হাইকোর্টে রিট
অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অধস্তন আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী বাদী হয়ে এই রিট করেছেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই রিটের উপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে আইনি নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছিল।
নোটিশের জবাব না পেয়ে ১০ আইনজীবী আজ রিট করেন।
রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন— জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারো সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অথচ, এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
রিটে, আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এরই মধ্যে স্থাপিত লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
যেসব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে, তার একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে রিটে।
রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা আসামিদের আদালতকক্ষে লোহার খাঁচায় না ঢোকানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
১০ মাস আগে
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে সেখানে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়াসহ ১৩ আইনজীবী বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রবিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ জুন তারা সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়া জানিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান একইসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে। একই স্পিরিট নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দুটি আলাদা কোনো স্লোগান নয়। একই স্লোগান।
এছাড়াও, ২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এ দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। আমরা চাই ওই গেজেট সংশোধন করে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্ত করতে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করতে রায় দেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান (প্রয়াত) ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওইদিন রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান ও জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ’
আদালত আরও বলেন, আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি করেছেন- এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন।
এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন। আদেশে আদালত বলেন-
ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সে জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গ. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র শিক্ষকগণ যেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এরপর চলতি বছরের ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
২ বছর আগে
ফোনে আড়িপাতা বন্ধ ও তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
টেলিফোনে আড়িপাতা বন্ধের নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেছেন।
রিট আবেদনে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে বিবাদী করা হয়।
১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আবেদনটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ১১ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের ৫৩ বেঞ্চে ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে আদালতের কার্যসূচি অনুযায়ী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ, ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, মাওলানা মামুনুল হক, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ফোনালাপ, সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য।
এ সকল আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার সমূহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।
এছাড়াও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষা নিশ্চিত করবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এই ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়িপাতা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে দোষী ব্যক্তি দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অথচ আজ পর্যন্ত কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এই রিট আবেদন দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি: ২৫ দিনে ৩৯ হাজার ২০২ জনের জামিন
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার বনিক, অ্যাডভোকেট শাহ নাবিলা কাশফী, অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নওয়াব আলী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, অ্যাডভোকেট জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না),অ্যাডভোকেট ইমরুল কায়েস ও অ্যাডভোকেট একরামুল কবির।
৩ বছর আগে
করোনা: সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিট বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে রিট
দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সিট বরাদ্দ এবং সকল জেলা হাসপাতালে হাইফ্লো ক্যানোলাসহ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (০১ জুলাই) মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জমান এ রিট আবেদন করেছেন। চিকিৎসা সরঞ্জাম-এর সংকট নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। রিট আবেদনে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনটির ওপর চলতি সপ্তাহে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পড়ুন: কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
আবেদনে বলা হয়, দেশে করোনা সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তাই সংক্রমণে ক্ষতির হাত থেকে দেশের নাগরিকদের রক্ষা করতে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আক্রান্তদের মধ্যে যারা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি, তাদেরকে বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করানোর নির্দেশনা জারি করা প্রয়োজন।
রিট আবেদনে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তিতে আপত্তি জানালে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া এবং করোনা আক্রান্ত গর্ভবর্তী রোগীদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দেয়া এবং অনগ্রসর ও দরিদ্রদের চিকিৎসা খরচ তাদের বহনযোগ্য করার অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে এসব অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি এসব বিষয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
পড়ুন: শিশু থাকবে মায়ের কাছে, দেখা করতে পারবেন বাবা: হাইকোর্ট
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ: হাইকোর্ট
এর আগে একই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে গত ১১ জুলাই আসকের পক্ষে সরকারকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে তিনদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে এ রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
রিট আবেদনে করোনা রোগীদের যথাযথ তত্ত্বাবধানে এবং হাইজেনিক ও ভালো খাবার সরবরাহ নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের বিশেষ তত্ত্বাবধান এবং তাদের জন্য হসপাতালে আলাদা স্থান নির্ধারণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
গার্ড অব অনারে নারী ইউএনও’র বিকল্প রাখার সুপারিশের বিরুদ্ধে রিট
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওদের বিকল্প খুঁজতে সরকারের কাছে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো গেজেট না হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ চার সপ্তাহের জন্য এ রিট শুনানি মূলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন।
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা/উপজেলা প্রশাসন। ডিসি বা ইউএনও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকেন। কফিনে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নারী কর্মকর্তাদের বিষয়ে আপত্তি তুলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ শ্রদ্ধায় নারী কর্মকর্তায় আপত্তি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আহ্বান
গত রবিবার (১৩ জুন) সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওদের বিকল্প খুঁজতে সরকারের কাছে সুপারিশ রাখা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং নারী ইউএনও’র বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপে ১২ হাজার ১১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার সমন্বিত তালিকা প্রকাশ
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এফএলএডি) এর পক্ষে আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিটটি করেন।
আবেদনে বেআইনি ও বৈষম্যমূলক এ সুপারিশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষনা করা হবে না সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সাথে সুপারিশের ওপর স্থগিতদেশ চাওয়া হয়েছে। আবেদনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানকে সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
৩ বছর আগে
লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছাড়া লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া জনগণের চলাফেরার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারসহ যে কোন মৌলিক অধিকার সরকার স্থগিত রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘লকডাউন দিয়ে সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব করা হচ্ছে। এটা সংবিধান পরিপন্থি। এ কারণে রিট দায়ের করেছি। রিটে চলমান লকডাউন স্থগিত চেয়েছি এবং ফের লকডাউন না দেয়ার নির্দেশনা চেয়েছি বলেও জানান তিনি।’
রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা এবং তা পরবর্তীতে বৃদ্ধি করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনেই খুলেছে বিপণীবিতানের দরজা, সড়কে চাপ
এছাড়া পুনরায় লকডাউন না দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারির আর্জি জানানো হয়। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলমান লকডাউন স্থগিত রাখতে এবং পুনরায় লকডাউন না দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
৩ বছর আগে
বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদ ডিজিটালাইজেশনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পেতে বিয়ে ও বিবাহ বিচ্ছেদের (ডিভোর্সের) তথ্য ডিজিটালাইজেশনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে রিটের শুনানি পেছাল
দেশে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে রিটের শুনানি বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হবে।
৩ বছর আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির কমিটি বাতিলের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির কমিটি বাতিল করে ও উপ সচিবকে প্রশাসক নিয়োগ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে