ভাষা শহীদ
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতা থেকে আসা সাইক্লিস্টদের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আসা ১২ জন সাইক্লিস্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল অবকাশে মন্ত্রী এই সাক্ষাৎ করেন।
এসময় সাইক্লিস্টরা ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে সংগীত পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।
দশম ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সাইকেল র্যালি শিরোনামে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সংগঠন ‘১০০ মাইলস’ এর এই ১২ জন সাইক্লিস্ট কলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন।
২০১২ সালে এই সাইকেল র্যালি শুরু হয়।
সেসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিযুক্ত মন্ত্রী হিসেবে মুহাম্মদ ফারুক খান তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
কোভিডের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর সাইকেল র্যালিটি এই বছর আবার শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এই সাইক্লিস্টদের বাংলাদেশে আবাসন সহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে পর্যটন শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হবে: পর্যটনমন্ত্রী
৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: বাংলাদেশের নেতৃত্বে পর্যটনমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বুধবার ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে জাতি
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করা ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার অমর একুশে, ভাষা শহীদ দিবস পালন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে জাতি।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় সারা বিশ্বে দিবসটি উদযাপন করা হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'বহুভাষিক শিক্ষা: শিক্ষার একটি স্তম্ভ ও আন্তঃপ্রজন্ম শিক্ষা'।
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'- গাইতে গাইতে খালি পায়ে হেঁটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাকে (তৎকালীন পাকিস্তানের) রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জীবন উৎসর্গকারী ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে অস্বীকার করে। উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে নেমে এসেছিল ছাত্র-জনতা।
আরও পড়ুন: অমর একুশে গ্রন্থমেলা হবে, তবে সময় জানা যাবে পরে
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা মিছিল বের করলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ বাংলার কয়েকজন বীর সন্তান।
এ দিন সরকারি ছুটি থাকলেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহেও দিবসটি পালন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সারাদেশে পালিত হলো 'অমর একুশে'
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অমর একুশের চেতনা বিশ্বের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিরাম প্রেরণার উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশের মর্মবাণীকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হোক, বৈষম্যহীন বর্ণাঢ্য পৃথিবী গড়ে উঠুক, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও ও টিভি চ্যানেল এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
অমর একুশে উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
৯ মাস আগে
ভাষা শহীদদের প্রতি ইইউ সদস্য দেশগুলোর দূতাবাসের শ্রদ্ধা
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিনিধি দল এবং সকল ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের দূতাবাস।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ইইউ দূতাবাস এক বার্তায় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা।’
তারা বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে একটি ছবিও শেয়ার করেছেন।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতি।
১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনের শহীদরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নারীদের ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা দেবে ইইউ
২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ভাষা শহীদদের স্মরণে জিপনের বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা
মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ জিপনের জন্য বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ তৈরি ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভা শুরুর আগে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
এসময় প্রতিমন্ত্রী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এডিপি বাস্তবায়নসংক্রান্ত জাতীয় ইনডেক্সে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে নম্বর ওয়ান হিসেবে দেখেতে চাই। প্রকল্প বাস্তবায়নসংক্রান্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে আমাদের ইনডেক্সের উপরে থাকতে হবে। জাতীয় বাস্তবায়ন অগ্রগতি থেকে কোনো অবস্থাতেই নিচে থাকা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, অর্থবছর শেষে আমাদের এক নম্বরে থাকতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থবছরকে চারটি ভাগে ভাগ করতে হবে।
ভাগগুলো হবে- প্রথম তিন মাস, প্রথম ছয় মাস, প্রথম নয় মাস।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
পলক বলেন, প্রথম তিন মাস পর যে প্রকল্পে যত খরচ করতে পারবে সে অনুযায়ী পরবর্তী তিন মাসের জন্য বরাদ্দ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি ভালো কাজের ভালো ফল দেখতে চাই। চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে কোনো কাজেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি মূল পিলার (স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা) শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আগামী পাঁচ বছরে এই মন্ত্রণালয় কী করবে তিনটি ধাপে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
সেটি হচ্ছে- আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
৯ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মাদ সাহাবুদ্দিন অফিসের প্রথম দিনে মঙ্গলবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রথমে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো তিনি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে।
