ব্যাংক খাত
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম আগামী সপ্তাহে শুরু হবে: গভর্নর
আর্থিকভাবে দুর্বল শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে’ যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার (Economies Future Trajectory and Political Commitment)।
গভর্নর বলেন, বর্তমান সরকারের সামনে থাকা বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে গভীরভাবে বুঝতে হবে। কারণ এগুলো ‘সঞ্চিত সমস্যা’ হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
এলসি খোলার ওপর আরোপিত সব ধরনের বিধিনিষেধ ও প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এলসি খোলার বিষয়টি বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বেড়েছে; গতবারের এই সময়ের চাইতে বেশি।
তার ভাষ্যে, আমাদের এক্সটারনাল সেক্টরটা (বহির্বাণিজ্য খাত) স্থিতিশীল হয়েছে, সেখানে কোনো ভালনারবিলিটি (দুর্বলতা) নেই। ব্যাংকিং খাতে ডলারের কোনো অভাব নেই; যেকোনো পরিমাণ ডলার আপনারা কিনতে পারবেন যদি আপনি বাংলাদেশের টাকা নিয়ে আসেন।
৫ দিন আগে
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহের লেনদেনে কমেছে সবকটি সূচক, লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২১ পয়েন্ট। ৪৯০২ পয়েন্টে লেনদেন শুরু করে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪৭৮১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২.৪৭ শতাংশ কম এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ঢাকার বাকি দুই সূচকেরও বেহাল দশা। শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। গত ক'দিনের লেনদেনে শরীয়া খাতে সূচকের পতন ৩.২৯ শতাংশ, যা অন্য যেকোনো সূচকের তুলনায় সর্বোচ্চ।
বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ারের হয়েছে ভরাডুবি। ২.৭৬ শতাংশ সূচক কমেছে ডিএস-৩০ এ। এক সপ্তাহের লেনদেনে মোট সূচক কমেছে ৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া তালিকাভুক্ত ৩২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৪ কোম্পানির।
টানা পতনে বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক লেনদেনে। এক সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন কমেছে ৩২.৭৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শেষ
গড় লেনদেন ৪৮০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩২৪ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা কমেছে ১৯.৫২ শতাংশ।
খাতোয়ারি ধস
বিনিয়োগকারীদের আস্থার শেয়ার ব্যাংক খাতে বড় ধস নেমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের সামগ্রিকভাবে শেয়ারের দাম কমেছে ৪৭.৮২ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীরা ভরসা রাখতে পারছেন না তার বড় প্রমাণ লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমে আসা। এ খাতে লেনদেন কমেছে ৩১.২৪ শতাংশ।
পৃথকভাবে ১০ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সুবিধা করতে পারেনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক শেয়ারের দাম কমেছে ২৬.৫৫ শতাংশ, মোট শেয়ার লেনদেন কমেছে ১৯.৫৩ শতাংশ।
খাতভিত্তিক শেয়ারে সবচেয়ে করুণ দশা আবাসন খাতে। এ খাতে দাম কমেছে ৬০ শতাংশ ওপরে আর লেনদেন কমেছে ৫৩ শতাংশ।
পুরো সপ্তাহ শুধু সাধারণ বীমা আর মিউচুয়াল ফান্ড ভিত্তিক শেয়ারের দাম বেড়েছে, বাকি সবকটি খাতের অবস্থা ছিল শোচনীয়।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বড় পতন হয়েছে, সার্বিক সূচক কমেছে ২২৬ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ৩০০ কোম্পানির মধ্যে ২০৩ কোম্পানির দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছে বীমা এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। সারা সপ্তাহের লেনদেন সিএসই'র শীর্ষ শেয়ার সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ২২ শতাংশ দাম হারিয়ে চট্টগ্রামে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
২০১ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক বাড়লেও ব্যাংক খাতে সুখবর নেই
সাপ্তাহিক লেনদেন শেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক বাড়লেও বেহাল দশা ব্যাংক খাতে। এ খাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ—দুটোই কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। ৫২০১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে তা শেষ হয়েছে ৫২১৯ পয়েন্টে।
সবচেয়ে বেশি সূচক বেড়েছে বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির শেয়ারে। এক সপ্তাহের লেনদেনে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। অন্যান্য সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১০ পয়েন্ট ও এসএমই সূচক বেড়েছে ১.৬৩ পয়েন্ট।
তবে সপ্তাহজুড়ে সূচক বাড়লেও লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। আগের সপ্তাহে যেখানে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭৬ কোটি টাকা, সেটি এ সপ্তাহে কমে হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে মোট লেনদেন কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৯৩ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
এদের মধ্যে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬ ব্যাংকের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১২ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ৮ ব্যাংকের।
প্রতিদিনের গড় দর বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। দর পতনের পাশাপাশি এই খাতে মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৩৩ শতাংশেরও বেশি।
ব্যাংক খাত সুবিধা করতে না পারলেও সপ্তাহান্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। ২৩ কোম্পানির সমন্বয়ে এই খাতে এক সপ্তাহে গড় দরবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৪০ শতাংশ। অন্যদিকে, এই খাতের শেয়ারের মোট লেনদেন বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।
