউড সন্ধ্যা। কমেডিয়ান কোনান ও'ব্রায়েনের হাস্যোজ্জ্বল সম্ভাষণে শুরু হলো সেরা সব স্বপ্নবাজদের সম্মাননা। ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোকে ঘিরে একে একে উদ্ভাসিত হতে থাকল ২৩টি বর্ণিল বিভাগ। চলুন, ২০২৫-এর অস্কার পুরষ্কারে ভূষিত তারকা এবং তাদের শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সেরা নির্মাণ, নির্মাতা, এবং অভিনয়শিল্পীরা
আসরের সেরা সিনেমার তকমা পেয়েছে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা শন বেকারের ছবি ‘অ্যানোরা’। মুভির সম্পাদনা, রচনা, এবং পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনা টিমেও ছিলেন বেকার। আয়োজনের মধ্যমণি হতে ফিল্ম ন্যাশন ইন্টারটেইনমেন্ট ও ক্রি ফিল্মের এই যৌথ নির্মাণটিকে পেছনে ফেলতে হয়েছে ৮টি চলচ্চিত্রকে। সেগুলো হলো- 'দ্যা ব্রুটালিস্ট', 'এ কম্প্লিট আন্নোন', 'কনক্লেভ', 'ডিউন: পার্ট টু', 'এমিলিয়া পেরেজ', 'আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার', ‘নিকেল বয়েজ’, 'দ্যা সাবস্ট্যান্স', এবং 'উইকেড'।
সেরা নির্দেশকের পুরষ্কারটিও ছিলো অ্যানোরা’র নির্মাতার হাতেই। এই প্রতিযোগিতায় বেকারের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন 'দ্যা ব্রুটালিস্ট'র ব্র্যাডি করবেট, 'এ কম্প্লিট আন্নোন'র জেমস ম্যানগোল্ড, 'এমিলিয়া পেরেজ'র জ্যাক অদিয়ার্দ, এবং 'দ্যা সাবস্ট্যান্স'র কোরালি ফার্জা।
'দ্যা ব্রুটালিস্ট' মুভির ‘লাজেলো টথ’ হিসেবে অভিনয়ের জন্য প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেতার খেতাব পেয়েছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত তার সহযাত্রী ছিলেন ৪ জন। প্রথম দুজন হলেন 'এ কম্প্লিট আন্নোন'র বব ডিলানের ভূমিকায় থাকা টিমোথি শ্যালামেট এবং ‘সিং সিং’ চলচ্চিত্রে জন ‘ডিভাইন জি’ হুইটফিল্ডের চরিত্রে থাকা কোলম্যান ডোমিঙ্গো। বাকি দুজন 'কনক্লেভ'র কার্ডিনাল টমাস লরেন্স চরিত্রে অভিনীত রালফ ফিয়েন্স এবং ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ সিনেমার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকায় অভিনয় করা সেবাস্টিয়ান স্ট্যান।
আরো পড়ুন: ভালোবাসা দিবস ২০২৫: ভ্যালেন্টাইনস ডেতে মুক্তি পাচ্ছে যেসব নাটক
অ্যানোরা’র প্রধান অ্যানোরা ‘আনি’ মিখিভা হিসাবে চরিত্রটির জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন মাইকি ম্যাডিসন। তার এই চরিত্রের সঙ্গে আরও ৪টি চরিত্র লড়েছিলো শ্রেষ্ঠ নারী অভিনয়শিল্পী বিভাগ জেতার জন্য। প্রথম দুটি চরিত্র হলো সিনথিয়া এরিভো’র এলফাবা থ্রপ (উইকেড) এবং কার্লা সোফিয়া গ্যাস্কোন’র এমিলিয়া পেরেজ/জুয়ান ‘ম্যানিটাস’ ডেল মন্টে (এমিলিয়া পেরেজ)। বাকি দুটি ডেমি মুর অভিনীত এলিজাবেথ স্পার্কল (দ্যা সাবস্ট্যান্স) এবং ফার্নান্দা টরেস’র ইউনিস পাইভা (আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার)।
