বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন
বড় পরিবর্তন এনে মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা পরিবর্তন করে নতুন বিধিমালা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিসিইসি)। নতুন সেই খসড়া বিধিমালা অনুমোদন পেয়েছে।
বিএসইসি জানায়, মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০০১ রহিত করে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৬৯তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং বিনিয়োগকারী ও ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১’ রহিত করে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএসইসি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে প্রথম ৩ ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও মিউচুয়াল ফান্ডের সুশাসন নিশ্চিত করতে এই নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
কমিশন জানায়, নতুন বিধিমালায় মিউচুয়াল ফান্ড খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ যেমন: ট্রাস্টি, হেফাজতকারী ও সম্পদ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়েও এই খসড়ায় গুরুত্ব পেয়েছে।
খসড়া বিধিমালা জনমত যাচাইয়ের লক্ষ্যে কমিশনের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছে বিএসইসি।
১০৭ দিন আগে
বিএসইসির কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং লাঞ্ছনার অভিযোগ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে ওএসডি এবং পরবর্তীতে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটির একদল কর্মকর্তা সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, কমিশনার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুপুর পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা কমিশনের চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের পাশাপাশি সাইফুর রহমানকে স্বপদে বহালের দাবি জানান।
পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তায় কর্মকর্তাদের বের করে আনা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় (৫ মার্চ) বিএসইসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ বছর চাকরি সমাপ্ত করায় বিধি মোতাবেক সাইফুর রহমানকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অবসর প্রদান করা হয়। এই সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের বোর্ড রুমে চলমান সভায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে তাদের অবরূদ্ধ করে। তারা কমিশন মূল ফটকে তালা দেয়, সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অরাজক এবং ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও পেশি শক্তি প্রদর্শন করে। এছাড়া তারা চেয়ারম্যানের সদ্য যোগ দেয়া ব্যক্তিগত সচিবকে লাঞ্ছিত করে। চার ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর প্রথমে পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখের ব্যাখ্যা দিল বিএসইসি
বিগত দিনের পুঁজিবাজাররের বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১২ টি লিস্টেড কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে। এ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি ৭টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এর ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান, যার আওতায় রয়েছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিএসইসির কিছু কর্মকর্তা। এদের ইন্ধনেই এমন ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় বিএসইসির কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এ অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৭৪ দিন আগে