সাহাবুদ্দিন নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ কিছু সময় নীরবতা পালন করেন।
দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়।
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
সাভার থেকে রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের একটি হলোগ্রাফিক উপস্থাপনাও প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
রাষ্ট্রপতি ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও পরিদর্শন করেন।
আগের দিন সকালে তিনি সাভারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্ট গার্ড (পিজিআর) কর্তৃক তার প্রথম আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা এবং বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পিজিআর-এর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে যখন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি ব্যান্ড স্বাগত সুর বাজিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
১ বছর আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার পেরিস সিটিতে শহীদ মিনার উদ্বোধন
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পেরিস সিটিতে উদ্বোধন করা হলো স্থায়ী শহীদ মিনার। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত শহীদ মিনারটি বুধবার উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পেরিস সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির নিরলস প্রচেষ্টা, পেরিস সিটি মেয়রের উদ্যোগে এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্যোগের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে লস অ্যাঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট সম্পৃক্ত হয়। বাংলাদেশ কনস্যুলেট, পেরিস সিটি ও আইএমএলডিসির যৌথ আয়োজনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন এবং শহীদ বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সব ভাষাশহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার, স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ অন্য ভাষাশহীদদের অবদানের ইতিহাস তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মতো এ শহীদ মিনার নির্মাণে সহযোগিতার জন্য তিনি সিটি মেয়রকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় বক্তব্য প্রদান করে বাংলাকে প্রথম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ‘জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা’ (ইউনেসকো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের স্বীকৃতি প্রদান করে।
পেরিসবাসী প্রবাসী বাংলাদেশি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পেরিস সিটিতে এমন একটি স্থাপত্য নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁদের এ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটি শহরের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত শহীদ মিনারটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে সিটি হল ও স্থানীয় লাইব্রেরির সামনে স্থাপিত হওয়ায় তা ইতোমধ্যে স্থানীয়দের দৃষ্টি কেড়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লস অ্যাঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, সিটি লাইব্রেরি ও আইএমএলডিসির উদ্যোগে শহীদ মিনারের পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রীয় পাঠাগারে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ উদ্বোধনও করেন।
আরও পড়ুন: ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণে রুল
১ বছর আগে
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কাল
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) 'অমর একুশে', ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায়, বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩-এর প্রতিপাদ্য হল ‘বহুভাষিক শিক্ষা- একটি বহুভাষিক বিশ্বে শিক্ষাকে রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তা’।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
ভাষা আন্দোলনের সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে হাতে ফুল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিলে বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন মাটির বীর সন্তান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদেএবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অমর একুশের চেতনা এখন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণার উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও বেশি পরিশ্রমী হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা এখন একই বৈশ্বিক গ্রামের বাসিন্দা। তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বিভিন্ন ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আমাদের নিজস্ব ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হোক, বৈষম্যহীন বর্ণিল পৃথিবী গড়ে উঠুক- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ অনুসরণ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করব- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এছাড়া, আমরা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের মতো উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’’
অন্যদিকে, রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জঙ্গি হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তারা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর, সাধারণ মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রস্থান করবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করতে দেয়া হবে না।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
অমর একুশে উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণে রুল
১ বছর আগে
ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় দেশের মানুষের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘মুজিব- মাই ফাদার’ শিরোনামের একটি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের কিছু অংশ প্রকাশ করেন।
আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ওই অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব এবং তিনি যেভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের ক্রোধের শিকার হয়েছেন সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজব থেকে দূরে থাকুন, সত্য তথ্য জানুন: সজীব ওয়াজেদ
