সুপ্রিম কোর্ট
গ্রেনেড হামলা: তারেকসহ সব আসামির খালাসের রায় আপিলেও বহাল
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস করে হাইকোটের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ সময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ১৯ মার্চ এ মামলায় সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামি খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। নিহত হন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী।
ভয়াবহ এ হামলার তদন্তে নামে বিএনপি–জামায়াত জোট সরকার। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সে সময় অভিযুক্ত হন ২৮ জন। অভিযোগপত্র দেয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শুরু হয় বিচার।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নতুন করে তদন্ত শুরু করে। টানা ৪১০ দিন টিএফআই সেলে নিয়ে পুনরায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় মুফতি হান্নানের। সম্পূরক চার্জশিটে যুক্ত করা হয় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ আরও অনেককে।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত ফাঁসির দণ্ড দেন বাবরসহ ১৯ জনকে। যাবজ্জীবন হয় তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনের।
তবে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর ওই রায় বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, সম্পূরক চার্জশিট এবং বিচারের পুরো প্রক্রিয়াই ছিল বেআইনি।
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এই বিচারপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি হলো। ফলে মুক্তি মিলেছে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সবার।
৯১ দিন আগে
অধস্তন আদালতের বিচারকদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ পেল সুপ্রিম কোর্ট
বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কিছু অংশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরল এবং সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় স্থাপনে কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে এবং বাহাত্তরের সংবিধানের মূল ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল করে আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রস্তাবনা অনুসারে তিন মাসের মধ্যে মধ্যে একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিচারকদের জন্য ২০১৭ সালে তৈরি করা শৃঙ্খলাবিধি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে।
এ রায়ের ফলে এখন থেকে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টকে আর ধরনা দিতে হবে না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। এ ছাড়া ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুর) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরে এলো। এখন থেকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নামে বিচারকদের বদলি ও শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে আর কোনো নাটাই থাকল না। নির্ভয়ে তারা রায় দিতে পারবেন। রায় দেওয়ার পর নির্বাহী কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে রাতের আঁধারে বিচারকদের বদলির আর কোনো ভয় থাকল না। এ রায়টি একটি ঐতিহাসিক রায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সংবিধানের বিদ্যমান ১১৬ অনুচ্ছেদ, ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী রিটটি করেন। ওই সাত আইনজীবী হলেন— মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।
রিটে বলা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুর) ও শৃঙ্খলাবিধানের এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। কিন্তু ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রযুক্ত হইবে’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করলে পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান একই বিধানটি প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এই বিধানটিই বিদ্যমান রয়েছে।
রিটের যুক্তিতে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই মৌলিক কাঠামো বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬-এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের পরিপন্থি। পৃথক সচিবালয় না থাকায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের কারণে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছেন না।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে সংবিধানের বিদ্যমান ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং এ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় কেন প্রতিষ্ঠা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও পৃথক সচিবালয়: হাইকোর্টের রায় ২ সেপ্টেম্বর
গত ২৫ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী এই বেঞ্চে উভয় পক্ষে কয়েকদিন রুল শুনানির পর আজ (২ সেপ্টেম্বর) রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
৯৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বে আদেশ কার্যকর হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে দেশটির নিম্ন আদালতসমূহের ‘নেশনওয়াইড ইনজাংশন’ বা পুরো দেশে একসঙ্গে আদেশ জারির ক্ষমতা সীমিত করেছে। এর ফলে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধের উদ্যোগ আংশিক কার্যকরের পথ খুলে গেছে। এর আগে, ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি আদেশ বাতিল করেছিলেন দেশটির নিম্ন আদালতের বিচারকরা।
