গাজা
গাজায় শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ২১ জনের মৃত্যু
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লেগে ২১ জন নিহত হয়েছে।
এ অঞ্চলটির হামাস শাসকরা বলেছেন, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার বাইরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।
হামাস জানিয়েছে, জনাকীর্ণ জাবালিয়া ক্যাম্পের তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বাড়ির ভিতরে কেউ বেঁচে নেই।
হামাস দ্বারা পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, আগুনের কারণ ভবনে মজুত করা পেট্রল।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যু, ২ বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা
তবে পেট্রলে কিভাবে আগুন লাগল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।
গাজা হামাস শাসিত। ইসরায়েল-মিশরীয় অবরোধের কারণে তীব্র জ্বালানি সংকটের মুখে রয়েছে এখানকার অধিবাসীরা। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার নাগরিকেরা বাড়িতে রান্নার গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল সংরক্ষণ করে। এর আগেও কয়েকবার মোমবাতি ও গ্যাস লিকেজের কারণে বাড়িতে আগুন লেগেছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং শুক্রবারকে শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু, সরকার এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ ইসরায়েলকে গাজার সঙ্গে তার সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে আহতদেরকে পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া যায়। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় বাড়ির সবাই মারা গেছে।
গাজা স্ট্রিপের সঙ্গে ইরেজ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সংস্থা সিওজিএটি কোনো মন্তব্য করেনি।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়ে এ টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা সিওজিএটি -এর মাধ্যমে আহত বেসামরিক নাগরিকদের হাসপাতালে সরিয়ে নিতে আমাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছি। ইসরায়েল রাষ্ট্র গাজার বাসিন্দাদের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: মনপুরায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ২ বাংলাদেশি শনাক্ত
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে পৌঁছেছে।
তাদের দাবি, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু এবং চারজন নারীও রয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদি গোষ্ঠী তিন দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে এক হাজারেরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
তারা জানায়, ফিলিস্তিনে তাদের হামলায় ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এদের মধ্যে দুজন জিহাদি নেতা ও বেশ কয়েকজন জিহাদি বলেও তারা দাবি করে।
তারা আরও দাবি করে, ফিলিস্তিনি জিহাদিরা রকেট হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
তবে এবারের সংঘর্ষে কোনো ইসরায়েলি নিহত বা গুরুতর আহত হয়নি বলে তারা জানায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এ যুদ্ধের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি ফ্লাইটে সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত
আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ফিলিস্তিন-ইসরায়েল
তিন দিনের সহিংস সংঘর্ষের পর রবিবার রাতে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
মিশরের মধ্যস্থতায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলি এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর রকেট হামলা অব্যাহত ছিল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হলে তারা ‘কঠোরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’।
গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি বিমান গাজায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। অপরদিকে ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে শত শত রকেট নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ২০০ শতাধিক মানুষ।
ইসরায়েল শুক্রবার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর একজন নেতার ওপর হামলার মাধ্যমে তাদের অভিযান শুরু করে। শনিবার আরেকজন শীর্ষ নেতার ওপর আরেকটি হামলা চালায়।
সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা কমান্ডার খালেদ মনসুর শনিবার গভীর রাতে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শরণার্থী শিবিরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে বিমান হামলায় নিহত হন। এসময় আরও দুই জঙ্গি এবং পাঁচজন বেসামরিক লোক নিহত হয়।
গত বছর গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সর্বশেষ এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল।
পড়ুন: ক্রোয়েশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত
ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৩
গাজা সংলগ্ন প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট আবারও খুলছে ইসরাইল
উপকূলীয় ছিটমহলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পর ইসরাইল গাজা স্ট্রিপের উত্তর প্রান্তের ইরেজ ক্রসিং পয়েন্ট ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এটি চালু করা হবে।
