আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
ডাকসু নির্বাচন বানচালে পাঁয়তারার অভিযোগ, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
সাম্য হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক ঘটনায় স্থবির হয়ে আছে ডাকসু নির্বাচন কার্যক্রম। নির্বাচন কমিশন গঠনের সময়সীমা মে মাসের মাঝামাঝি নির্ধারিত থাকলেও এখন পর্যন্ত নীরব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ডাকসু নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে ডাকসু নির্বাচনসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। মিছিল শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আজকের মধ্যেই ডাকসুর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর কোনো টালবাহানা আমরা মেনে নেব না। ডাকসু নির্বাচন বানচালের কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: জুনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসির চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন এবং পুলিশের নির্লিপ্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। একটি মহল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডাকসু নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে। সাম্য হত্যাকাণ্ডের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে ইস্যু করে পরিকল্পিতভাবে ডাকসু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে। বিষয়টি এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড ব্যাহত এবং ডাকসু নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।’
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের বক্তব্য, ‘আমরা আর কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। প্রশাসনকে এখন কাজের অগ্রগতি নিয়ে আমাদের সামনে আসতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন জানিয়েছে, সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এদিকে একই দাবিতে উপাচার্য বাংলোর সামনে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদসহ একদল শিক্ষার্থী। অনশনরত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত তারা চিকিৎসাধীন।
১৯৪ দিন আগে