২২ শিক্ষার্থী
কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির জেরে সংষর্ষের ঘটনায় ২২ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষের দুই মাস পরে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) হোচেন আলী নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে এই মামলা করেন। মামলার পর খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তারা এখনও পাননি।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে কুয়েট-১৯ নামক ফেসবুক পেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি পোস্ট করা হয়। যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টায় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির যোগসাজশেই এই মামলা করা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্ন রাখা হয় পোস্টে। মামলা দায়েরকারীরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানলেন এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নামে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিবার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক সভা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, বিজ্ঞপ্তি জারি ও অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুয়েটে না পাঠানোর অনুরোধ জানায়। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ক্যাম্পসে ঢোকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কুয়েট প্রশাসন। এতে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আজ (রবিবার) দুপুর ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরাও সেখানে যান। এরপর দুপক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
১৮ দিন আগে