‘এ রিয়েল পেইন’ চলচ্চিত্রের বেঞ্জি কাপলানের চরিত্রের জন্য পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন কিইরান কালকিন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ৪ অভিনেতাকে। এর মধ্যে ইউরা বোরিসভের নাম এসেছিল ‘অ্যানোরা’র ‘ইগোর’ এবং এডওয়ার্ড নর্টন নির্বাচিত হয়েছিলেন 'এ কম্প্লিট আন্নোন'র ‘পিট সিগার’ চরিত্রের জন্য। গায় পিয়ার্সের চরিত্র ছিলো 'দ্যা ব্রুটালিস্ট'-এর হ্যারিসন লি ভ্যান বিউরেন সিনিয়র এবং জেরেমি স্ট্রংয়ের চরিত্র ছিলো ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’র রয় কোন।
'এমিলিয়া পেরেজ'–এ রিতা মোরা ক্যাস্ত্রো চরিত্রটি করেছিলেন জো সাল্ডানা এবং এর জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরষ্কার জিতেন। বিভাগটির জন্য তিনি সহ মোট ৫ জন অভিনেত্রী মনোনীত হয়েছিল। এর মধ্যে মনিকা বারবারোকে নির্বাচিত করা হয়েছিল জোয়ান বেজ (এ কম্প্লিট আন্নোন) ভূমিকায় এবং আরিয়ানা গ্র্যান্ডের নাম এসেছিল গালিন্ডা ‘গ্লিন্ডা’ আপল্যান্ড (উইকেড) চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ফেলিসিটি জোন্সের চরিত্রের নাম ছিলো এর্জসেবেত টথ (দ্যা ব্রুটালিস্ট) এবং ইসাবেলা রোসেলিনির চরিত্রের নাম সিস্টার অ্যাগ্নেস (কনক্লেভ)।
এবারের আসরের সেরা এনিমেটেড ফিচার ফিল্মের মর্যাদা পেয়েছে সংলাপহীন সিনেমা ‘ফ্লো’। গিন্টস জিল্বালদিস পরিচালিত লাটভিয়ান চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ড্রিম ওয়েল স্টুডিও, স্যাক্রেব্লিউ প্রডাকশন্স ও টেক ফাইভ’র যৌথ প্রযোজনায়। পুরষ্কার ঘোষণার আগে মনোনয়নের সারিতে এর সঙ্গে ছিলো ‘ইন্সাইড আউট ২’, যার প্রথম পর্বটি ২০১৬ সালে অস্কার জিতেছিল। অন্যান্য এনিমেটেড মুভিগুলো হলো- ‘মেমোয়ার অফ এ স্নেইল’, ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রোমিট: ভেঞ্জেন্স মোস্ট ফাউল’, এবং ‘দ্যা ওয়াইল্ড রোবট’।
২০২৪ সালের সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম ব্রাজিলিয়ান সিনেমা ‘আই অ্যাম স্টিল হেয়ার’। পর্তুগিজ ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি নির্দেশনায় ছিলেন ওয়াল্টার সালেস। এই বিভাগের মনোনয়নপ্রাপ্ত ছবিগুলো হলো- 'এমিলিয়া পেরেজ' (ফ্রান্স), ‘ফ্লো’ (লাটভিয়া), ‘দ্যা গার্ল উইথ দ্যা নিডল’ (ডেনমার্ক), এবং ‘দ্যা সিড অফ দ্যা সেইক্রেড ফিগ’ (জার্মানি)।
শর্ট ফিল্মের সারিতে সেরা লাইভ অ্যাকশন বিভাগে জয় পেয়েছে ‘আই’অ্যাম নট এ রোবট’ এবং সেরা এনিমেশন জিতেছে ইরানি শর্ট ফিল্ম ‘ইন দ্যা শ্যাডো অফ দ্যা সাইপ্রাস’।
সেরা ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্ম ‘নো আদার ল্যান্ড’ এবং সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম ‘দি অনলি গার্ল ইন দি অর্কেস্ট্রা’।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
পর্দার পেছনের অন্যান্য কলাকুশলীরা
জাঁকজমক উৎসবের লাইমলাইটে থাকা চলচ্চিত্র ‘অ্যানোরা’র আরও দুটি অর্জন হচ্ছে সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য এবং সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদনা। সিনেমাটির একমাত্র চিত্রনাট্যকার ও সম্পাদক হওয়ায় যথারীতি এই পুরষ্কারটি গিয়েছে শন বেকারের হাতেই।
