ছুটি ঘোষণা
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন
ঈদের পর আগামী ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাহী আদেশের এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তিন এপ্রিলের ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদে সরকারি ছুটি মিলতে পারে টানা ৯ দিন
এতে এবার ঈদে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
জরুরি পরিসেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
# হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
# চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
# জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এবার আগেই ঈদে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ঈদের আগে-পরেও মিলছে স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) বা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর ধরে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যানুযায়ী ৩১ মার্চ ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ঈদ উপলক্ষে এবারই প্রথম পাঁচ দিনের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ছুটি মূলত শুরু হচ্ছে ২৬ মার্চ (বুধবার) স্বাধীনতা দিবসের দিন। এরপর ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) একদিন অফিস খোলা। ২৮ মার্চ (শুক্রবার) শবে কদরের ছুটি।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেসব পদক্ষেপ নিল ডিএমপি
এবার ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি, টানা পাঁচ দিনের ছুটি (২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) থাকবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর মাঝখানে একদিন (৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার) অফিস খোলার পর আবার ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) দু'দিনের সাপ্তাহিক ছুটি।
সেই হিসাবে ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে মাত্র দু’দিন অফিস খোলা ছিল। তবে, নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯' অনুযায়ী, দুটি ছুটির মাঝখানে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তাই মাঝখানের কর্মদিবসগুলোতে ছুটি নিয়ে কেউ চাইলেই টানা ছুটি নিতে পারবেন না। মাঝখানে ছুটি নিলে টানা ছুটি হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে ২৮ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটির সুযোগ করে দিতে ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করল সরকার।
৭ দিন আগে