সোলায়মান সেলিম
যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে, একটু সময় দেন: সোলায়মান সেলিম
আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ এলে অবাক হবো না। ‘জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।’
বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক লালবাগ থানার এক হত্যা মামলায় সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে সোলাইমানসহ সাবেক আওয়ামী সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।
তাদের হাতকড়া, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয়। অন্যান্য দিনের মতো কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সারি করে নিরাপত্তাবেস্টনী দিয়ে দাঁড়ান। প্রত্যেক আসামির আইনজীবীও কাছে চলে আসেন। আসামিরা ওকালতনামায় সই করেন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন।
এ সময় আইনজীবী সোলায়মান সেলিমের কাছে জানতে চান, কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন? এ সময় তিনি বলেন, ‘রোজা রাখছি। বই পড়ি। পরিবারের সেঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়।’ এছাড়া দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে বিচারক আসেন। তাতে কর্ণপাত না করে সোলাইমান সেলিম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে, শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছেন আপনরা।’ এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সোলাইমানকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। আমি অবাক হব না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে! বোঝা শেষ।’ শুনানি শেষে সোলাইমানকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় তিনি আরেক আইনজীবীকে ডেকে তার বাবা হাজী সেলিমের বিষয়ে খোঁজ নেন।
হাজতখানায় যাওয়ার সময় সোলাইমানকে তার বক্তব্য ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ’ এ বিষয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।’
১৮ দিন আগে