নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিক নিহত হন।
পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্র্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে আগুন
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দমকল বাহিনীর ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ২৫ দোকান
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আহতদের একজন আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে লাফিয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আমরা আহত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকটি ঘর, গোডাউন
কারখানার ভিতরে সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে সেজান জুসের কারখানায় আগুন লেগেছে। তবেআসলে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।’