যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ঈদযাত্রায় সড়কে বেড়েছে প্রাণহানি, দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রা শুরু ও শেষের মোট ১৫ দিনে সারাদেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত ও এক হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন, এরমধ্যে সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে।
একই সময়ে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ১২ জন আহত হয়েছেন এবং নৌ-পথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি দুইই বেড়েছে বলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব তথ্য তুলে ধরেন।প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩১ মে থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত (১৪ জুন) বিগত ১৫ দিনে ৩৭৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত ১১৮২ জন আহত হয়েছেন।
বিগত ২০২৪ সালের ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন নিহত ও ৭৬২ জন আহত হয়েছিল। এতে দেখা যায়, এবার সড়ক দুর্ঘটনা ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাণহানী ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ ও আহত ৫৫ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক সেনাসদস্য নিহত, বাসে আগুন
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৩৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত, ১৪৮ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৭ দশমিক ২০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনা ও মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে ঈদের আগে কমপক্ষে ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকা দরকার। ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার আগে আমাদের গণপরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, ছোট যানবাহনগুলো মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ চালক, ফিটনেস সম্পন্ন যানবাহন, মানসম্মত সড়কের পাশাপাশি আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরী।’
আরও পড়ুন: রাস্তা পারাপারের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
এ ছাড়া,যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের সড়ক ও মহাসড়কে বৃষ্টির কারণে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বেপরোয়া গতির যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
ঈদের পরে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালাতে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ফলে এসব দুর্ঘটনায় সিংহভাগ খাদে পড়ে ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনের লেগে যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে।
তাছাড়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি এবারের ঈদেও চরমে ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যাতায়াত করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনা রোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি ১২ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে– মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ, মহাসড়কে রোড সাইন ও আলোকসজ্জা স্থাপন, দক্ষ চালক তৈরি, ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যান স্ক্র্যাপ করা ও ঈদের আগে কমপক্ষে ৪ দিনের ছুটি নিশ্চিত করা। এ ছাড়াও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী চালকদের ওপর থেকে ভ্যাট ও আয়কর প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হক, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, মনজুর হোসের ইশা, জিএম মোস্তাফিজু।
১৭২ দিন আগে
মে মাসে সড়কে ৬১৪ প্রাণহানি, আহত ১১৯৬
গত মে মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১৪ জন নিহত ও ১ হাজার ১৯৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে রেলপথে ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ১৪ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌপথে ৭টি দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬৫২ টি দুর্ঘটনায় ৬৫৮ জন নিহত ও ১ হাজার ২১০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ২৩৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৬ জন নিহত ও ২০১ জন আহত হয়েছে। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা পারাপারের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ৩০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ৪৪ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৪৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাস, ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ গাড়ি চাপা, ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০ দশমিক ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ২ শতাংশ বিবিধ কারণে। এছাড়া চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ০ দশমিক ৫০ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ৫০ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৫০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৫৪ জন চালক, ১০৩ জন পথচারী, ৬৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯২ জন শিক্ষার্থী, ৫ জন শিক্ষক, ৮৮ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৩৭ জন সাংবাদিক, ২ জন চিকিৎসক, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
১৭৫ দিন আগে
ঈদযাত্রায় ঢাকার গণপরিবহনে ৮৩২ কোটির অধিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় চলচলকারী গণপরিবহনগুলোতে বকশিশ হিসেবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যার পরিমাণ ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকায় দাঁড়াবে বলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণ এই তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। তাছাড়াও ঈদবাজারসহ নানান প্রয়োজনে বিভিন্ন গণপরিবহনে বাড়তি ট্রিপ সম্পন্ন হবে। এসব যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী তৎপরতার মধ্যেও এবারে ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপকমিটির সদস্যরা গত ২০ মার্চ থেকে ঢাকা মহানগরীতে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীসেবার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে আজ সকালে এমন তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে অনুযায়ী, সরকার বাস-লঞ্চ ও বিভিন্ন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে চালক, সহকারীর বেতন-ভাতা ও দুই ঈদের বোনাস প্রতিদিনের আদায়কৃত ভাড়ায় ধার্য্য থাকলেও দেশের কোনো পরিবহনে তা কার্যকর নেই। ফলে এবারের ঈদে ৯৮ শতাংশ গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঈদ কেন্দ্রিক পরিবহনে চাঁদাবাজি বৃদ্ধি, পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাড়তি খরচের যোগান দেওয়া, পরিবহনের মালিক-চালক-সহকারী ও অন্যান্য সহায়ক কর্মচারীদের ঈদ বোনাস তুলে নেওয়া। পরিবহন মালিকেরা বাড়তি মুনাফা লুফে নেওয়াসহ নানাকারণে বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহন ও ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট পরিবহনগুলো একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
