আদেশ
যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে, একটু সময় দেন: সোলায়মান সেলিম
আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ এলে অবাক হবো না। ‘জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।’
বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক লালবাগ থানার এক হত্যা মামলায় সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে সোলাইমানসহ সাবেক আওয়ামী সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।
তাদের হাতকড়া, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয়। অন্যান্য দিনের মতো কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সারি করে নিরাপত্তাবেস্টনী দিয়ে দাঁড়ান। প্রত্যেক আসামির আইনজীবীও কাছে চলে আসেন। আসামিরা ওকালতনামায় সই করেন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন।
এ সময় আইনজীবী সোলায়মান সেলিমের কাছে জানতে চান, কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন? এ সময় তিনি বলেন, ‘রোজা রাখছি। বই পড়ি। পরিবারের সেঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়।’ এছাড়া দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে বিচারক আসেন। তাতে কর্ণপাত না করে সোলাইমান সেলিম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে, শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছেন আপনরা।’ এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সোলাইমানকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। আমি অবাক হব না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে! বোঝা শেষ।’ শুনানি শেষে সোলাইমানকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় তিনি আরেক আইনজীবীকে ডেকে তার বাবা হাজী সেলিমের বিষয়ে খোঁজ নেন।
হাজতখানায় যাওয়ার সময় সোলাইমানকে তার বক্তব্য ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ’ এ বিষয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।’
১৭ দিন আগে
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ তার পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক সিফফাত উদ্দীন এস আলমের সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে বিচারক এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: এস আলমের মালিকানাধীন ৩ ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের সড়ক অবরোধ
১৬টি স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— গুলশানের ১০ তলা ভবন এস আলম টাওয়ার, ধানমণ্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমণ্ডি লেক সার্কাসে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২ হাজার ৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান-২ এর দশমিক ৭ হাজার ৮৮৮ একর জমি, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩ দশমিক ৩ কাঠা জমির প্লট, পৃথক পৃথক ১ দশমিক ৭২০০ একর জমি, ৯৬ কাঠা জমি, ১ দশমিক ৯ হাজার ৫৩৬ একর জমি, ১১ দশমিক ১ হাজার ৬১ বিঘা জমি ও ১৩১ দশমিক ৪ কাঠা জমি।
৬৭ দিন আগে
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মুহাম্মদ আজমী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে পিটিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজ বা আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতির কাছে আবেদনটি পেশ করতে পারি।
তিনি বলেন, স্থগিতাদেশের আবেদনে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং তাই হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে উল্লেখ থাকবে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট তিন দিনের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে এসব যানবাহনের কার্যক্রম বন্ধে তাদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা ব্যাখ্যা করতে রুল জারি করে।
১১৭ দিন আগে
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের আদেশ হাইকোর্টের
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির ক্ষেত্রে দরকষাকষির সকল নথিপত্র (ডকুমেন্টস) আগামী এক মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চুক্তিটির সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদানির আলোচিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অসম দাবি করে তা বাতিল অথবা পুনঃমূল্যায়ন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুমের করা রিটের শুনানি শেষে রুলসহ এই আদেশ দেন আদালত।
হাইকোর্ট রুলে জানতে চেয়েছেন, অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থী বলে দাবি করা এই চুক্তিটি কেন বাতিল করা হবে না।
আরও পড়ুন: আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওই কমিটিকে বিদ্যুৎ চুক্তিটির সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে দেশের স্বার্থ পরিপন্থী বিষয়গুলো চিহ্নিত করে আগামী ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরেকটি কমিটি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই কমিটিকে চুক্তিটির সম্পাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম। এসময় রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান, আফরোজা ফিরোজ ও কামরুন মাহমুদ।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সে নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়। তা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
এক পর্যায়ে লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সে রিটে ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থী উল্লেখ করে চুক্তির শর্ত সমূহ সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করার কথা বলা হয়। আদানি গ্রুপ তাতে রাজি না হলে চুক্তিটি বাতিল করার জন্য রিটে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আদানি গোষ্ঠী ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় এক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে সরবরাহ করে।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই চুক্তি হয়। শুরু থেকেই এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
আরও পড়ুন: গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
১২৩ দিন আগে
৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় ৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সচিবালয় অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থী ও সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও বিমানবন্দর থানার পৃথক চার মামলায় ৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সচিবালয় থেকে আটক ৪০ আনসার সদস্যকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
