বিডিআর বিদ্রোহ
পিলখানা ট্র্যাজেডির সত্য উদঘাটনে ২ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ জানানো হবে
পনের বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহের সময় ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের 'প্রকৃত' ঘটনা উন্মোচন করতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহে শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান আইনজীবী সাকিব রহমান।
একই সঙ্গে 'পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারীদের' বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানানো হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মহাখালী রাওয়া হলে 'পিলখানায় ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জনের হত্যার বিচার এবং শহীদ সেনা দিবসের দাবিতে' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ জানান সাকিব।
সাকিব রহমান বলেন, ‘গত প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা বিডিআর বিদ্রোহের মামলাটি আপিল বিভাগে থাকলেও সর্বশেষ পরিস্থিতি শহীদ পরিবারের সদস্যদের জানা নেই। মামলা চলাকালীন এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। আমার যারা ভুক্তভোগী তারাই মামলার পরিস্থিতি জানি না, দেশের মানুষ কীভাবে জানবে?’
তিনি বলেন, ‘যারা গত সরকারের সময় ক্ষমতায় ছিল, তারাই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারী। আমাদের প্ল্যান অব অ্যাকশন হচ্ছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করব। এতদিনেও বর্তমান সরকারের আমাদের জন্য ৫ মিনিট সময় হয়নি। এখন আমরা যারা অভিযোগ দেব, সেসব শহীদ পরিবারকে সরকার নিরাপত্তা দেবে আশা করছি। কারণ আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব তারা, গত সরকারের ক্ষমতাধর।’
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
তিনি আরও বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।
সাকিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের ডকট্রিন অব কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকেও বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তিনিও দায় এড়াতে পারেন না। তার বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ করব। এছাড়া, তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা, বিশেষ করে ডিজিএফআই কর্মকর্তা, তখনকার সময় কিছু সাংবাদিক যারা ভুল ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ আনব।’
তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকীন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার চাইবে না গুম-খুনের বিচার হোক। যেহেতু এখন বাধা নেই, তাই বিডিআর সদস্য হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করে জড়িতদের আইনের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হোক।
পিলখানা হত্যার দিনকে শহীদ দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জড়িতদের সাজা দিলে দেশের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে। হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ায় যাদের চাকরি থেকে বের করে দওয়া হয়েছে, তাদের সুনির্দিষ্ট একটি ব্যবস্থা করতে হবে।’
এছাড়া চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যার বিচার ও সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে গাড়ি চাপা দিয়ে যদি হত্যাচেষ্টা হয়ে থাকলে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে দাবিগুলো তুলে ধরেন শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌসী।
গ্যাজেটের মাধ্যমে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি এদিন দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখারও দাবি জানান তিনি।
পিলখানা হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে নতুন ভাবে তদন্ত শুরুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত তদন্ত কমিশনের অগ্রগতি আমাদের জানানো হোক। এর আগের সব তদন্তের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করার হোক।
অফিসিয়াল গ্যাজেটে নিহত ৫৭ জন বীর সেনানীকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া ও পিলখানা ট্র্যাজেডিকে উপযুক্তভাবে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং দ্রুত বিচার শেষ করে আটক করা নির্দোষ সব মানুষকে দ্রুত ন্যায় বিচার দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্ররোচনায় ও নীলনকশায় শেখ হাসিনার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরাসরি জানতেন।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফুর রহমান খানের মেয়ে ফাবলিহা বুশরা।
এসময় আরও বক্তব্য দেন শহীদ লে. কর্নেল কাজী রবি রহমানের স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া রশিদ ও তার ভাই কাজী ওলি রহমান, শহীদ কর্নেল এরশাদের ভাই ডা. মামুন, শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান, শহীদ কর্নেল কুদরত এলাহির স্ত্রী লবী রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২০০৯ সালে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে আব্দুর রহিমের ছেলে আইনজীবী আব্দুল আজিজ এই মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আবেদনটি নথিভুক্ত করেন। একই সঙ্গে আব্দুর রহিমের অপমৃত্যুর মামলার নথি তলব করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদকে। শেখ হাসিনাকে করা হয়েছে চার নম্বর আসামি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু।
এছাড়াও ২০১০ সালের জুলাইয়ে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও কারাগারের চিকিৎসকদেরসহ আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী আইনজীবী আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিম ডিএডি হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে আটক করা হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই ডিএডি আব্দুর রহিমকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়রসহ ১১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের নামে মামলা
৩ মাস আগে
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি জড়িত- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পিলখানায় সেনা অভিযান না চালানো, খুনিদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এবং অনেককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্ন তুলতে গিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষ্য, তাদের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত কমিটির আংশিক প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের শেষ বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর তাদের পেছনে ছিলেন এই সরকারের বিদেশি প্রভুরা।’
এদিকে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ হয়তো স্বীকার করবেন না, কিন্তু সেদিন পিলখানায় যা ঘটেছিল, কারা করেছিল, কেন ঘটল, ঘটনার পেছনে কারা ছিল, কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল- এসব সত্য গতকালও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে বিজিবির সাবেক এই মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকার দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজির বক্তব্যে সেদিন জনগণ যা দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সাবেক মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন- একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা ঘটনার সময় বাইরে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাছাড়া বিদেশি উসকানির বিষয়ে তিনি যা বলেছেন, ঘটনার দিন থেকেই জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সাবেক এই মহাপরিচালক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। আমরা বলতে চাই, পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য লুকিয়ে রাখা যাবে না, একদিন এর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
৯ মাস আগে
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিপুল জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে সেই সরকার কি এমন কাজ করতে পারে? দিবালোকের মতো পরিষ্কার, এই বিপুল জনরায় দেখে বিএনপি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারা ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ করেছিল এবং আমাদের চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল।’
হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেরিতে বিছানা ছাড়লেও বিদ্রোহের দিনে ঘটনা শুরুর বেশ আগে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