সড়ক ও নৌ পথের পরিবহন মালিকদের নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিং ভিজিল্যান্স টিম থাকলেও এসব টিমে যাত্রী প্রতিনিধি না রাখায় যাত্রীর স্বার্থ কেউ দেখছেন না বলেও পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌপথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে ২০০টি ছোট-বড় নৌযানে প্রায় ৪০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।
রাজধানীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারী ২০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় প্রায় ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ৬০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, প্যাডেলচালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ৮ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশায় ৮ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ১৬০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার হিউম্যান হলারে কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।
প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাস ২০ হাজার, যেখানে ৬০ হাজার ট্রিপে গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ২১ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
এবারের ঈদে ঢাকা থেকে দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।
প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি বাস সার্ভিসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোন গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৩ হাজার সিটি বাসে ৪০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১২ কোটি টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।
গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ২৫ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছে। কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরীর ৫ লাখ রাইডশেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রী প্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১০০ টাকার বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে ২ কোটি ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছে ২৫০ কোটি বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
প্রতিবছর ঈদে ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে নানান ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও বিপুল সংখ্যক নিম্নআয়ের লোকজন কম খরচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করে থাকে। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ৮০ হাজার যাত্রী ট্রেনের ছাদে করে বাড়ি যাবে। তাদের প্রত্যেককে গড়ে কমপক্ষে ১০০ টাকা হারে ৮০ লাখ টাকা রেলে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ঘুস দিতে হবে। খাবার গাড়ি, ইঞ্জিন, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরো প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী। ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি ষ্টুয়ার্ড, বেসরকারি ক্যান্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।
আকাশপথে সরকারি-বেসরকারি উড়োজাহাজে ঈদের ১০দিন আগে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মহোৎসব চলছে। কোনো কোনো পথে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে। এই ঈদে কমপক্ষে ১ লাখ যাত্রী অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথ ব্যবহারে যাত্রী প্রতি গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বাড়তি ভাড়া নিলে ৩৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে।
সদরঘাট নদীবন্দরসহ বিভিন্ন লঞ্চ ও খেয়াঘাটে নৌ-পথে যাতায়াত ও খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে ঈদ উপলক্ষে ৫ টাকার মাসুল ঘাট ইজারাদারের লোকজন ১০ থেকে ২০ টাকা হারে আদায় করে থাকে। এসময়ে পণ্য নিয়ে খেয়া পারাপার বা লঞ্চে আরোহণে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত কুলি মজুরি বাবদ দাবি করা হয়। খেয়া পারাপারে ঈদবাজারের প্যাকেট প্রতি মাসুল দাবি করা হয়। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের আশেপাশে খেয়া পারাপারে ১০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হবে। এসব যাত্রীর মাথাপিছু ১০ টাকা হারে বাড়তি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা বাড়তি ঘাট মাসুল আদায় করে লুটপাট করে ইচ্ছে মতো যাত্রী হয়রানি করছে, বেসরকারি ইজারাদার, বিআইডাব্লিউটিএর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এসব লুটপাটের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঢাকা শহরে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদযাত্রায় কেবল ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। আন্তঃজেলাসহ সারাদেশে সকল মহানগর হিসাবে আনলে তা দশগুন বাড়বে। এহেন অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে দ্রব্যমূল্য, চাঁদাবাজি, সামাজিক অস্থিরতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। নিম্ন আয়ের লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে গণপরিবহনে ডিজিটাল ভাড়া আদায় চালু করা, নগদ টাকার লেনদেন বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামরা পদ্ধতিতে প্রসিকিউশন চালু করা, আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহমদ, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ।
২৫৩ দিন আগে
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদকে কেন্দ্র করে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেসব পদক্ষেপ নিল ডিএমপি
সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও প্রকাশ্য বিভিন্ন শ্রেণির বাস ও লঞ্চে নানান কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বিআরটিএ, বিআইডাব্লিউটিএয়ের পক্ষ থেকে যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া কেবলমাত্র বাস ও লঞ্চের মালিকদের নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিংয়ের জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