চলচ্চিত্রটিতে উঠে এসেছে, ‘ভাষা আন্দোলনের দিনগুলো কেমন ছিল? তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে ছাত্রদের সংগ্রামের জন্য সংগঠিত করেছিলেন? কেন তাকে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পুরো তিন বছর কারারুদ্ধ করা হয়েছিল এবং এসব প্রশ্নের উত্তর।
‘উর্দুই সমগ্র পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা,’ এই ঘোষণার প্রতিবাদে সেদিন ঢাকা কেমন উত্তাল হয়েছিল, এ সিদ্ধান্তের ফলে কোটি কোটি বাংলাভাষীদের কীভাবে অবহেলা করা হয়েছিল; চলচ্চিত্রটিতে ভাষা আন্দোলনের সেই জ্বলন্ত ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোকে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
শেষে জয় ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
২ বছর আগে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
অমর একুশ, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
মহান ভাষা আন্দোলন জাতির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যার লক্ষ্য ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব-সত্তা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রাণ দিয়েছেন যারা তাদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন দেশের আপামর জনতা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। এ সময় পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উর্দু চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসেন।
১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন বীর সন্তান নিহত হন।
ভাষা আন্দোলনের রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিতে কন্টেন্টের মান নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
আজকে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
অন্যদিকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ছায়ানটসহ অন্যান্য সংগঠন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিকাল ৪টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিশেষ বক্তব্য দেবেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করবেন এবং অনুষ্ঠানটিতে গারো কালচারাল একাডেমির গানের পরিবেশনা এবং আদিবাসী নৃত্যদল কালারস অফ হিল-এর নৃত্য আবৃত্তিও পরিবেশিত হবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি তার জাতীয় নাট্যশালায় ‘বিশ্বের সব দেশে মাতৃভাষা রক্ষা করবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ থাকবে।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
দেশের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট রাত ৮টায় ফেসবুক ও ইউটিউবে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ফাগুন মাসের আগুন’ সম্প্রচার করবে। যেখানে গান, আবৃত্তি ও একটি বিশেষ তথ্যচিত্র উপস্থাপনা থাকবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রবিবার পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘অমর একুশের চেতনা এখন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণার এক অবিরাম উৎস।’
এতে আরও বলা হেয়, ‘বিশ্বের অনেক ভাষাই বর্তমানে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। একটি ভাষার বিলুপ্তি মানে পৃথিবীর মুখ থেকে একটি সংস্কৃতি, একটি জাতি ও একটি সভ্যতার বিলুপ্তি। সুতরাং বিশ্বের জনগণকে তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশসহ সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য তাদের আওয়াজ তুলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য – ‘বহুভাষিক শিক্ষার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ – খুবই উপযুক্ত; কারণ সরকার দীর্ঘদিন ধরে একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি, বিপন্ন ভাষা সংরক্ষণ এবং তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করেছি।’
২ বছর আগে
গাইবান্ধায় ৩৬১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার!
গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৩৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাদের অনেক দূরে যেতে হয়।
জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৭ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৭৫টি কলেজ, ৩৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪০টি কামিল, ফাজিল, আলিম ও দাখিল মাদরাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে, ৩৬১টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ২৪০টি মাদরাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এছাড়া ৭৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১৪টি বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শহীদ মিনারে ‘রাজাকারের’ নাম!
দেশের ইতিহাসে শহীদ মিনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হলেও, শহীদ মিনার না থাকায় গাইবান্ধার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের ভাষার মাসে অত্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার নেই। ফুল দেয়ার জন্য আমাদের শহরে যেতে হয়। আমাদের স্কুলে যদি শহীদ মিনার থাকত, তাহলে ভালো হতো।’
অভিভাবক ও মানবাধিকার কর্মী কেএম সালাউদ্দিন বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিশ্চিত হওয়া দরকার। তা না হলে বর্তমান প্রজম্মের যারা শিক্ষার্থী রয়েছে তারা ভাষা আন্দোলন সর্ম্পকে, শহীদদের গুরুত্ব সর্ম্পকে তারা জানতে পারবে না।
এনএইচ মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কী কারণে ভাষা শহীদেরা ভাষার জন্য আত্মহুতি দিয়েছিলেন, পরবর্তী প্রজম্মকে এ বিষয়গুলো জানানোর জন্যই ভাষার মাসে আমরা তাদের স্মরণ করি। সব শিক্ষার্থীকে এ বিষয়ে জাগ্রত করার জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার নিমার্ণ করা দরকার।
আরওপড়ুন: কয়রায় ৯৪ শতাংশ প্রাথমিক স্কুলে নেই শহীদ মিনার
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন জানান, মুজিববর্ষে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিমার্ণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে শহীদ মিনার নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। আশা করি ২০২২ সালে বেশি ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিমার্ণ করা হবে।
২ বছর আগে