রূপগঞ্জ
শীতলক্ষ্যায় ট্রলারডুবি: ২ যাত্রী নিখোঁজ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া নোয়াপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে বুধবার রাতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে কমপক্ষে দুই যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজরা হলেন চনপাড়া এলাকার তারা মিয়ার স্ত্রী জাবেদা (৪০) ও সেলিম মিয়ার মেয়ে চৈতি (১৭)।
চনপাড়া নৌ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মন্টু কুমার দাস জানান, ২০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে গেলে ১৮ জন তীরে উঠে এসেছেন। তবে দু’জন নিখোঁজ আছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশে খবর দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, মা-ছেলে নিখোঁজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
মধুমতি নদীতে ট্রলারডুবিতে যুবকের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন: শনাক্ত ২৪ জনের লাশ বুঝে পেল পরিবার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজিব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে শনাক্ত ২৪ জনের লাশ বোঝে পেল তাদের পরিবার। বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।এ সময় যেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
সিআইডি জেলা প্রশাসনকে লাশ হস্তন্তরের পর একজন এডিসি ও ম্যাজিস্টেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষা করে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এসব লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে থাকা ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পরের দুই দিনে ধরাবাহিকভাবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা লাশ হস্তান্তর করা হবে। এখনও চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লাশ দাফন ও সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান হবে।
স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিশ্চিত করেছেন। আগুনে পোড়া লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। তবে সবগুলো লাশ প্রায় আগুনে পুড়ে যাওয়ায় কারো চেহারা বোঝা যায়নি। পরে পরিচয় শনাক্তে নিহতদের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গত ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় গত ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানিতে ভারতের শোক
হাশেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের মামলা সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিকের প্রাণহাণির ঘটনায় করা মামলা অধিক তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের সদর দপ্তর থেকে এ আদেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন সাজার ব্যাখ্যা দিয়ে আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। এ কারণে নিবিড়ভাবে অধিক তদন্তের জন্য পুলিশের সদর দপ্তর থেকে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশনা এসেছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটির নথিপত্র ও জব্দকৃত আলামতসহ সবকিছু সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবেন। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে এসব সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা পুলিশ সুপার।
বুধবার নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত এই মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে হাশেম ফুডস লিমিটেডের মালিক আবুল হাশেমসহ ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এই ছয়জনের মধ্যে হাশেমের দুই ছেলে হাশেম বিন হাশেম ও তারেক ইব্রাহিমও আছেন।
আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন সাজার ব্যাখ্যা দিয়ে আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ
তবে আদালত হাশেমের অন্য দুই ছেলে তাওসিফ ইব্রাহিম ও তানজিব ইব্রাহিমকে জামিন দিয়েছেন। তাঁরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন এবং এই প্রতিষ্ঠানে তাদের কোনও মালিকানা নেই বলে তাদের জামিন দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
আরও পড়ুন: যোগ্যদের পদোন্নতি দিন: সেনা কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস লিমিটেডের সাততলা কারখানায় আগুন নেভাতে পারেননি দমকলকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই আগুনের সূত্রপাত। শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ তে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কল কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
এই বিপর্যয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে শ্রমিকদের এই আগুন থেকে বাঁচার কোন পথ ছিল না। ভবনের প্রতিটি তলা ঘি, মাখন, তেল, পলিথিনের মতো দাহ্য পদার্থে ভর্তি ছিল, যা থেকে আগুন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। যদি নির্মাণ নীতিমালা মেনে ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ রাখা হতো তাহলে হয়তো এতো প্রাণহাণি হতো না। এছাড়া ভবনটির প্রতি তলার কলাপসিবল গেটে তালা দেয়া ছিল। ২০১২ সালে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডেও এই একই কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেশি হয়েছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১১২ জন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে উদ্ধারকর্মীরা ভবনের চতুর্থ তলার কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে লাশগুলো উদ্ধার করেন। সেখানেই তাঁরা পুড়ে যাওয়া ৪৯ টি লাশ পান।
লাশগুলো চেনার কোন উপায় ছিল না। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারি জানিয়েছেন, সনাক্ত করার জন্য লাশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নারায়নগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
এর আগে ঢামেক এবং রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা আগুন থেকে বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে কারখানার বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিল। কয়েকটি বিভাগ খোলা ছিল। ভবনের একাধিক তলা গোডাউন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে ঘটনার সময় কে বা কারা গেটে তালা দিয়েছিল সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে রাষ্ট্রপতির গভীর শোক
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, ভবনের বিভিন্ন তলার গেট তালাবদ্ধ থাকায় উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যদি তালাবদ্ধ না থাকতো, তবে এতো বেশি প্রাণহানি হতো না।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেম কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি শুক্রবার বলেছে, দেশের বেশিরভাগ কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশের অভাব রয়েছে।
এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে তদন্তের মাধ্যমে এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনের আসল কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
তিনি এই ধরনের ঘটনা এড়াতে সরকারের প্রতি নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা জানানোর আমার কোন ভাষা নেই। আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
আরও পড়ুনঃ নারায়নগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
ফখরুল বলেন, অনিরাপদ কাজের পরিবেশ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং তদারকির বিষয়ে সরকারের দ্বৈত নীতিমালার কারণে এত বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। লকডাউন চলাকালে যদি কল-কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হত, তবে এতো নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাত না।
আরও পড়ুন; নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে রাষ্ট্রপতির গভীর শোক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাগা এই আগুনে এ পর্যন্ত ৫২ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।এ সময় তিনি এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
শুক্রবার এক শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদ বলেন, মৃত্যু ও হতাহতের ঘটনা বেড়েই চলছে। এ নির্মম মৃত্যু সহজে মেনে নেয়ার নয়। তদন্ত করে দুর্ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কিংবা কর্তব্যে অবহেলার প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে রাষ্ট্রপতির গভীর শোক
রওশন এরশাদ অগ্নিদগ্ধদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে রাষ্ট্রপতির শোক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি নিহতদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আগুনে দগ্ধ হয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাগা এই আগুনে এ পর্যন্ত ৫২ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান জানান, ভবনটির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার কাজ চলছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ মগবাজার বিস্ফোরণ: মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের এই কারখানায় আগুন লাগে। রাতে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে কারখানার অনেক শ্রমিক নিখোঁজ থাকায় তাদের স্বজনরা ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে শুক্রবার ৪৯ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আগের দিন এ ঘটনায় আরো ৩ জন মারা যান। কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। ধ্বংসস্তুপের ভিতরে আরও লাশ থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। আরেফিন আরো জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ছয়তলার কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ মগবাজার বিস্ফোরণ: বাসযাত্রী সুভাষের মৃত্যু
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন: নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা
রূপগঞ্জে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিক নিহত হন।
পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্র্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে আগুন
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দমকল বাহিনীর ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ২৫ দোকান
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আহতদের একজন আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে লাফিয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আমরা আহত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকটি ঘর, গোডাউন
কারখানার ভিতরে সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে সেজান জুসের কারখানায় আগুন লেগেছে। তবেআসলে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।’
রূপগঞ্জে সড়কের বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী
ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কটির স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট গর্তে কোথাও হাঁটু সমান পানি। আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে থাকে। প্রতিদিনই হালকা পরিবহন উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না। পাকা রাস্তার মাঝখানে কাদার ছড়াছড়ি। দিন-দিন এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর বেহাল দশা, রোগীর সেবায় পরিচ্ছন্নকর্মীরা
পাথরবাহী লড়ি ও মালবাহী ট্রাক অবাধে চলাচল করার কারণে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়দের জানান। সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে স্থানীয় লোকজনের ভোগান্তিও চরমে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলা সদর, থানা, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, প্রধান ডাকঘর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ইছার মাথা ও ইটবহনকারী ট্রাক চলাচল করে সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। রাতের আঁধারে এনডিই এর পাথরবাহী ট্রাক সহ মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি দিন দিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানে স্থানে খানাখন্দের গর্তে পানি জমে থাকায় হালকা যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাড়ির মালিকরা।
হারিন্দা গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সড়কটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো বাজারজাত করতে পারছেন না তারা। তাতে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে পরিবহন খরচ ও সময় বেশি লাগছে। অনেকেই দশ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের বেহাল দশা, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ‘ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কটি এলজিইডির হলেও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রাস্তাটি একাধিকবার সংস্কার করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। শিগগিরই সড়কটি সংস্কার করা হবে বলে আমি আশা করি।’
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জামালউদ্দিন জানান, ডেমার-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়কের উভয়পাশ ৩ফুট প্রশ্বস্ত করে দ্রুত সংস্কার কাজ করা হবে।