ঝটিকা মিছিল
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিল করায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে তারা সাধারণ পথচারীর ছদ্মবেশে হকি স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে সাধারণ স্লোগান দিলেও হঠাৎ করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধাওয়া করে এবং তিনজনকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, পুলিশের কাছে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তবে সাধারণ নাগরিক সেজে মিছিলটি হঠাৎ করে শুরু হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-৯ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল
মিজানুর রহমান আরও জানান, আটক ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত—এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১০২ দিন আগে
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল প্রতিরোধে ডিবির অভিযান, সাত দিনে গ্রেপ্তার ৫৬
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) চলমান অভিযানে এক সপ্তাহে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ৫৬ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপি উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা এবং ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ শহিদ, বংশাল থানা ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. জিয়া মিয়া, শেরে বাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রব পাটোয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের বর্তমান ও সাবেক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৮
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. আবেদ আলী শেখ গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। অন্যদিকে, মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাগর ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া গ্রেপ্তার ইমনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঝটিকা মিছিলসহ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সকল অপতৎপরতা রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই ধরনের ঝটিকা মিছিল প্রতিরোধে রাজধানীজুড়ে গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান।
২২২ দিন আগে
ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৮
ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উপকমিশনার(মিডিয়া) তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ১। কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ শহিদ (৪১), বংশাল থানা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. জিয়া মিয়া (৪৫), ২৮ নম্বর ওয়ার্ড শেরে বাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুর রব পাটোয়ারী (৫০), ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ ও শেরে বাংলা নগর থানার সহসভাপতি মো. কবির হোসেন ওরফে পানি কবির (৩৫), ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম কে আজিম, মহানগর উত্তর তুরাগ থানা কৃষক লীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন (৪২), বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রায়হান আহমেদ (৪৩) ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের রামপুরা থানার সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম খান লিটু (৪৫) ।
আরও পড়ুন: ইটভাটায় নারী শ্রমিক ধর্ষণ মামলায় যশোরে গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
২২২ দিন আগে
খুলনায় আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, তিন মামলায় গ্রেপ্তার ৪০
খুলনার বিভিন্ন স্থান থেকে ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ এপ্রিল) নগরীর হরিণটানা, আড়ংঘাটা ও খালিশপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘তিনটি থানাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে মামলা করার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
কেএমপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিছিলের ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে অংশগ্রহণকারী অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ‘থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগের ৭৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হরিণটানা থানা পুলিশ এ পর্যন্ত এই মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আড়ংঘাটা থানাতেও একই ধরনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তকার অভিযান অব্যাহত থাকতে পারে।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন হঠাৎ মিছিল করে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নগরীতে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। জোরদার করা হয়েছে টহল।
২২৭ দিন আগে
খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
খুলনার জিরোপয়েন্টে ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে তারা এই মিছিল করেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি। আজ সকালের ওই মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায়, একদল লোক ব্যানার নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি আছে। এ সময় ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তবে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ছিল মিছিলে পরিচিত কোনো মুখ থাকবে না। এ কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অপরিচিত নেতা–কর্মীদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে।’
জিরো পয়েন্ট এলাকাটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার মধ্যে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমেই ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সে সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।
২২৮ দিন আগে