ঘাতক
বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্টের মতো এমন ভয়াবহ ঘটনাকে মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলেছেন, যেখানে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তারা এটি ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন জঘন্য, ঘৃণ্য, বীভৎস মিথ্যাচার একটি দলের মহাসচিব করতে পারেন, আমার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে তার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। আর পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, মির্জা ফখরুল সাহেব সোমবার এই ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন- ‘যে জায়গায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেখানে না করে তারা অন্য জায়গায় কেন করল।’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা ২১ আগস্টের কয়েকদিন আগেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ মুহূর্তে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে প্রমাণ হয় যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার সুবিধার্থেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, সেখানে গ্রেনেড ছোঁড়ার সুবিধা সেভাবে নেই। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশের বিল্ডিং থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া যায়। সে জন্যই সেখানে সমাবেশ করতে বলা হয়।’
তিনি বলেন, সমাবেশের সময় বিল্ডিংয়ের ওপরে সাদা পোশাকে বা পোশাকধারী পুলিশ থাকে। কিন্তু সেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কোনো পুলিশ পাহারায় ছিল না, পরিবর্তে সেখানে তৎকালীন বিএনপি সরকার, তারেক রহমান জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিল। এবং সেখান থেকেই গ্রেনেডগুলো ছোঁড়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
১ বছর আগে
‘নীরব ঘাতক স্লিপ এপনিয়া’
ঘুমের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলা হয় স্লিপ এপনিয়া। চিকিৎসকেরা মনে করেন, এ রোগ মানুষের জন্য একটি নীরব ঘাতক। এই রোগে ঘুমের মধ্যে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া’ বিষয়ক শীর্ষক সেন্ট্রাল সেমিনারে চিকিৎসকেরা এ কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের মিলনায়তনে সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটি এর আয়োজন করে।
সেমিনারে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ২ ভাগ মহিলা থেকে ৪ ভাগ পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে শহুরে জনসংখ্যার শতকরা পুরুষ ৪ দশমিক ৪৯ ভাগ ও মহিলারা ২ দশমিক ১৪ ভাগ আক্রান্ত।সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যাদের নাক ডাকার সমস্যা, যাদের ঠিক মত ঘুম হয় না, যারা শরীর স্থূলাকার, তারা এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এ রোগের চিকিৎসা রয়েছে। ক্ষেত্রে বিশেষে কোন কোন রোগীর সার্জারির প্রয়োজন হয়। স্লিপ এপনিয়া রোগ সম্পর্কে মানুষ জানে না। তাদের এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন এ উপাচার্য।
আরও পড়ুন: খেজুর খাওয়ার উপকারিতা: সারাদিন রোযা রেখে ইফতারে কেন খেজুর খাবেন?
এছাড়াও সেমিনারে স্পিকার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, স্লিপ এপনিয়া সারা বিশ্বের একটি অবহেলিত ঘাতক ব্যাধি। তবে এখনও স্লিপ এপনিয়ায় শতকরা ৯০ শতাংশ রোগী চিকিৎসার আওতার বাইরে। আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন রোগের চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে এই রোগ সম্পর্কে চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে আরও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের এখানে দুটি স্লিপ ল্যাব রয়েছে। গত পাঁচ বছর এখান থেকে আমরা স্লিপ এপনিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছি।চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, স্লিপ এপনিয়ার সচেতনার লক্ষে প্রত্যেক চিকিৎসককে সচেতন হতে হবে। সচেতনার জন্য প্রত্যেক চিকিৎসকের উচিত রোগীর হিস্ট্রির নিতে হবে। কম করে হলেও মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড সময় বেশি ব্যয় করে চিকিৎসকদের উচিত রোগীর ঘুমের হিস্ট্রি নেয়া। এ রোগের ফলে মানুষের রেসপিরটারি, স্ট্রোক, হার্ট এটাক কার্ডিয়াক ফেলিউরের মত জটিল রোগ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন। সেমিনারে স্পিকার হিসেবে আরও বক্তব্য দেন নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার । সেমিনারে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সেমিনার সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ও চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
‘মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্লান্টের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’
২ বছর আগে
ফরিদপুরে রোদেলা হত্যার তিন বছরেও আটক হয়নি ঘাতক স্বামী
বিয়ের মাত্র দেড় মাস না যেতেই শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারান কলেজছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা (১৮)। এই হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পার হতে চললেও এখনও গ্রেপ্তার হননি অভিযুক্ত স্বামী সোহানুর রহমান সোহান (৩১)।
৪ বছর আগে