কুয়েট ভিসি
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
কুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৪টা দিকে জাবির শহিদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাগছাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব জাবি শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা ভিসির পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে সামনের সারিতে ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় একটি দলের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে উল্টো বিপ্লবীদেরই বহিষ্কার করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে কুয়েট প্রশাসন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে ভিসিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতা আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর কীভাবে অন্যায়-অবিচার করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছেন। তাদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি এবং কুয়েটের ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।’
ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জাবি শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, ‘এ দেশের হাজারো ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জুলাই আন্দোলনকে সফল করেছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ছাত্র উপদেষ্টারা ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করছেন, অথচ কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া অন্যায়ের কোনো প্রতিকার করছেন না। আপনারা ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নির্দিষ্ট কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করতে চান, তাহলে পদত্যাগ করুন। দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের চেয়ারে বসানো হয়নি। কুয়েট ভিসির পদত্যাগ নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।’
২২৬ দিন আগে
তালা ভেঙে কুয়েট শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ, ভিসির পদত্যাগ দাবি
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিও ঘোষণা করেছেন তারা।
ছুটি শেষে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কুয়েটের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বেলা পৌনে ২টার দিকে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা দেন। পরে বিকাল ৩টার দিকে তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন তারা।
ব্রিফিংয়ের সময় দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়, ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট ও পানি বন্ধ করে হল থেকে (শিক্ষার্থীদের) বের করে দিয়েছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন এবং তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) বহিষ্কার করেছেন। তাই আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি—এই ভিসিকে অপসারণই আমাদের একমাত্র দাবি।
একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
ঘোষণাপত্রটি পাঠ করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তারা মিছিল নিয়ে খান জাহান আলী হলের দিকে যান। এরপর হলের ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন। একইভাবে তারা ড. এম এ রশিদ হল, অমর একুশে হল, লালন শাহ হলেরও তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এর আগে, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে কুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং আবাসিক হলগুলো খুলবে ২ মে।
তার আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও হল খুলে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার
২৩৪ দিন আগে