বরিশাল নার্সিং কলেজ
তিন শিক্ষককে বহিষ্কার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো উত্তাল বরিশাল নার্সিং কলেজ
সহপাঠীদের ওপর হামলার অভিযোগে জড়িত তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা কালো কাপড়ে চোখ-মুখ ঢেকে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় অভিযুক্ত তিন শিক্ষক— আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগমকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ক্লাস রুটিন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান প্রহসনমূলক রুটিন বাতিলের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে চার দিন ধরে তারা ক্লিনিক্যাল ও ল্যাব প্র্যাকটিসসহ সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আরও পড়ুন: শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম।
তারা বলেন, ঘটনার পর দীর্ঘ চার মাস হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আমাদের লাঞ্ছিত করেও যারা ক্যাম্পাসে আছেন তাদের অনতিবিলম্বে বদলি বা অপসারণ করতে হবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন বরিশাল নার্সিং কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।’
৯৯ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বরিশাল নার্সিং কলেজ
বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ৭২ ঘন্টা পার হলেও অভিযুক্ত শিক্ষকদের অপসারণ না করার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কুশ পুতুল দাহ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এর আগে রবিবার (১১ মে) কলেজের হলরুমে একটি সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এবং সোমবারের (১২ মে) মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩২টি সরকারি ও ১৫৪টি বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন
কিন্তু ৬ মে কর্মসূচি পালনের সময় তারা শিক্ষকদের বাধা ও মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এবং হামলার ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এছাড়া হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনা না হলে আমরন অনশনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনের পর বেসিক বিএসসির সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে একাডেমিক ভবনের সামনে হামলায় জড়িত শিক্ষকদের প্রতিকৃতি সম্বলিত কুশ পুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানানো হয়।
এছাড়া, রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, আগামীকাল (১২ মে) আন্তর্জাতিক নার্সেস ডে পালন থেকে বিরত থাকার ঘোষণাও দেন তারা।
২০৭ দিন আগে
বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন
ছয় দফা দাবি, শিক্ষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার (৭ মে) সকাল ৯টা থেকে কলেজের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে শিক্ষকদের বাধার সম্মুখীন হন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
অভিযোগ রয়েছে, এ সময় শিক্ষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা ও মারধর করে। এ সময় চারজন শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ এবং মারধরের ঘটনায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তবে শিক্ষকেরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ফলে বরিশাল নার্সিং কলেজের সামনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিচারের দাবিতে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
২১১ দিন আগে