এবিষয়ে সোমবার ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ইসরাইলি মেজর জেনারেল ঘাসান আলিয়ান সাংবাদিকদের এক বিবৃতিতে বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়নের পর মঙ্গলবার থেকে ইরেজ ক্রসিং দিয়ে গাজা থেকে ইসরায়েলে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রবেশ ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের চলাচলের জন্য ক্রসিং খুলে দেয়া এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে অন্যান্য বেসামরিক পদক্ষেপগুলো এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার শর্তসাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মেয়াদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ম্যাক্রোঁ
গাজার অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্রসিং উন্মুক্ত রাখলে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান অর্থনৈতিক অবনতি ও স্থবিরতার বর্তমান অবস্থা ভাঙতে একটি গুণগত পরিবর্তন হতে পারে।
তারা বলেছে, প্রায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিক ও ব্যবসায়ী প্রতিদিন গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে পাড়ি জমাচ্ছে। যা উপকূলীয় ছিটমহলে ৫ মিলিয়ন ইসরায়েলি শেকেল (এক দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক তারল্য নিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে পর্যটকবাহী নৌকায় হাঙরের ধাক্কা, আহত ৬
হামাসের ‘আগুনে বেলুন’ ছোড়ার জবাবে গাজায় দ্বিতীয় দফা বিমান হামলা ইসরায়েলের
মে মাসে ১১ দিনের লড়াই শেষে মেনে নেয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের ‘আগুনে বেলুন’ ছোড়ার জবাবে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার গাজা সিটির উত্তরপশ্চিম এবং বেইত লাহিয়ার উত্তরে বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। এছাড়াও জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি প্রশাসনিক ভবন এবং খান ইউনিস শহরের পূর্বে একটি কৃষিমাঠেও আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
তবে এসব হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, ফিলিস্তিনিদের ছোড়া বেলুনে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আগুন ধরে গেলে জবাবে হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
এর জবাব দেয়ার দাবি করে গত বুধবারও ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
উল্লেখ্য, মে মাসে অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলিদের টানা ১১ দিনের হামলায় অন্তত ২৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে ৬৬ শিশুও রয়েছে। বিপরীতে ফিলিস্তিনিদের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে বিদেশিসহ ১৩ জন প্রাণ হারান।
যুদ্ধবিরতির পর ফের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
গত মাসে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতির পর আবারও গাজায় বিনা উস্কানিতে সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার প্রথম প্রহরে গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, ওই সব এলাকা থেকে হামাস ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করতো। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের ঘটনা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে গেলো হামাস-ইসরায়েল
মঙ্গলবার পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় শতাধিক উগ্র জাতীয়তাবাদি ইসরায়েলি পতাকাসহ বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিলে তারা আরবদের মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দিতে থাকে। এই মিছিলের মাধ্যমে নতুন করে গাজা উপত্যকায় সহিংসতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
অবশ্য ইসরায়েলিদের এমন আচরণে জবাবে ফিলিস্তিনিরা দাহ্য গ্যাসপূর্ণ বেলুন উড়িয়ে দেয়। এর ফলে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ১০ জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনিরা মনে করে, ১৯৬৭ সালে জোরপূর্বক পূর্ব জেরুজালেম দখলের বর্ষপূর্তি উদযাপনের এবং উস্কানি ছড়াতেই এমন মিছিল করে ইসরায়েলিরা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
এদিকে গাজার শাসক দল হামাস ইসরায়েলিদের এমন উস্কানিমূলক মিছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
মাগুরায় গাঁজা চাষের অভিযোগে দম্পতি গ্রেপ্তার
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার মনোখালী গ্রাম থেকে গাঁজা চাষের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার গাঁজা গাছসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছাদে ফুলের টবে গাঁজা চাষ: ১৯০টি চারাসহ আটক ১
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শালিখা উপজেলার মৃত নুর আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. শাহীন মোল্লা (৩৫) এবং তার স্ত্রী মোছা. রেখা খাতুন(৩০)।
আরও পড়ুন: বেগুন খেতের আড়ালে গাঁজা চাষ!
শালিখা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শালিখা উপজেলার গংগারামপুর ইউনিয়ন মনোখালি (গজনগর) গ্রামে মো. শাহীন মোল্লা এবং তার স্ত্রী মোছা. রেখা খাতুন গাঁজা চাষ করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালায়। শালিখা উপজেলার হাজরাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই বুলবুল এবং ফোর্স মো. শাহীন মোল্লা বাড়িতে অভিযানে চালিয়ে গাঁজা গাছসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ট্রাক জব্দ
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে শালিখা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে গেলো হামাস-ইসরায়েল
জেরুজালেম, ২১ মে (এপি/ইউএনবি)- গাজা উপত্যকায় ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। এই সংঘর্ষে দুই শতাধিক মানুষ মারা যাবার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির আনন্দে অনেক ফিলিস্তিনিই ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে বলতে রাস্তায় নেমে আসেন।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
