গণতান্ত্রিক উত্তরণ
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি, ফলাফলও সবার মেনে নেওয়া উচিত: মৌনির সাতৌরি
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এর ফলাফল সবাইকে সম্মান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতৌরি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সাতৌরি বলেন, ‘অবশ্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে হতে হবে এবং নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। বাংলাদেশে নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতার জন্য এই শর্ত অপরিহার্য।’
‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচন কেবল একটি ধাপ মাত্র। সব রাজনৈতিক অংশীদাররা যেন ঐকমত্য তৈরি হওয়া সংস্কারগুলোকে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে সেগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া) এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।
৭৬ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: গোয়েন লুইস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাক্ষাৎকালে লুইস জাতিসংঘ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন।
আবাসিক সমন্বয়কারী ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের চলমান প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
পড়ুন: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মনোনীত হলেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
একটি স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। দুজনে সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের বর্ধিত সহায়তার পথও অনুসন্ধান করেছেন।
নিউইয়র্কে আসন্ন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভা এবং এই মাসের শেষের দিকে রোহিঙ্গা সম্মেলনের প্রস্তুতিও পর্যালোচনা করা হয়। উভয় নেতা রোহিঙ্গা মানবিক প্রচেষ্টার জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের তীব্র হ্রাসের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতিমধ্যেই শিবিরগুলিতে শিক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলিকে প্রভাবিত করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তহবিলের ঘাটতি পূরণ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের মানবিক প্রতিক্রিয়া জোরদার করার জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আবাসিক সমন্বয়কারী লুইস বাংলাদেশের সংস্কার ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি জাতিসংঘের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন, দেশকে টেকসই উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার জন্য সংস্থার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
৯১ দিন আগে
গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিলম্বিত হলে জনগণ আবার ফুঁসে উঠতে পারে: ড. মঈন খান
গণতন্ত্রের উত্তরণ আরও বিলম্বিত হলে বাংলাদেশের জনগণ আবার জেগে উঠতে পারে বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নেতা ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মঈন বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, দয়া করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ দীর্ঘায়িত করবেন না। যদি আপনি তা করেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ আবার জেগে উঠবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. মঈন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল যে পাকিস্তানের শাসনামলে গণতন্ত্র কখনও বিকশিত হতে পারবে না।
বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গত পনের থেকে ষোল বছর ধরে সংগ্রাম করে আসছে বলেও সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেনে বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘সেই প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে? না... গত এক বছরেও হয়নি। কেন নয়? আমরা অতীতে এমন উদাহরণ দেখেছি যেখানে ৯০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের চোখের সামনে সেই নজির রয়েছে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট: প্রত্যাশা এবং বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
এক বছর পরও কেন দেশ তার গণতান্ত্রিক উত্তরণে এগিয়ে যেতে পারেনি—এমন প্রশ্নও তোলেন ড. মঈন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই ভয় পাই যে এই নতুন ব্যবস্থা স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত হতে পারে কিনা। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু সমস্ত পরিবর্তনই প্রকৃত পরিবর্তন নয়। ১/১১-এর সময়, আমরা ঢাকা জুড়ে ব্যানার এবং ফেস্টুন দেখেছি যাতে সবকিছু পরিবর্তন করার, সবকিছু পুনর্গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের সবকিছু পরিবর্তন করা যায় না বা করা উচিত নয়।’
বিএনপি নেতা বলেন, যখন অনেকে পরিবর্তনের কথা বলেন, তখন পরিবর্তনের জন্য এটি পরিবর্তন করা উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা সংস্কারের কথা বলি, তখন আমি বলি সংস্কারগুলো ভাসাভাসা হওয়া উচিত নয়। বাহ্যিক পরিবর্তন ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে না। আপনি সংবিধানের কয়েকটি লাইন সংশোধন করতে পারেন - এমনকি পুরো দলিলটিও পুনর্লিখন করতে পারেন—তবে এটি কোনো কাজে আসবে না, যদি না এই দেশ পরিচালনাকারী মানুষের হৃদয় পরিবর্তন হয়।’
পড়ুন: বিষাক্ত রাজনীতি এড়াতে দলগুলোর পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান ফখরুলের
১২৪ দিন আগে
জনসাধারণের হৃদয়ের স্পন্দন বুঝুন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ত্বরান্বিত করুন: মঈন খান
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ত্বরান্বিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, দেশের জনগণ দ্রুত অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে। একসময় যাদের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারে।
বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। আমরা আশা করি সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার চেষ্টা না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আবেগপ্রবণ ও খুব দ্রুত অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। কারণ তারা কঠিন পরিস্থিতিতে বাস করে। জনগণের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ও মনস্তত্ত্ব এমন যে, তারা আজ যাদের খুব প্রশংসা করে, তারা আগামীকাল তাদের পায়ের তলায় পিষে ফেলতে দ্বিধা করবে না। যারা এই সত্য বুঝতে ব্যর্থ হবে, তারা ইতিহাসের পাতায় পরাজিত হয়ে থাকবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তার দলও মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার চায়, তবে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করা উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যতদিন পৃথিবী থাকবে, সংস্কার অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সংস্কার এবং গণতন্ত্র পারস্পরিকভাবে একচেটিয়া বা ধারাবাহিক নয়—তারা একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। এটি মানব সভ্যতার ইতিহাস। আমি আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সত্যটি বুঝতে পারবে।’
ড. মঈন বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো দেশের কল্যাণের জন্য ঐক্য। ‘আমাদের জাতির কল্যাণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু আমি বাকশালের পক্ষে কথা বলছি না—ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্র্য থাকতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, একটি মহল মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা দাবি করছে যে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে।
বিএনপি নেতা জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হবে না। ‘বিএনপি অতীতে স্বৈরাচারী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে—এমন উদাহরণ কেউ দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: ভোট থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে ‘নাটক’ মঞ্চস্থ করা হচ্ছে: বিএনপির ফারুক
তিনি বলেন, যারা দলের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য, বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে—তাদের যথাযথ জবাব বিএনপিকে দিতে হবে।
ড. মঈন ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। বলেন, তারা গর্বের এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। ‘কিন্তু আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বাংলাদেশে এই ধরনের সম্মান বজায় রাখা কঠিন।’
বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করে বলেন, একটি মাত্র অপকর্ম জনগণের চোখে শত শত ভালো কাজকে ম্লান করে দিতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, জাতির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। ‘যদি তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা যোগ্যতা ছাড়াই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে—তাহলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য।’
১৯৭ দিন আগে