প্রেসিডেন্টপ্রার্থী
প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে মনোয়ন পাওয়ার দিনই কারাগারে ইস্তানবুলের মেয়র
তুরস্কের ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে অবশেষে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। বিচারপূর্ব আটক করে তাকে এমন একদিন কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যেদিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া, ঘুষ, অসদাচরণসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত বছরের স্থানীয় নির্বাচনের আগে বামপন্থি রাজনৈতিক জোটকে সহযোগিতারও অভিযোগ তোলা হয়েছে।-খবর গার্ডিয়ানের
তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তানবুলের এই মেয়রসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে মামলা করা হয়েছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন একরেম ইমামোগলু।
জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি বলেন, তাকে আটকের এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুরস্কের ভাবমর্যাদাই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, দেশের অর্থনীতি ও বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।
‘গণতন্ত্রের একজন সুরক্ষাকারী ও জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী হিসেবে, আমি মনে করি, সত্যের বিজয় হবে,’ বলেন তিনি। সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার মুখপাত্র মুরাত অনগুন বলেন, ‘এমন এক অপবাদে আমাকে আটক করা হয়েছে, যার সপক্ষে ন্যূনতম কোনো প্রমাণ নেই।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় হামাসের রাজনৈতিক নেতাসহ নিহত ১৯
এদিকে এরদোগানের পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভে ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। চারদিন আগে দেশটির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও রাজধানী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগুলকে আটকের পর শুরু হয়েছে এই বিক্ষোভ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে দেওয়া এক ভাষণে বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে এরদোগান বলেন, ‘রাস্তার সন্ত্রাস কিংবা ধ্বংসোন্মদনার কাছে তার সরকার আত্মসমর্পণ করবে না। জনশৃঙ্খলা ব্যাহত হয়, এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না।’
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ মার্চ) দিনের শেষভাগে ইমামোগলুকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। এরআগে গেল তিন ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির পুলিশ।
এরদোগানের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের একজন একরেম ইমামোগলু ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ছাড়া আরও শতাধিক রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
১৮ দিন আগে