অন্য গল্পের ছায়ায় নির্মিত চিত্রনাট্যে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কারটি পেয়েছেন পিটার স্ট্রন 'কনক্লেভ' সিনেমার জন্য। এর গল্পটি তিনি নিয়েছিলেন ব্রিটিশ লেখক রবার্ট হ্যারিসের একই শিরোনামের উপন্যাস (২০১৬) থেকে।
প্রথমটির মতো ‘ডিউন: পার্ট টু'ও এবার জিতে নিয়েছে সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের খেতাব। সম্মাননার অংশীদার হয়েছেন পল ল্যামবার্ট, স্টিফেন জেম্স, রীস সালকম্ব, এবং গার্ড নাফজার। এই স্বীকৃতি অর্জনে তাদের লড়াই হয়েছিলো ‘এলিয়েন: রোমুলাস’, ‘বেটার ম্যান’, ‘কিংডম অফ দ্যা প্ল্যানেট অফ দি এপ্স’ এবং 'উইকেড'র সঙ্গে। এছাড়া 'ডিউন: পার্ট টু'র শব্দগ্রহণের জন্য পুরষ্কৃত হয়েছেন গ্যারেথ জন, রিচার্ড কিং, রন বার্টলেট, এবং ডগ হেমফিল।
'দ্যা ব্রুটালিস্ট'র অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি পুরষ্কার হলো শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফি, যেটি পেয়েছেন লল ক্রোলি। মৌলিক স্কোরের জন্য সেরা সঙ্গীতায়োজনের পুরষ্কার পেয়েছেন ড্যানিয়েল ব্লামবার্গ।
ক্লেমেন্ট ডুকল ও ক্যামিলির গাওয়া ‘এল মাল’ (এমিলিয়া পেরেজ) গানটি সেরা মৌলিক গান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ডুকল এবং ক্যামিলির পাশাপাশি গানটির কথা লিখেছেন জ্যাক অদিয়ার্দ।
'উইকেড'র শোকেস-এ যুক্ত হয়েছে সেরা প্রডাকশন ডিজাইনের পদবি, যার কৃতিত্ব নেইথান ক্রাউলি এবং লি সান্ডালিসের। আর সেরা কস্টিউম ডিজাইনের পুরষ্কার ঘরে তুলেছেন পল টাজেওয়েল।
সেরা মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং বিভাগের বিজয়ীরা হলেন 'দ্যা সাবস্ট্যান্স'-এর পিয়েরে-অলিভিয়ার পার্সিন, স্টেফানি গিলন এবং মেরিলিন স্কারসেলি।
আরো পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: সঙ্গীতের সেরা পুরস্কার বিজয়ীরা
অস্কার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড
শন বেকার ৪টি পুরষ্কার জয় করে দ্বিতীয়বারের মতো একই বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতার রেকর্ড গড়লেন। এর আগে এই রেকর্ডের একমাত্র অধিকারী ছিলেন কিংবদন্তির এনিমেটর ওয়াল্ট ডিজনি।
এ আসরে সর্বোচ্চ মনোনয়নের (১৩) অধিকারী চলচ্চিত্র 'এমিলিয়া পেরেজ'। একই সঙ্গে এটি নন-ইংলিশ ভাষার চলচ্চিত্রের দিক থেকেও সর্বাধিক মনোনয়নপ্রাপ্ত। কেননা এর আগে চাইনিজ মুভি ‘ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন’ (২০০০) এবং স্প্যানিশ মুভি ‘রমা’ (২০১৮) প্রত্যেকে এক আসরে ১০টি মনোনয়নের অধিকারী ছিল। এছাড়াও মুভিটি ‘আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে একত্রে সেরা ছবি এবং সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্মের জন্য মনোনয়ন পায়। একসঙ্গে দুটি বিভাগে দুটি চলচ্চিত্রের মনোনয়ন পাওয়ার ঘটনা অস্কারের ইতিহাসে এই প্রথম।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে টিমোথি শ্যালামেট সর্বকনিষ্ঠ অভিনয়শিল্পী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো (প্রথমবার ২০১৮তে) প্রধান সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছেন। সর্বশেষ ১৯৫৭ সালে এই রেকর্ডের অধিকারী হয়েছিলেন জেমস ডিন।
