কমিশনার
পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তিনি পদত্যাগ করেন।
এছাড়া দুদকের আরও দুই কমিশনার আসিয়া খাতুন ও জহুরুল হক পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
৩ সপ্তাহ আগে
ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান রবিবার (২৯ অক্টোবর) বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাকে (ফখরুল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (তার বাসা থেকে) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে কিছু পেলে পরে আমরা (গণমাধ্যমকে) জানাব।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি প্রধান এ মন্তব্য করেন।
শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় হামলায় আমিরুল নিহত হন।
হাবিবুর রহমান বলেন, শনিবার সহিংসতায় পুলিশের ১১৩ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি যে আরেক পুলিশ সদস্যের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন কী ঘটেছে, তা আপনারা সরাসরি দেখেছেন। এই জিনিসগুলো (হামলা) একটি আনুষ্ঠানিক সমাবেশ থেকে করা হয়েছিল।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার সঙ্গে অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। ‘সুতরাং, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেক লোককে খুঁজছি।’
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের জন্য ডিএমপির অনুমতি চেয়েছে বিএনপি
তিনি বলেন, সহিংসতার বিষয়ে তাদের তদন্ত চলছে। ‘তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আরও লোককে গ্রেপ্তার করব।’
এর আগে ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির হরতালের মধ্যেই ফখরুলের গুলশান-২-এর বাসায় গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাকে আটক করে।
পরে তাকে ডিবির মিন্টো রোড কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশে সহিংসতার প্রতিবাদে বিরোধী দল বিএনপি রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছিল বলে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হওয়ার পর হঠাৎ সমাবেশ স্থগিত করে ফখরুল হরতাল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
অনুমতি ছাড়া ঢাকায় সমাবেশ করা যাবে না: ডিএমপির নতুন কমিশনার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আপনাদের শঙ্কা করার কারণ নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে যেহেতু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনা জয় করে এবার প্লাজমা দিতে চান সিএমপি কমিশনার
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে সিএমপি কমিশনার নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন সাধুরপাড়া পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
মণ্ডপ পরিদর্শনে এলে তাকে স্বাগত জানান সাধুরপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আশিস কুমার নাথ।
তিনি বলেন, মণ্ডপকেন্দ্রিক একটি করে ‘সম্প্রীতি কমিটি’ করা হয়েছে, যেখানে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এ উৎসব শেষ করা যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এম এ মাসুদ, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মাহতাবউদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান, উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান, উপকমিশনার (ট্রাফিক) জয়নুল আবেদীন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: সিএমপি কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং আপনার কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলুন: অধস্তনদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রবিবার অধস্তন কর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার মিরপুর পিওএম পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে আপনাদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় কমান্ডারের নির্দেশ মেনে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কমান্ডারদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
কমিশনার বলেন, নিউমার্কেট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পিওএম-এর বাহিনী অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করেছে। ফলে ডিএমপি ও বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা বেড়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুরস্কৃত হয়েছে।
তিনি গত কয়েক মাসে পিওএম বাহিনীর কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার ডিএমপির সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারদের (ডিসি) শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্যারেড পরিচালনার নির্দেশ দেন।
খালি হাতে কীভাবে আত্মরক্ষা করা যায় এবং জনব্যবস্থাপনা করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের নির্দেশনাও দেন তিনি।
এর আগে, ডিএমপি কমিশনার ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে সুসজ্জিত কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদের নজরকাড়া কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন পিওএম পশ্চিম বিভাগের জেলা প্রশাসক মমতাজুল এহসান আহমেদ হুমায়ুন।
কুচকাওয়াজে সহকারী প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কে এন রায় নিয়তি।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
রবিবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করা যাবে না।
আরও পড়ুন: পুলিশের ওপর হামলাকারী জামায়াত কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: ডিএমপি কমিশনার
৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
১ বছর আগে
নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
সোমবার ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছি।’
বিকল্প সমাবেশস্থল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হিসেবে পল্লবী, কালশী ও ইজতেমা মাঠ হতে পারে সমাবেশস্থল।
গত ২৯ নভেম্বর ২৬ শর্তে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার অ্যান্ড অ্যাডমিন) আব্দুল মোমেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
বিএনপির আবেদনের পর যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে দলটিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তে শাহবাগের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ডিএমপি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে। ২৬ শর্ত উল্লেখ করে বলা হয়- শুধু ডিএমপির অনুমতিই যথেষ্ট নয়, সমাবেশস্থল ব্যবহারে বিএনপিকে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি।
এতে আরও বলা হয়, সমাবেশস্থলে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ও বক্তব্য নিষিদ্ধ।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করে তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভিন্ন অন্য কোনও স্থানে তাদের দলের কর্মসূচির অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
১ বছর আগে
সিএমপির নতুন কমিশনার হলেন কৃঞ্চপদ রায়