ইনস্যুরেন্স খাতে সাধারণ বীমা হোঁচট খেলেও উত্থানের ধারা বজায় আছে জীবন বীমায়। তালিকাভুক্ত ৪৩ সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে গড় মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ।
সাধারণ বীমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৬৪ শতাংশ এবং লেনদেন কমেছে ৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে, জীবন বীমা খাতে ১৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। খাত হিসাবে এই খাতে এক সপ্তাহে দর বেড়েছে ৫৪ শতাংশ এবং লেনদেন বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
লেনদেন হওয়া অন্যান্য খাতের মধ্যে দাম কমেছে সিরামিক, প্রকৌশল, খাদ্য, জ্বালানি, আইটি, পাট, মিউচুয়াল ফান্ড, কাগজ, রিয়েল স্টেট, চামড়া, টেলিকম ও টেক্সটাইলের। অন্যদিকে, দাম বেড়েছে সিমেন্ট, করপোরেট বন্ড, ঔষধ ও পর্যটন খাতে।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এবং সবচেয়ে কম রিটার্ন দিয়েছে কাগজ শিল্পের কোম্পানিগুলো।
পুরো সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। কোম্পানিটির গড় লেনদেন ছিল ২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সবশেষ ৩৯১ টাকায় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে অস্থির সপ্তাহ: সূচকের পতন, কমিশনে বিশৃঙ্খলা
সাধারণ লেনদেন ছাড়াও ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। কোম্পানিটি এক সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ওরিয়নের পর ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা ও লাভেলো।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে শীর্ষ দশে আছে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৬টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির একটি ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩টি কোম্পানি। ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ রিটার্ন দিয়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে এবি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে তলানিতে থাকা শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে সর্বাগ্রে উঠে এসেছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের নাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির রিটার্ন কমেছে ১২ শতাংশের বেশি।
পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম
ঢাকায় সূচক বাড়লেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি চট্টগ্রাম। এক সপ্তাহের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। সেখানে লেনদেন হওয়া ২৮২ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। সিএসইর ১০০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৯টি কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি কোম্পানির।
সিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ দশে থাকা পাঁচ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির। বাকি একটি ‘বি’ ও চারটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মিডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডে।
অন্যদিকে সিএসইতে তলানিতে নেমে এসেছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড। সপ্তাহখানেক আগেও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তি থাকলেও, অবশেষে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটি।
সারা সপ্তাহে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
ছুটির আগে টাস্কফোর্সের বার্তা
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) সংক্রান্ত বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।
সুপারিশে বাজারে নতুন কোম্পানি আসার ক্ষেত্রে আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি যেসব কোম্পানি ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেবে, তাদের বাধ্যতামূলক আইপিও অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও উঠে আসে।
স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করা এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার পরামর্শ দেন টাস্কফোর্স সদস্যরা।
এর বাইরে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে: গভর্নর
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং বাকি ৪৫ শতাংশ দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে আইপিওর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বাজারে আসবে এবং কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না—এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দেয়, তাহলে বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না। আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই বিধান পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের এসব সুপারিশকে সাধুবাদ জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর পরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টাস্কফোর্স আইপিও গ্রহণ ও বাতিলের যে ক্ষমতা এক্সচেঞ্জ হাউজের কাছে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে, এটি পুরো বাজারকে বদলে দিতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে বিএসইসির হাত ধরে বাজারে যেসব আইপিও এসেছে, তাদের বেশিরভাগই এখন বাজে কোম্পানির শেয়ারে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আইপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপে পিছু হটতে হয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে।’
তবে টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী এসব ক্ষমতা এক্সচেঞ্জকে দিলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করেন ডিএসইর ওই কর্মকর্তা।
২৫১ দিন আগে