যাত্রীর স্বার্থ দেখবে কে? এমন প্রশ্ন রেখে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলক হক চৌধুরী বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সড়কে চাঁদা কমেছে, তবে ভাড়া না কমায় যাত্রীরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত।
এমন পরিস্থিতিতে এবারের ঈদে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে এসি-ননএসি বাসে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্নরুটের বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, বগুড়া, নওগাঁ, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা ৯ দিন
এদিকে ঢাকার সদরঘাট নৌবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়ায় ঈদের অগ্রিম টিকিট মিলছে। আকাশপথে ঢাকা-সৈয়দপুর, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অভ্যান্তরীণ রুটে ভাড়ায় ডাকাতি চলছে।
অনতিবিলম্বে ঈদযাত্রায় সবপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী বন্ধের দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
২৫৬ দিন আগে
নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
একইসাথে বিপুল মানুষের যাতায়াতে গণপরিবহনের সংকট মোকাবিলায় এবার ঈদের লম্বা ছুটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে যাত্রীদের ভোগান্তিমুক্ত, স্বস্তিদ্বায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্র্যাব মিলনায়তনে ‘ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, নগরজুড়ে ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা উত্তোরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সড়কে বাড়তি চাপ কমাতে ও ফিটনেসবিহীন সিটিবাসে পোশাক শ্রমিকদের যাত্রা বন্ধে ২৪ মার্চের মধ্যে তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করে ধাপে ধাপে বাড়ি পাঠানো নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করবেন। দেশের এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি মানুষের যাতায়াত হতে পারে, যার ৭৫ শতাংশ সড়কপথে, ১৭ শতাংশ নৌপথে এবং ৮ শতাংশ রেলপথে যাতায়াত হবে।
পথে পথে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা, সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই ও দুর্ঘটনারোধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে মতে, বিগত ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত এবং ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। বিগত ৯ বছরে শুধু ঈদুল ফিতরে দুই হাজার ৩৭৭টি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৭১৪ জন নিহত এবং সাত হাজার ৪২০ জন আহত হয়েছেন।
এবারের ঈদে দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন, পুলিশ ও বিআরটিএ’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
৮৩ শতাংশ কোচ ও ৬০ শতাংশ লোকোমোটিভ মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ৮২ শতাংশ রেলক্রসিং অরক্ষিত উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করে হয়রারিমুক্ত রেলসেবা প্রদানের দাবি জানান আলোচনার সভার বক্তারা।
এ সময়ে নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ঘাট ও নৌবন্দর কেন্দ্রিক যাত্রী হয়রানি, খেয়া পারাপারে, বন্দরের যাত্রী পারাপারে বেসরকারি ইজারাদারদের লুটপাটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার দাবি উঠে আসে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, সরকারের পরিকল্পনার গলদে নানান অব্যবস্থাপনায় যাত্রী দুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এর দায় অন্যায়ভাবে মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এবারের ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মালিক সমিতি কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে। এবারের ঈদযাত্রায় শ্রমিক ফেডারেশন যাত্রীসাধারণের পাশে থাকবে, যেকোনো অভিযোগ সাথে সাথে আমলে নেবে।
বিআরটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে বিআরটিএ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ৬৪ জেলায় ভিজিলেন্স টিম তৎপরতা চালাবে। যাত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ভিজিলেন্স টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনারোধে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বিআরটিএ প্রাণপন চেষ্টা চালাবে। যাত্রী সচেতনতা, পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কে ডাকাতিতে জড়িত ১৪৪৩ জন ডাকাতকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তিন হাজার ৯০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। ঈদে যাত্রাপথে হাইওয়ে পুলিশের হটলাইন নম্বর সাথে রাখুন। আমাদের কল করার ১৫ মিনিটের মধ্যে সাড়া মিলবে। তিনি প্রবাসীদের ঈদে লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে বাড়ি যেতে হাইওয়ে পুলিশের সেবা নেওয়ার আহ্বান জানান।
২৬২ দিন আগে
যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে রিকশা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন তুলে দিয়ে বৈজ্ঞানিক পন্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এ ব্যবস্থা চালু করা গেলে ঢাকার যানজট সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে বলে দাবি তাদের।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। নগরীর এক প্রান্ত থেকে যেকোনো গন্তব্যে যেতে ৪/৫ ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার যানজটে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে কর্মক্ষম মানুষের ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা।
বুয়েটের তথ্য বলছে, প্রতি বছর এই যানজটে আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সংগঠনের মহাসচিব আরও বলেন, নগরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪ লাখ প্যাডেলচালিত রিকশা, ৬ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১ লাখ ৩৪ হাজার রাইডশেয়ারিং এর ছোট ছোট যানবাহন, ৩০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা অবাধ যাতায়াতের কারণে নগরীর যানজট ও জনজট চরমভাবে বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনো সেকেলে পদ্ধতিতে রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরে নগরীর ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয়। যানজট কমাতে জরুরি ভিত্তিতে অত্যাধুনিক প্রকৌশলগত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলগত গবেষণা করে ২ বা ৩ লেইনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