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কৃঞ্চপদ রায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনজয় কুমার দাশ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। একই প্রজ্ঞাপনে উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার ছয় কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে বদলি করা হয়েছে।আদেশে সিএমপির বর্তমান কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে বদলী করা হয়েছে। তিনি ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরে আলম মিনাকে (চট্টগ্রাম জেলার সাবেক এসপি) রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।এছাড়া ঢাকা নৌ পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলামকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।অন্যদিকে রংপুর রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য একই পদে ময়মনসিংহ রেঞ্জে বদলি হয়েছেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে বদলি হয়েছেন রংপুর রেঞ্জে।
আরও পড়ুন: সিএমপির তিন থানার ওসিসহ ১০ পরিদর্শক পদে রদবদল
সিএমপিতে ৮ এসির রদবদল
২ বছর আগে
ইভিএম এর ত্রুটি পরীক্ষা করতে জুনে বিশেষজ্ঞদল ডাকা হবে: কমিশনার আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান আমাদের প্রথম লক্ষ্য। সংখ্যাগতভাবে আমাদের যে ইভিএম আছে তা ১১০ থেকে ১২০ আসনে ভোট গ্রহণের সক্ষমতা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ৩০০ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করিনি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ইভিএমে আস্থা ফিরলে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। ইভিএমে কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা শনাক্ত করতে জুন মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মুখে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। বিশেষজ্ঞ মতামতের পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২২ উদ্বোধন শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়।নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সংবিধানে বলা আছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে নিয়ে আসা বা না আসা, তা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়।
আরও পড়ুন: ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসিনির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন তা নেবে। ‘যাঁর ভোট তিনি দেবেন, যাঁকে খুশি তাঁকে দেবেন’ এ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা গেলে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে।জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান , সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবালে হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
ইভিএমে ভোটাররা ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যায় পড়ছেন: জাপা’র সাইফুদ্দিন
২ বছর আগে
স্বাবলম্বী জমির প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও জমি দিলেন অন্য গৃহহীনকে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ঘর ও জমি পেয়ে জমির উদ্দীন এখন নিজেই স্বাবলম্বী। নিজের বসবাসের ঘরটি এলাকার অন্য দরিদ্র অসহায় মানুষকে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করে প্রশাংসায় ভাসছেন তিনি।
জমির উদ্দিন বিশ্বাস (২৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মৃত খেদের বকসোর ছেলে। এক মেয়ে, স্ত্রী নিয়ে সংসার তাঁর।
গত বছরের ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৮টি ঘর উদ্বোধন করেন। সেই থেকে ভূমিহীন দিনমজুর জমির উদ্দিন আন্দুলবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপহারকৃত বাড়িতে পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন। তখন থেকে তার আয় বাড়ায় তিনি এখন স্বাবলম্বী।
আরও পড়ুন: ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
তাই জমির উদ্দিন বিশ্বাস সম্প্রতি সস্ত্রীক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার বসত ঘর ও জমির দলিল জমা দেন এবং অন্য কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে এই ঘর দেয়ার অনুরোধ জানান। এই ঘরটি অন্য কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
জমির উদ্দিন বিশ্বাস পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। সারা দিনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোনো রকমে চলছিল সংসার। তবে ভূমিহীন হওয়ায় ঠাঁই হয়েছিল মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শাহাপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। এতে কিছুটা আর্থিক কষ্ট লাঘব হলেও স্বাচ্ছন্দ্য আসছিল না। তবে এবার মাথা গোজার ঠাঁই হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে কলা ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে প্রতিদিন আয় করছেন ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা। এতে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলে পরিবারে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন ভালোই আছেন তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জমির উদ্দিন বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার বসত-ঘর ও জমির দলিল জমা দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী (অফিসার ইউএনও) আরিফুল ইসলাম রাসেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবির, আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারসহ জমির উদ্দিনের বাড়িতে হাজির হন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমার তো এখন নিজের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। সমাজে আমি ছাড়া এখনও অনেক দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তি আছে, এই ঘরটা আমি তাদের দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই আমি স্বাবলম্বী হয়ে জমি ও ঘর তৈরি করে ফেলেছি। এখন এই ঘর ও জমি আমার আর প্রয়োজন নেই। তাই আমি চাই, এই ঘরটা অন্য কোনো দরিদ্র মানুষ পাক।’
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে আশ্রয়ণ প্রকল্প, গাইবান্ধায় ২১ গ্রাম প্লাবিত
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য বাসিন্দারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্রয়স্থল দিয়েছেন। আগে আমাদের খুব খারাপ দিন গেছে। এখন আমাদের থাকার জায়গা হয়েছে, সেই সঙ্গে সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য আয়ের সুযোগও হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন, দেশে যাতে কেউ গৃহহীন না থাকে, সে জন্য তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিদের জমি এবং ঘর দিয়েছেন। সে ধারাবাহিকতায় জীবননগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের দিনমজুর জমির উদ্দিনকে একটি ঘর দেয়া হয়েছিল। সেই ঘরে বসবাস করে নিজে পরিশ্রম করে আজ তিনি স্বাবলম্বী। এ জন্য তিনি নিজ নামে অন্য স্থানে জমি কিনে ঘর করে বসবাস করায় নিজে লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর হস্তান্তর করেন। এবং অন্য দরিদ্র ব্যক্তিকে দেয়ার জন্য বলেন। তাঁর এই মহতী উদ্যোগের জন্য জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, জীবননগর আন্দলবাড়িয়ার শাহাপুরে ভূমিহীন পরিবারগুলোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি আদর্শ আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেয়া ঘর পান ভূমিহীনরা।
২ বছর আগে