এই দুই শত্রু পক্ষের মধ্যকার পূর্বের তিনটি যুদ্ধের মতোই এবারও কোনও ফলাফল ছাড়াই যুদ্ধ শেষ হল। ইসরায়েল দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে সাধন হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো হামাসের রকেট হামলা থামাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল।
এদিকে হামলা বন্ধের পরপরই ইসরায়েলি ডান-পন্থিরা প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমালোচনা করেন। তাদের মতে সঠিক সময়ের আগেই হামলা বন্ধ করেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজা শহরজুড়ে ইসরায়েলের আরও বোমা হামলা
এদিকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিজেদের এই যুদ্ধে জয়ী বলে দাবি করছে। কিন্তু তাদেরকে এবার নতুন শহরের স্থাপনা তৈরি, দারিদ্র, করোনাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকবিলা করতে হবে।
ইসরায়েলের রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা জানায় তারা মিশরের দেয়া যুদ্ধবিরতির সুপারিশ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অর্জন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনের ইসরায়েলি পুলিশের হামলার প্রতিবাদে গত ১০ মে রাত থেকে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। আর এরপর থেকেই ইসরায়েল ও হামাস সংঘর্ষ চলতেই থাকে।
পবিত্র শহর জেরুজালেম নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বেশ কয়েকটি যুদ্ধও এই শহরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়।
এই যুদ্ধে হামাস ও অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ছোড়া ৪ হাজারের অধিক রকেট হামলা ইসরায়েল সাধারণ জীবনযাত্র ব্যাহত করতে বেশ প্রভাব ফেলে। এমনকি তেল আবিব শহর পর্যন্তও হামলার রেশ পৌঁছায়।
গাজা শহরজুড়ে ইসরায়েলের আরও বোমা হামলা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গাজার হামাসের বিরুদ্ধে চতুর্থ যুদ্ধের ইঙ্গিত দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলি সোমবার ভোরে গাজা শহরের বিভিন্ন স্থানে নতুন সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে।
বিস্তীর্ণ অঞ্চলটিতে ভারী বোমা হামলায় ১০ মিনিটের জন্য শহরটি কেঁপে উঠে। ২৪ ঘণ্টা আগে যে হামলায় ৪২ জন ফিলিস্তিনি মারা গিয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি মারাত্মক ও ভয়ানক হামলা ছিল এটি।
হামলায় আহত হওয়ার কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি এবং প্রথম দিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে খুব কম তথ্য ছিল।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র সহিংসতায় ক্লান্ত গাজাবাসীর ঈদে নেই আনন্দ
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শহরের পশ্চিমে মূল উপকূলীয় সড়ক, নিরাপত্তাবেষ্টিত অঞ্চলে এবং খোলা জায়গাগুলিতে সর্বশেষ অভিযান আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় সংঘর্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি আহত
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা জানিয়েছে, বিমান হামলাগুলি গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশগুলিতে বিদ্যুত সরবরাহকারী একটি লাইনের ক্ষতি করেছে।
আরও পড়ুন: হামাসকে কঠোর হুশিয়ারি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার এক ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণ পুরোশক্তি দিয়ে চলছে। ইসরায়েল হামাসের হামলার কড়া জবাব দিতে চায়।
হামাস ইসরায়েলের বেসামরিক অঞ্চলগুলির দিকে গাজার বেসামরিক অঞ্চল থেকে রকেট ছুঁড়তে শুরু করে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলি জানিয়েছে, আহত হওয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
রবিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পরিবারগুলি সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের আড়ালে এবং বাঁকানো রডের নিচে চাপা পড়েছিল। একটি হলুদ ক্যানারি মাটিতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়েছিল। কাঁচ এবং ধ্বংসাবশেষ দিয়ে রাস্তাগুলি ঢাকা পড়েছিল এবং শহরতলীর পুরো শহর থেকে দূরে যেখানে তিনটি বিল্ডিং সকাল ৫ টার দিকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করা হয়েছিল।
ইসরায়েল ও হামাসের ২০১৪ সালের বিধ্বংসী যুদ্ধের পরে এই হামলাকে সবচেয়ে বেশি ভয়ানক ও বিধ্বংসী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজার একটি জরুরি উদ্ধার কর্মকর্তা সামির আল-খতিব বলেছেন, "আমি আমার ১৪ বছরের কর্মজীবনে এমন ধ্বংসযজ্ঞ হতে দেখিনি। এমনকি ২০১৪ সালের যুদ্ধেও এমন দেখিনি।"
গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলে বিমান হামলা
গাজায় বিদেশী গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধে এবার এপি, আল-জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
শনিবার ইসরায়েলি হামলায় ওই ১২ তলা ভবনটিকে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয়া হয়। এরই মাধ্যমে গাজায় অবস্থানরত বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের সরাসরি কাজের সুযোগ বন্ধ করে দিল ইসরায়েলি বাহিনী। ভবনটি ধ্বংসরে পর আশেপাশের এলাকাজুড়ে কালো ধোয়া উড়তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
যদিও হামলার এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি বাহিনী ভবনটি খালি করার আদেশ জারি করে। কিন্তু, কেন এই ভবনটিতে হামলা চালানো হয়, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
গাজায় অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো মাত্র কয়েক ঘণ্ট পরেই এই ভবনটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। ওই হামলায় ৮ শিশু ও ২ নারী নিহত হয়।