বিআরটিএর তথ্যমতে, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ছোট ছোট ৮০০ গাড়ি নামছে। জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি টিপ যাত্রী যাতায়াত হয় এর ৬০ শতাংশ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এসব যাত্রীদের ৬৭ শতাংশ কেবল বাস ব্যবহার করেন।
মোজাম্মেল চৌধুরি বলেন, নগরীর প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেলচালিত রিকশা, মোটরচালিত রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যানগাড়ি, ডেলিভারিভ্যানসহ অযান্ত্রিকযান, ত্রি-চক্রযান চলাচল বন্ধ করা গেলে যানজট সমস্যা বাকি ২০ শতাংশ সমাধান সম্ভব।
রাজধানী ঢাকার যানজট সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো-
১. রাজধানী ঢাকায় উন্নত সিটিবাসের ব্যবস্থা করা, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
২. এই মুহূর্তে ঢাকায় মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন নিবন্ধন জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা।
৩. রাজধানীর ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেল চালিত রিক্সা, ইজিবাইকসহ ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা।
৪. ফুটপাত দখল মুক্ত করা, ফুটপাতে সাচ্ছন্দ্যে পদচারী যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সড়কের মিডিয়ানে উড়াল ফুটপাত তৈরি করা।
৫. ট্রাফিক সিগন্যাল ডিজিটাল করা, আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম উন্নত বিশ্বের মত ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা। জরিমানার অর্থ পরিবহন মালিক- চালকের ব্যাংক হিসাব থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করা।
৬. প্রধান সড়কে, সড়কের বাঁকে পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা।
৭. যত্রতত্র হাত তুলে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে জেব্রাক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
৮. যানজট সমস্যা চিহ্নিত করা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডিটিসিএ, ডিএনসিসি, ট্রাফিক বিভাগের সমন্ময়ে ৪ থেকে ৬ সদস্যের একটি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক নগরজুড়ে যানজট পরিস্থিতি মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে এমন একটি অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা।
৯. ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলো যানজটমুক্ত রাখার উপায় বের করা। বিকল্প সড়কসমূহ ব্যবহারে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
১০. মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যানজটমুক্ত করতে গুলিস্থান পার্ককে অস্থায়ী টার্মিনাল বানানো, কারগারি দিক বিবেচনা করে রাজধানীতে প্রবেশমুখী র্যাম্প বাড়ানো।
১১. বৈজ্ঞানিক পন্থায় গবেষণা করে ২ বা ৩ লেইনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর ৩ বা ৪ লেইনের বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা।
১২. বাস দাড়ালে যানজট হয় না, সমীক্ষা চালিয়ে এমন স্পটগুলো খুজে খুজে নগরজুড়ে ৩০০ বাসস্টপেজের ব্যবস্থা করা। এ সব বাসস্টপেজে যাত্রী উঠা-নামা বাধ্যতামূলক করা। নির্মিত যাত্রীছাউনিগুলো জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী উঠা-নামায় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
আরও পড়ুন: ‘গলাকাটা’ ভাড়া নির্ধারণ করা হলে প্রতিহত করার ঘোষণা যাত্রী কল্যাণ সমিতির
৪২৪ দিন আগে
এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭০৮ নিহত, আহত ২৪২৬: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এপ্রিল মাসে সারা দেশে ৬৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭০৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সময় দুই হাজার ৪২৬ জন আহত হয়েছে।
এছাড়া ৪৪টি রেলপথে দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন এবং একজন এখনও নিখোঁজ।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বুধবার (২২ মে) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৭৩৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬৩ জন নিহত ও দুই হাজার ৪৭২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৩০৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৭৪ জন নিহত ও ৩২৮ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং আহতের ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত ও ৩০৫ জন আহত। বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন ৩৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য, ১৬৯ জন চালক, ৬৩ জন পথচারী, ৫৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ছয়জন শিক্ষক, ১১৯ জন নারী, ৬৭ জন শিশু, তিনজন সাংবাদিক, দুইজন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী, তিনজন প্রকৌশলী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আটজন নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন- একজন পুলিশ সদস্য, তিনজন সেনাবাহিনী সদস্য, একজন সাংবাদিক, দুইজন চিকিৎসক, ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৫৮ জন পথচারী, ৯৩ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ছয়জন শিক্ষক, তিনজন প্রকৌশলী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৮৮টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে ছিল ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ প্রাইভেটকার-এসইউভি-মাইক্রোবাস।
এছাড়া সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ বিবিধ কারণে যেমন- চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ০ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ ট্রেনের সঙ্গে অন্য কোনো যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৪২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে।
এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
৫৬১ দিন আগে
সেপ্টেম্বরে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৬৭টি দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ ছাড়া একই সময় আহত হয়েছেন ৬৮১ জন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত এবং ৬৫১ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন।অ এ ছাড়া নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, ৪ জন আহত ছাড়া এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ছাড়া সারাদেশে মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ঢাকা শহরে, ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম শহরে এবং ০ দশমিক ২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
মোট দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন ১০ জন, ১৪৩ জন চালক, পথচারী ৬৬ জন, ৬০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৫ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ৪৪ জন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো চিহ্নিত করেছে।