হাছান বলেন, ‘কেন তিনি সেদিন এত সকালে বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন? তার মানে তিনি বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই জানতেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ফোন কল রেকর্ড সরকার সংগ্রহ করেছে এবং জানে লন্ডনে তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটি সরকার জানে। ‘সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, মঈন খান হয়তো ভুলে গেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মনে করেছে নির্বাচন হবে না এবং তারা চেয়েছিল যাতে সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভোটাররা এসেছে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।’
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে: হাছান মাহমুদ
৯ মাস আগে
কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত সম্ভু কুমার শর্মা (৬২) কুষ্টিয়ার খোকসা থানার গোপগ্রাম জোতপাড়া এলাকার হরেন্দ্র নাথ শর্মার ছেলে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
তিনি জানান, সম্ভু কুমার শর্মা রাত ৩টার দিকে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, কারা নিয়ম অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
১ বছর আগে
বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের আগের দিন রাত ১টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন এবং তাকে সকাল ৬টার মধ্যে তার বাসভবন ত্যাগ করতে বলেন।’
শনিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করা ভিডিওটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে সংসদে কল রেকর্ড উপস্থাপন করেন। ‘প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ ছাড়া জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য দেন না। বিএনপি এ বিষয়ে কখনো সাড়া দেয়নি।’
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪তম বার্ষিকীতে, এই ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের পটভূমি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করে।
ট্র্যাজেডিতে তাদের নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছে এমন পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন যে বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে, ‘একটি রাজনৈতিক দল’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক গুজব সেল চালু করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, তার প্রোফাইলে পোস্ট করা এই ভিডিওটিতে সেই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে।
ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের তৎকালীন বিশেষ দূত জিয়া ইস্পাহানীর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ রয়েছে। জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু না করার জন্য। ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার প্রস্তাব দেন, প্রধানমন্ত্রী যা প্রত্যাখ্যান করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া ইস্পাহানী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন। ভিডিওটিতে বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘কার বা কাদের আহ্বানে জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশে এসেছিলেন?’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র চার দিন আগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেছিলেন।’ তবে বিমানবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ফিরিয়ে দেন। ‘তার দেশ ছাড়ার উদ্দেশ্য কি ছিল?’- এটাও প্রশ্ন।
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা আসামিদের অনেকেই বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘২২ জন পলাতক বিডিআর সদস্যকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জনের চাকরির সুপারিশ করে ডিও লেটার ইস্যু করেছিলেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৬ সালে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য একটি মরিয়া চেষ্টা করেছিল। মঈন ইউ আহমেদ এবং সাদিক হাসান রুমিসহ সশস্ত্র বাহিনীর মুষ্টিমেয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বিএনপি-জামায়াত সরকারের অন্ধকার দিকটি প্রকাশ করেছিলেন।’
বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ এবং কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদসহ নিহতদের অধিকাংশই ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভিডিওতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই পিলখানা গণহত্যা সংঘটিত হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৭৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ‘এই অপূরণীয় ক্ষতি শুধু সশস্ত্র বাহিনীরই নয়, সমগ্র জাতিরও হয়েছে। নবগঠিত আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বড় আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
১ বছর আগে
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার অভিযোগ করেছেন, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার সঠিক তদন্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই ঘটনার যেভাবে তদন্ত হওয়া উচিত ছিল এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী ও মূল হোতাদের বের করে আনার জন্য যেভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো উচিত ছিল, দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।’
এ ঘটনার ১৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে বনানী সেনা কবরস্থানে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত করেছে, কিন্তু জাতি এখনো সেই তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পায়নি।
বিএনপি নেতা বলেন, বিদ্রোহ ও পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে একই ঘটনার সঙ্গে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা আরেকটি মামলার বিচার এখনও শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) অনেক সৈনিক যারা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে, তারা এখনও কারাগারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমি কারাগারে ছিলাম। সেখানে দেখলাম, এই মামলায় আসামি করা অনেক প্রাক্তন বিডিআর সদস্য ১৩/১৪ বছর ধরে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। তাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে গেছে।’
তিনি সরকারের কাছে বিস্ফোরক মামলার বিচার সম্পন্ন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান, যাতে যারা নির্দোষ তারা তাদের পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে তৎকালীন বিডিআর এর একটি বিদ্রোহী দল পিলখানা সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে ঢাকার একটি আদালত এ মামলায় ১৫০ বিডিআর সদস্য ও দুই বেসামরিক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে।
পিলখানা সদর দপ্তরে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, সরকার বিদ্রোহ-বিধ্বস্ত আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখে এবং এর লোগো ও ইউনিফর্ম পরিবর্তন করে।
ফখরুল সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং নিহত সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
বিএনপির এই নেতা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাদেরকে তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতির সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করেন।
বিদ্রোহে নিহত তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীসহ তিনি কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন রাজনৈতিক: কাদের
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা এখনো চিহ্নিত হয়নি: বিএনপি
১ বছর আগে
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি শনিবার মারা গেছেন।
নিহত আব্দুল বাতেন (৭০) মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাতেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘বিডিআর বিদ্রোহ’ এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে কয়েকশ' বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
পরদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
এ ঘটনায় হত্যা ও লুটপাট এবং বিদ্রোহসহ মোট ৫৮টি মামলা দায়ের করা হয়।
হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। দেশের সর্ববৃহৎ এই হত্যা মামলায় ২৭৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
১ বছর আগে
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে সংগঠিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পালিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
৩ বছর আগে
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে সংগঠিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পালিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
৩ বছর আগে