ভিসি অপসারণ
ভিসি অপসারণের দাবিতে ববিতে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে মশাল মিছিল করেন তারা। মিছিল শেষে আজ (সোমবার) থেকে এই কর্মসূচী শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, শাটডাউন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পূর্বনির্ধারিত সেমিস্টার পরীক্ষা ও জরুরি সেবা চালু থাকবে।
এ বিষয়ে প্রতিটি বিভাগে শিক্ষক বরাবর আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক উন্মেষ রায় বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি। আমরা আগেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।’
যে ভিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করেন না, তাকে এই পদে রাখা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন এই শিক্ষক।
আরও পড়ুন: বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্যের অবহেলার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ, ফ্যাসিবাদী আচরণ এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ একাধিক ইস্যুতে তারা ভিসির প্রতি ক্ষুব্ধ বলে জানান।
তাদের ভাষ্যে, ‘নিজ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারলেও, উন্নয়নমূলক কোনো কার্যক্রমে ভিসি শরমিনের ভূমিকা ছিল না।’
রবিবার রাতে আয়োজিত মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। মিছিল শেষে আন্দোলনকারীরা উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
২০৭ দিন আগে
ভিসি অপসারণের দাবিতে টানা তৃতীয় দিন ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রতিবাদী গানের পাশাপাশি ভিসি-বিরোধী বক্তব্য দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি পূরণে ব্যর্থতা, চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীকে অর্থ সহায়তা না দেওয়া, ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদের দোসরদের লালন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন উন্নয়নখাতে দুর্নীতির অভিযোগে ভিসির অপসারণ দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম এই উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দালন চলবে।
আরও পড়ুন: ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
দাবি না মানা হলে ভিসির বাসভবনে তালা দেওয়াসহ বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং রাজধানীর সঙ্গে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, সোমবার (৫ মে) ভিসি ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ববির শিক্ষার্থীরা।
সে সময় তারা জানান, আগে ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও উপাচার্য তা মানেননি। বরং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের চেষ্টা করেছেন। এ কারণে বর্তমানে ভিসির অপসারণই তাদের একমাত্র দাবি।
২১২ দিন আগে