সেল্তা ভিগো
সেল্তার বিপক্ষে রদ্রিগোকেও পাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ
লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ ও উয়েফা সুপার কাপ—গত মৌসুমে চারটি শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদ এবার দুঃস্বপ্নের এক মৌসুম কাটাচ্ছে। সব হাতছাড়া হয়ে এখন পর্যন্ত কেবল লা লিগার শিরোপার দৌড়েই টিকে আছে দলটি। তবে মৌসুমের শেষে এসে চোটে জেরবার হয়ে সেই আশাও ফিকে হয়ে যেতে বসেছে তাদের।
লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের আর পাঁচ ম্যাচ খেলা বাকি। এর মাঝে গতরাতে নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে। ফলে নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে হারা তো দূর, পয়েন্ট খোয়ালেই শিরোপাস্বপ্ন ভেস্তে যেতে পারে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ (রবিবার) সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামছেন ভিনিসিয়ুস-এমবাপ্পেরা। তবে ভয়ডরহীন ফুটবল উপহার দেওয়া সেল্তার বিপক্ষে স্কোয়াডে খুব বেশি গভীরতা পাচ্ছেন না আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকো ফাইনাল হেরে বার্সেলোনার কাছে কোপা দেল রের শিরোপা হাতছাড়া হয় রিয়ালের। ওই ম্যাচে চোটে পড়েন দলটির লেফটব্যাক ফেরলন্দ মদিঁ। এছাড়া ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আন্টোনিও রুয়েডিগার সময়টি কাজে লাগাতে পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন।
তার আগে থেকেই অবশ্য রিয়ালের স্কোয়াডে অনুপস্থিত ডাভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। আর দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাও তো পুরো মৌসুমের জন্যই ছিটকে গেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে এবার রদ্রিগোকে হারালেন আনচেলত্তি। তবে চোট নয়, মূলত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছেন রদ্রিগো। ম্যাচের আগে সতীর্থদের মাঝে যাতে ফ্লু ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি তিনি। এ সময় বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। আর এ কারণেই তাকে স্কোয়াডে রাখেননি আনচেলত্তি।
শিষ্যদের চোটের কারণে চলতি মৌসুম বারবার একাদশ সাজানো নিয়ে ভুগতে হয়েছে রিয়াল কোচকে। সেল্তার বিপক্ষে আরও একবার সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাকে।
কেমন হবে একাদশ
এই মুহূর্তে দলটিতে মাত্র তিনজন ডিফেন্ডার সুস্থ ও খেলার উপযোগী রয়েছেন। লুকাস ভাসকেস, রাউল আসেন্সিও ও ফ্রান গার্সিয়ার সঙ্গে তাই আরও একবার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে রক্ষণ সামলাতে হবে।
বেলিংহ্যামকে ফলস নাইন পজিশনে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দল সাজাতে পারেন আনচেলত্তি। মাঝমাঠে ফেদেরিকো ভালভের্দে নিয়মিত মুখ হলেও দানি সেবায়োস ও লুকা মদ্রিচ একটি স্পটের জন্য প্রতিযোগিতা করে থাকেন।
আক্রমণভাগে রদ্রিগোর অনুপস্থিতিতে কপাল খুলতে পারে ব্রাহিম দিয়াসের। আবার সম্প্রতি মাঠে আলো ছড়ানো আর্দা গুলেরকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে তো থাকবেনই।
সম্ভাব্য একাদশ: কোর্তোয়া, ভাসকেস, চুয়ামেনি, আসেন্সিও, ফ্রান গার্সিয়া, ভালভের্দে, মদ্রিচ/সেবায়োস, ব্রাহিম দিয়াস/গুলের, বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে।
২১৪ দিন আগে
ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
পিএসজির বিপক্ষে বার্সেলোনার সেই ঐতিহাসিক ‘রেমন্তাদা’র কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ওই রকম না হলেও উত্তেজনার অন্যরূপ দেখিয়ে, নাটকীয়তার চরমে উঠে আরও একটি ফিরে আসার গল্প লিখল কাতালান জায়ান্টরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আবহে গত সপ্তাহজুড়ে রিয়াল মাদ্রিদ জগতে চর্চিত ছিল ‘ফিরে আসার গল্প’ বা রেমন্তাদা। কামব্যাকের আরও একটি গল্প লেখার প্রত্যয়ে দলটির খেলোয়াড় থেকে সমর্থক—সবাই মুখে ‘রেমন্তাদা’র ফেনা তুলে ফেললেও শেষ পর্যন্ত আর্সেনালের কাছে হেরে বসে। দুই লেগেই হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটিকে।
ওই ঘটনার তিন দিন পরই কাকতালীয়ভাবে লা লিগায় রেমন্তাদা, অর্থাৎ ফিরে আসার নাটক রচনা করল রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা।
ফুটবলের অপকৌশল খ্যাত রক্ষণাত্মক ফুটবল যে সেল্তা ভিগো খেলতে জানে না, তা অনেক আগে থেকেই সবার জানা। দলটির অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড ইয়াগো আসপাসের ক্ষিপ্রতার কথা কে না জানে! তার ওপর আবার চলতি মৌসুমে আক্রমণে ধার বাড়িয়েছে দলটি। বোরহা ইগলেসিয়াসকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। ফলে এই আক্রমণ-শক্তির সামনে বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্স ঠিক কতটা কার্যকর হয়, ছিল তা-ই দেখার অপেক্ষা।
মাঠের খেলায় নিজেদের নামের প্রতি সুবিচারে একটুও কমতি রাখেনি সেল্তা। আসপাসকে শুরুর একাদশে না রাখা হলেও ঝলক দেখিয়েছেন ইগলেসিয়াস।
আরও পড়ুন: হারের শঙ্কা জাগিয়েও সাত গোলের থ্রিলার জিতল বার্সেলোনা
ফ্লিকের অফসাইডের ফাঁদ ভাঙতে দলটি যে বিশেষ অনুশীলন করে মাঠে নেমেছে, তা খেলা শুরুর পর তাদের একের পর এক নির্ভুল লং পাস ও সুনিপুণভাবে অফসাইড এড়িয়ে আক্রমণে ওঠা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। আর এই খেলার কাছেই এদিন দিশেহারা হয়ে যায় তারুণ্যনির্ভর বার্সেলোনা। সেল্তাকে কীভাবে থামাবে তা কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কুবারসি, কুন্দে, ইনিগো মার্তিনেসরা।
ফলে দ্বাদশ মিনিটে পেদ্রির থ্রু বল ধরে অসাধারণ নৈপুণ্যে ফেররান তোরেস দলকে এগিয়ে নিলেও মিনিট চারেক পরেই সেল্তাকে সমতায় ফেরান বোরহা। এখানেও সেই ডিফেন্সভাঙা কৌশলে সাফল্যস্বরূপ গোলের দেখা পান তিনি।
এ সময় বার্সার ডিফেন্স চিরে সতীর্থের দুর্দান্ত পাস পেয়ে এগিয়ে যান ইকের লোসোদা। এরপর বিপরীত পাশে ইগলেসিয়াসের উদ্দেশে পাস বাড়ান তিনি। এ সময় ভয়চিয়েখ স্টান্সনি এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পাসটি নিষ্ক্রিয় করতে চেয়েও ব্যর্থ হন। আর প্রথম ছোঁয়াতেই উন্মুক্ত গোলে বল পাঠান ৩২ বছর বয়সেও ছুটে চলা এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
২২৯ দিন আগে