‘অ্যানোরা’তে সহশিল্পীর মনোনয়ন পেয়েছেন রাশিয়ান অভিনেতা ইউরা বোরিসভ। ১৯৭৮ সালের মুভি ‘দ্যা টার্নিং পয়েন্ট’র জন্য মিখাইল বারিশ্নিকভের পর এই প্রথম এই বিভাগের মনোনয়নে একজন রাশিয়ান অভিনেতার নাম এসেছে।
প্রথম পর্তুগিজ ভাষার ছবি হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ছবিটির নাম 'আই’অ্যাম স্টিল হেয়ার'।
একসঙ্গে সেরা এনিমেটেড এবং সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম উভয় বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া দ্বিতীয় এনিমেটেড মুভি ‘ফ্লো’। পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালে ‘ফ্লি’ মুভির ক্ষেত্রে।
প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মোট ৫টি মুভি থেকে অভিনেত্রীদের মনোনয়ন নির্ধারিত হয়েছিল। এই ৫টির সবকটিই সেরা ছবি বিভাগের মনোনয়নের কাতারে রয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর এই ৯৭তম অস্কারে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটল।
'উইকেড' ছবির সেরা শব্দগ্রহণে মনোনয়নপ্রাপ্ত আর্টিস্টদের মধ্যে রয়েছেন অ্যান্ডি নেলসন। এই সাউন্ড মিক্সার এ নিয়ে মোট ২৫টি অস্কার মনোনয়ন পেলেন। এর মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মনোনয়নধারীর রেকর্ড করলেন। প্রথম স্থানে থাকা ব্যক্তিটি হচ্ছেন জন উইলিয়াম্স, যিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ নিয়ে সর্বমোট ৫৪টি মনোনয়ন পেয়েছেন।
শেষাংশ
২০২৫ সালের অস্কার বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের কতগুলো অনন্য ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল। উৎসবমুখরতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ‘অ্যানোরা’। সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা প্রধান অভিনেত্রী (মাইকি ম্যাডিসন), সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য ও সেরা সম্পাদনা সবই এই মুভির ঝুলিতে। সেরা প্রধান অভিনেতা (অ্যাড্রিয়েন ব্রডি), সেরা সিনেমাট্রোগ্রাফি, এবং সেরা মৌলিক স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে 'দ্যা ব্রুটালিস্ট'। 'এমিলিয়া পেরেজ'র সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়নের রেকর্ডের ফলে আরও বেশি বিদেশি ভাষার সিনেমামুখী হবে সিনেমাপ্রেমীরা। সর্বোপরি, প্রতিটি বর্ণিল ক্যাটাগরি বৈচিত্র্যপূর্ণ সজ্জায় নৈপুণ্য মেলে ধরেছে সমগ্র চলচ্চিত্র জগৎকে।
আরও পড়ুন: ষাটে পা রাখতে যাচ্ছেন বলিউডের তিন খান, কী থাকছে চমক?
২৩ দিন আগে