সোমবার (২৬ আগস্ট) আনসার সদস্যদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন ৩৮৮ আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, এদিন শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার ১৮৯ জন, রমনা থানার মামলায় ৯৮ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ৬ জন আনসার সদস্যকে আদালতে আনা হয়। এ চার থানার মামলায় অন্তত ৪২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্তত ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে সাধারণ আনসার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় কিছু আনসার সদস্য পল্টন মডেল থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকায় রাজপথ অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অমান্য করে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
গাজীপুরে শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নামে হত্যা মামলা
২০৮ দিন আগে
কোটা আন্দোলন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের প্রতি সম্মান জানাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
অর্থাৎ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে যা চলছে, তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে কোনও পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা যাবে না। এটি বিভিন্ন অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মীমাংসিত অবস্থানগুলো চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালতের আদেশের প্রতি সবার আস্থা ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের। তাই সবার উচিত আদালতের নির্দেশ মেনে চলা এবং সম্মান করা।’
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার কোনো চেষ্টা বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।
সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ক্র্যাব ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ক্রাইম রিপোর্টারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা অনেক সময় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: টানা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট যানজট নিয়ে ডিএমপির সতর্কতা
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই। সাংবাদিকরা সব সময় সত্য সম্পর্কে সচেতন। তারা দেশে-বিদেশে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সব সময় সত্য সামনে এনেছেন।
ক্র্যাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক ও ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক পারভেজ খান, আবুল খায়ের, মির্জা মেহেদী তমাল, ইশরাফ হোসেন ঈসা প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো.রবিউল ইসলাম মিল্টন।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
২৫৩ দিন আগে
সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে সরকারের পরিপত্র বলবৎ: কোটা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল-সংক্রান্ত সরকারের পরিপত্র বলবৎ আছে উল্লেখ করে জনদুর্ভোগ তৈরি থেকে আন্দোলনকারীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এতে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত শুধু স্থিতাবস্থার আদেশ দেননি। শুধু স্থিতাবস্থার আদেশ দিলে কোটা বিষয়ে সরকারের পরিপত্র বাতিল করে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছিলেন সেটি বলবৎ থাকত। খেয়াল করতে হবে, সর্বোচ্চ আদালত কোটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন অর্থাৎ কোটা বিষয়ে সরকারের জারি করা পরিপত্র এখন আবার বলবৎ হলো।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী হাইকোর্টের রায় কার্যকর নয়। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে দেশে কোনো কোটা নেই। তবে, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান বাকি আছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত অবশ্যই শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ওই স্ট্যাটাসে আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের এই কার্যক্রম পুরোপুরি সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারও এ বিষয়ে কোনো কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দিতে পারবে না। এই মুহূর্তে যেহেতু দেশে কোনো কোটা নেই, কাজেই, এখন জনদুর্ভোগ তৈরি হয় এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় আসার পরে নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার নিশ্চই কোটা বিষয়টি নিয়ে যুগোপযোগী সংস্কারের উদ্যোগ নেবে।’
বুধবার সকালে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
২৫৫ দিন আগে
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের আদেশ
রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।
এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, কারা দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সোমবার(৪ মার্চ) পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুর বিষয়ে যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
পাশাপাশি অগ্নিঝুকিপূর্ণ ভবনে সতর্কীকরণ নোটিশ সাইনবোর্ড আকারে দৃশ্যমান স্থানে টাঙাতে ফায়ার সার্ভিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, শপিংমলসহ রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গতকাল রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। এ দু’টি রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কেজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দু’জনের লাশ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে।
গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনও ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৩৮৩ দিন আগে
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রবিবার (১০ ডিসেম্বর) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
রিট শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। রাতে ভোট হয়েছে।
তখন আদালত বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে, এ বিষয়ে কি মামলা হয়েছে? কোন তথ্য প্রমাণ বা সাক্ষী আছে? এসব বক্তব্য পাবলিক প্লেসে দেবেন?
তখন ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে সাক্ষী আমি ও ১৮ কোটি জনগণ।
এর আগে বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। গত মঙ্গলবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তাছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।
এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
৪৭৪ দিন আগে
যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিট আবেদনটির পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপিপন্থী আাইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এর আগে রবিবার আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খানের পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রিট আবেদনটি দাখিল করেন। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ২৯ নভেম্বর ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী এক আইনজীবী।
এসময় স্বপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি রিট আবেদন হিসেবে দায়ের করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার রিটটি করা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক।
অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
৪৭৫ দিন আগে