শুক্রবার (২৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ওই রায়ে বলা হয়েছে, কোনো ফেডারেল আদালতের আদেশ পুরো দেশের জন্য একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক নয়। এখন থেকে শুধু মামলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংগঠনের ক্ষেত্রেই এসব আদেশ প্রযোজ্য হবে।
এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল। আগে দেশটির ৯৪টি জেলা আদালতের এক হাজারের বেশি বিচারক পুরো যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে যেকোনো সরকারি নীতিমালা স্থগিতের আদেশ দিতে পারতেন। এখন সেই ক্ষমতা সীমিত করা হলো।
তবে আদালত এখনও জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আদেশ পুরোপুরি বৈধ কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেয়নি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনকারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বাস করা অভিবাসীদের জন্ম নেওয়া শিশুদের নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম বাতিলের ঘোষণা দেন।
এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বিভিন্ন রাজ্য ও অধিকারকর্মীরা দাবি তোলেন।
ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন কয়েকটি অঙ্গরাজ্য, মানবাধিকার সংগঠন এবং অভিবাসীদের পক্ষে কাজ করা বিভিন্ন গ্রুপ এ নিয়ে আদালতে মামলাও করেছে। এরপর আদালত সেই আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে।
কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ রায়ের ফলে এই আদেশ এখন কেবল মামলাকারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অংশে ট্রাম্পের আদেশ আংশিকভাবে কার্যকর হতে পারে।
রায়ের পর এটিকে বড় জয় বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে ভুলভাবে পুরো দেশে আদেশ জারির পথ বন্ধ হলো। এখন আমরা প্রয়োজনীয় নীতিমালা কার্যকর করতে পারব।’
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন জানিয়েছে, আদালতের এ রায় সরকারের হাতে একটি ‘অবৈধ ও নিষ্ঠুর’ আদেশ আংশিক বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং নতুন আইনি লড়াই শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।
১৮৬৮ সালে গৃহযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হয়, যা ১৮৯৮ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ে আরও সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে, অধ্যাদেশ জারি
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) `সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট জারি হয়েছে।
এরআগে এদিন সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানান। গত ১৭ জানুয়ারি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫ এর গেজেট আজকে জারি হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, বিগত সরকারের সময় যে অনাচার হতো, মানবাধিকার লঙ্ঘন হতো, মানুষকে যে দমন-নিপীড়ন করা হতো—সেটার একটা বড় প্ল্যাটফর্ম ছিল উচ্চ আদালত। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও মানুষ সেখানে প্রতিকার পেতেন না।
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
‘কারণ ছিল উচ্চ আদালতে রাজনৈতিক সরকারগুলো সম্পূর্ণভাবে দলীয় বিবেচনায়, অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য লোকদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিত। উচ্চ আদালতে বিচারক হিসেবে যদি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ না পান, তবে ১৮ কোটি মানুষের মানবাধিকারের প্রশ্নটি অমীমাংসিত ও ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়।’
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে দক্ষ, অভিজ্ঞ, দল নিরপেক্ষ, প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক নিয়োগ পাবেন—এমন একটি চাহিদা সমাজে বহু বছর যাবত ছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন থেকে এই ধরনের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল।
আসিফ নজরুল বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, এই আইনটা হয়েছে। আইনটি রচনা করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে একটা ড্রাফট (খসড়া) পাঠানো হয়েছিল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন থেকে একটা খসড়া পাঠানো হয়েছিল। ২০০৮ সালে এরকম একটি অধ্যাদেশ করার প্রক্রিয়া ছিল সেটার কপি—কিছু পর্যালোচনা করেছি আমরা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা একটি পরামর্শক সভা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি ভালো একটা আইন করার জন্য।
আধ্যাদেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল করার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেই কাউন্সিল হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুজন বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক ও এটর্নি জেনারেল—তাদেরকে নিয়ে এ কাউন্সিল গঠন করা হবে।
‘এ কাউন্সিল প্রথমে যাচাই-বাছাই করবে। তারা নিজ উদ্যোগে অনেক নাম সংগ্রহ করবেন। একই সঙ্গে যে কোনো মানুষ, যে কোনো আইনজীবী বা যে কেউ কাউকে রেফার (বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার জন্য) করে চিঠি পাঠাতে পারবেন। সেটা উন্মুক্ত থাকবে। কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর ইন্টারভিউ নেবেন।’
আরও পড়ুন: বিবাহ কর বাতিল, ডকুমেন্ট সত্যায়ন এখন অনলাইনে