কারণগুলো হলো-
বিপজ্জনক ওভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ফুটপাতের অভাব বা ফুটপাত দখল, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে ফিডার রোড থেকে হঠাৎ করে যানবাহন প্রবেশ, ছোট যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।
এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেনের অভাব, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন ফিডার রোড থেকে ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা নেমে আসাও এর অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
৭৮৯ দিন আগে
ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
পবিত্র ঈদুল আজহায় যাতায়াতে দেশের সড়ক মহাসড়কে ২৭৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত ও ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৩১২টি দুর্ঘটনায় মোট ৩৪০ জন নিহত ও ৫৬৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতি।
শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদুল আজহা-২০২৩ সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের ন্যায় এবারো প্রতিবেদনটি তৈরি করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘ এক দশক ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ যাত্রী কল্যাণ সমিতির
তিনি বলেন, এবারের ঈদে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষের কম যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৪ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল ছিল। ঈদের ছুটি ১দিন বাড়ানোর সুফল মিলেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী দেশে ঈদযাত্রায় মোট যাতায়াতের প্রায় ০৮ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর নজরদারির কারণে এবারের ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
তবে, পরিকল্পনার গলদে উত্তরাঞ্চলের পথে যানজটের ভোগান্তির পাশাপাশি কিছু কিছু রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য হলেও কর্তৃপক্ষ বরাবরের মতো দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২২ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২২ সালের ঈদুল আযহায় যাতায়াতের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৩৩ দশমিক ১১ শতাংশ, আহত ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে।
উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ২৫টি ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, আহত ১৫ জন ও ০৬ জন নিখোঁজ হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেলের অবস্থান থাকলেও এবারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পশুবাহী যানবাহনের ব্যাপক চলাচল ও ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের অবাধ চলাচলের কারণে এবারের ঈদে দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
এবারের ঈদে ৮৮টি ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত, ১৯৩ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। নিহতের ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ এবং আহতের ৩৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত ও ৭৭ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মোট নিহতের ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ আর মোট আহতের ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় ৮২ জন চালক, ৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৫ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৫ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, ০৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন শিক্ষক, ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার পরিচয় মিলেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন দৈনিক এ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে প্রতি বছর ঈদযাত্রায় এ প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
৮৮০ দিন আগে
জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
জানুয়ারি মাসে দেশে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত এবং ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
আর নৌ-পথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, একজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
সবমিলে জানুয়ারি মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত এবং ১১৪ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহানী ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, পাঁচজন সাংবাদিক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন আইনজীবী, তিনজন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছে ০৯ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, ১৫৩ জন চালক, ৮৪ জন পথচারী, আটজন নারী, ৪৬ জন শিশু, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ২৬ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন সাংবাদিক, ০৯ জন শিক্ষক, দুইজন প্রকৌশলী, দুইজন আইনজীবী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫ দশমিক ০২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ১ দশমিক ১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭ জানুয়ারি। এদিন ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ জানুয়ারি। এদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৫ জানুয়ারি। এদিন ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ-
১। বেপরোয়া গতি।
২। বিপদজনক অভারটেকিং।
৩। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।
৪। যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।
৫। চালকের অদক্ষতা।
৬। চালকের বেপরোয়া মনোভাব।
৭। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার।
৮। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো।
৯। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।
১০। ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা।
১১। ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি।
১২। সড়কে চাঁদাবাজি।
১৩। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।
১৪। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।
১৫। চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা।
১৬। দেশব্যাপী নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশানির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
১০৩৪ দিন আগে