জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে জামায়ত
দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই আলোচনা শুরু হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
এর আগে ২৬ এপ্রিল, প্রথমবারের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, একজন ব্যক্তি যেন দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন— প্রথমদিনের আলোচনায় এসব প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন দলটির সদস্যরা।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।
এরমধ্যে বিএনপি, জামায়ত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দল লিখিত আকারে মতামত জমা দিয়েছে।
২০১ দিন আগে
সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কিত নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে এই প্রস্তাবনা জমা দেন দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হওয়ার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কমিশনে স্বাস্থ্য সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে তা পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে কমিশন।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৩৮ দিন আগে