ডিম নিক্ষেপ
আবারও ডিম নিক্ষেপ মমতাজকে
হত্যাসহ দুটি মামলার নিয়মিত হাজিরা দিতে কড়া নিরাপত্তায় মানিকগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে। আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তার ওপর আবারও ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে মানিকগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তোলা হলে বিচারক মমতাজ বেগমের জামিন নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তায় মমতাজের মানিকগঞ্জ আদালতে হাজিরা
কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আবুল খায়ের বলেন, নিয়মিত হাজিরা হিসেবে মমতাজ বেগমকে আদালতে তোলা হয়েছে। হাজিরা শেষে হরিরামপুরে ভাংচুর ও মারামারি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড এবং সিংগাইরে হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড থাকায় তাকে প্রথমে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হরিরামপুর থানায় নেওয়া হবে। হরিরামপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মমতাজ বেগমকে সিংগাইর থানায় চার দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে।
এদিকে প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সংসদে কটূক্তি করায় মমতাজের শাস্তির দাবিতে আজও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ওলামা দলের নেতাকর্মীরা। আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আজও তার দিকে ডিম ছুড়ে মারে বিক্ষুব্ধ কিছু মানুষ।
১৯২ দিন আগে
মানিকগঞ্জ আদালতে মমতাজকে ডিম নিক্ষেপ
মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক সংসদ সদস্য ও আলোচিত সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) শুনানি শেষে তাকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মমতাজের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এর আগে, সকালে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে সিংগাইর থানার হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর।
এ ছাড়া, হরিরামপুর থানার মারামারির মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আইভি আক্তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ‘২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ, ফের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
এ ছাড়া, তার নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেছিলেন বলে জানান আবুল খায়ের।ওসি আরও বলেন, ‘আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় মানুষ মমতাজ বেগমকে কিছু ডিম নিক্ষেপ করেছেন। আমি সারাক্ষণ তার পাশেই ছিলাম, আমারও ডিম লেগেছে।’এর আগে, ঢাকায় বেশ কিছু থানায় হওয়া হত্যা মামলায় মমতাজ চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।
১৯৭ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ আইনজীবী কারাগারে, ডিম নিক্ষেপ
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট নগরীর পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলায় ৬ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান এই আদেশ দেন।
এরা হলেন— সাবেক পিপি কুমিল্লা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জিয়াউল আহসান সোহাগ, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট এএমএম মইন।
এই ছয়জনের মধ্যে মামলার শুনানিতে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার আসামি মোট ২৪ জন আইনজীবী জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আদালতে অনুপস্থিত থাকা দুই আইনজীবী হলেন— জিয়াউল আহসান সোহাগ ও এএমএম মঈন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুকে লক্ষ্য করে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
এদিকে আইনজীবীদের আদালতে শুনানিতে হাজিরা নিয়ে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় সেনাবাহিনীসহ পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের রায় শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় চার আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন কয়েকজন।
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট নগরীর পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী ইনজামুল হকের করা মামলায় ২৬১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জন আইনজীবী।
২২৭ দিন আগে