ফায়ারিং স্কোয়াড
১৫ বছরে প্রথমবার ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গেল ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফায়ারিং স্কোয়াডে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরাধী নিজেই এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ) নিজের সাবেক প্রেমিকার মা-বাবাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ব্রাড সিগমনের মৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে কার্যকর করার কথা রয়েছে।
ব্রাড ২০০১ সালে সাবেক প্রেমিকার মা-বাবাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। তিনি সাউথ ক্যারোলিনার একটি কারাগারে রয়েছেন।
সিগমনের আইনজীবীরা এই মাসের শুরুতেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তারিখ পেছানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন।
কিন্তু স্থানীয় সময় বুধবার (৫ মার্চ) আপীল খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সাউথ ক্যারোলিনার নিয়মানুযায়ী তিনি বৈদ্যুতিক চেয়ার কিংবা বিষাক্ত ইনজেকশন—কোন পদ্ধতিতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চান জানতে চাওয়া হলে তিনি ফায়ারিং স্কোয়াডে দণ্ড কার্যকর চান বলে জানান।
আমেরিকাতে ঔপনিবেশিক শাসনামলে বিদ্রোহের শাস্তি ও গৃহযুদ্ধ থেকে পলায়ন নিরুৎসাহিত করতে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হত। বর্তমান সময়ে এভাবে মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে তা কার্যকর করাকে তুলনামূলক বেশি মানবিক বলে মনে করা হয়। ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ বিতর্ক রয়েছে।
সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মার্ক স্মিথ বলেন, ‘গৃহযুদ্ধ চলাকালে উভয় পক্ষই সৈন্যদের শৃঙ্খলায় রাখতে; জনসমক্ষে ভীতিকর দৃশ্য তৈরি করার উদ্দেশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াড ব্যবহার করত।
১৯৭৬ সাল থেকে এ অবধি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিন জন কয়েদিকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ পদ্ধতিতে ৬৭ বছর বয়সী সিগমন-কে ‘ডেথ চেম্বারে’ একটি চেয়ারে বেঁধে রাখা হবে, মাথা কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হবে। এরপর তার হৃদপিণ্ড লক্ষ্যবস্তু করে ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) দূরত্ব থেকে তিনজন তার দিকে গুলি চালাবেন।
১৬ দিন আগে