আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার কাছে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা
শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছে মিন্টু রোডের ফাউন্টেন স্কোয়ারে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন।
এর আগে, বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে মঞ্চের পিছনে জুমার নামাজ আদায় করেন।
জুমার নামাজের পরপরই একই স্থানে সমাবেশ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে থাকে, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জনসমাগম।
তীব্র গরমের অস্বস্তি কমাতে উত্তর সিটি করপোরেশন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সমাবেশস্থলে একটি ঠান্ডা পানি ছিটানোর ট্রাক মোতায়েন করে।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সকালেই জনগণকে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সার্ক ফাউন্টেন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সমাবেশে সর্বস্তরের মানুষকে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
‘জনতার সমুদ্র তৈরি হবে,’ হাসনাত বলেন, ‘মানুষ দেখবে কে আসলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায়।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সরজিস আলম বৃহস্পতিবার রাতে যখন এনসিপি নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছিল, তখন তিনি তার নিজ শহর পঞ্চগড় থেকে রওনা হয়ে সকালে বিক্ষোভে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার
জামায়াতে ইসলামী, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামিক মুভমেন্ট এবং এবি পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
বুধবার রাতে এনসিপির নেতৃত্বে একদল ছাত্র আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য চাপ দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়ার পর আন্দোলনটি গতি পায়।
হাসনাতের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
২১০ দিন আগে