আসিফ নজরুল বলেন, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারকরা নিয়োগ পাবেন। আশা করছি, উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টে যে পরবর্তী নিয়োগ আছে, আগের যে কোনো আমলের চেয়ে একটা বেটার নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দিতে পারব।
জুডিশিয়াল সার্ভিস এবং আইনজীবীদের মধ্য থেকে এখন হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন আইন অনুযায়ী দুই ক্ষেত্র থেকে নিয়োগের জন্য কোনো অনুপাত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি দীর্ঘদিনের টেনশন—কতজন আইনজীবী থেকে বিচারক করা হবে আর কতজন নিম্ন আদালতের বিচারক থেকে করা হবে। আমরা এটা কাউন্সিলের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব যাতে থাকে।
৩১৭ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের আরও এক হেল্পলাইন নম্বর চালু
বিচারপ্রার্থী জনগণকে দ্রুত ও নির্বঘ্নে বিচারিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এবং তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০১৩১৬১৫৪২১৬ এর পাশাপাশি আরও একটি নতুন হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে সেবাপ্রার্থীদের যেকোনো অভিযোগ ও পরামর্শ ওই দুটি হেল্পলাইন নম্বরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নতুন হেল্পলাইন নম্বরটি হলো ০১৭৯৫৩৭৩৬৮০।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট গত ২৬ সেপ্টেম্বর হেল্পলাইন সেবা চালু করে।
মূলত, সুপ্রিম কোর্টে আগত কোনো বিচারপ্রার্থী বা সেবাগ্রহীতা সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কোনো শাখায় সেবা গ্রহণে যেকোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বা সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে অসুবিধার মুখোমুখি হলে সেবাগ্রহীতাকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার স্থগিত থাকবে
হেল্পলাইন চালু হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যেকোনো সেবাগ্রহীতা +৮৮০১৩১৬১৫৪২১৬ এই নম্বরে একইসঙ্গে সরাসরি ফোন কল অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসহ যেকোনো প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির একজন কর্মকর্তা হেল্পলাইন পরিচালনা করে থাকেন এবং সেবাগ্রহীতাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য ও পরামর্শ প্রদান দেন।
৩৩৩ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার স্থগিত থাকবে
ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রয়াত এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে কোনো বিচারিক কার্যক্রম চলবে না।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ গত ২০ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
৩৩৮ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, ন্যায়বিচারের আশ্বাস
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বুধবার ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনাসহ দেশব্যাপী বিচারিক প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় দেশজুড়ে বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিচার প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্ন থাকে তা নিশ্চিত করতে সমস্ত ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে পাশাপাশি জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধান বিচারপতি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
৩৭১ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩’ পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসহ প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হলো বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ ভরসাস্থল। আশা করি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগ যৌক্তিক সময়ে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
৩৭৩ দিন আগে
জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যেতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ।
এই রায়ের ফলে বিচারকদের বিরুদ্ধে অক্ষমতা বা পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তের ভার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের থাকলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাস করা ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।
তবে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ মে এক রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তে ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন একটি বিশেষ বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সরকার আপিল করলেও একই বছরের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে তা খারিজ করে দেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং এটি নিশ্চিত করেছে যে তদন্ত ও বিচারকদের অপসারণ রাজনৈতিক বিষয় নয় বরং বিচারিক বিষয় হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গোলাম মর্তুজাকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
৪১০ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
নবনিযুক্ত চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের নবীন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
মামলা জট কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে আরও ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব নসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য-লুটপাট বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ: বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
৪৭৩ দিন আগে