সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে, অধ্যাদেশ জারি
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) `সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট জারি হয়েছে।
এরআগে এদিন সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানান। গত ১৭ জানুয়ারি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫ এর গেজেট আজকে জারি হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, বিগত সরকারের সময় যে অনাচার হতো, মানবাধিকার লঙ্ঘন হতো, মানুষকে যে দমন-নিপীড়ন করা হতো—সেটার একটা বড় প্ল্যাটফর্ম ছিল উচ্চ আদালত। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও মানুষ সেখানে প্রতিকার পেতেন না।
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
‘কারণ ছিল উচ্চ আদালতে রাজনৈতিক সরকারগুলো সম্পূর্ণভাবে দলীয় বিবেচনায়, অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য লোকদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিত। উচ্চ আদালতে বিচারক হিসেবে যদি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ না পান, তবে ১৮ কোটি মানুষের মানবাধিকারের প্রশ্নটি অমীমাংসিত ও ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়।’
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে দক্ষ, অভিজ্ঞ, দল নিরপেক্ষ, প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক নিয়োগ পাবেন—এমন একটি চাহিদা সমাজে বহু বছর যাবত ছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন থেকে এই ধরনের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল।
আসিফ নজরুল বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, এই আইনটা হয়েছে। আইনটি রচনা করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে একটা ড্রাফট (খসড়া) পাঠানো হয়েছিল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন থেকে একটা খসড়া পাঠানো হয়েছিল। ২০০৮ সালে এরকম একটি অধ্যাদেশ করার প্রক্রিয়া ছিল সেটার কপি—কিছু পর্যালোচনা করেছি আমরা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা একটি পরামর্শক সভা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি ভালো একটা আইন করার জন্য।
আধ্যাদেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল করার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেই কাউন্সিল হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুজন বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক ও এটর্নি জেনারেল—তাদেরকে নিয়ে এ কাউন্সিল গঠন করা হবে।
‘এ কাউন্সিল প্রথমে যাচাই-বাছাই করবে। তারা নিজ উদ্যোগে অনেক নাম সংগ্রহ করবেন। একই সঙ্গে যে কোনো মানুষ, যে কোনো আইনজীবী বা যে কেউ কাউকে রেফার (বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার জন্য) করে চিঠি পাঠাতে পারবেন। সেটা উন্মুক্ত থাকবে। কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর ইন্টারভিউ নেবেন।’
আরও পড়ুন: বিবাহ কর বাতিল, ডকুমেন্ট সত্যায়ন এখন অনলাইনে
আসিফ নজরুল বলেন, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারকরা নিয়োগ পাবেন। আশা করছি, উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টে যে পরবর্তী নিয়োগ আছে, আগের যে কোনো আমলের চেয়ে একটা বেটার নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দিতে পারব।
জুডিশিয়াল সার্ভিস এবং আইনজীবীদের মধ্য থেকে এখন হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন আইন অনুযায়ী দুই ক্ষেত্র থেকে নিয়োগের জন্য কোনো অনুপাত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি দীর্ঘদিনের টেনশন—কতজন আইনজীবী থেকে বিচারক করা হবে আর কতজন নিম্ন আদালতের বিচারক থেকে করা হবে। আমরা এটা কাউন্সিলের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব যাতে থাকে।
৫৫ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের আরও এক হেল্পলাইন নম্বর চালু
বিচারপ্রার্থী জনগণকে দ্রুত ও নির্বঘ্নে বিচারিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এবং তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০১৩১৬১৫৪২১৬ এর পাশাপাশি আরও একটি নতুন হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে সেবাপ্রার্থীদের যেকোনো অভিযোগ ও পরামর্শ ওই দুটি হেল্পলাইন নম্বরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নতুন হেল্পলাইন নম্বরটি হলো ০১৭৯৫৩৭৩৬৮০।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট গত ২৬ সেপ্টেম্বর হেল্পলাইন সেবা চালু করে।
মূলত, সুপ্রিম কোর্টে আগত কোনো বিচারপ্রার্থী বা সেবাগ্রহীতা সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কোনো শাখায় সেবা গ্রহণে যেকোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বা সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে অসুবিধার মুখোমুখি হলে সেবাগ্রহীতাকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার স্থগিত থাকবে
হেল্পলাইন চালু হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যেকোনো সেবাগ্রহীতা +৮৮০১৩১৬১৫৪২১৬ এই নম্বরে একইসঙ্গে সরাসরি ফোন কল অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসহ যেকোনো প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির একজন কর্মকর্তা হেল্পলাইন পরিচালনা করে থাকেন এবং সেবাগ্রহীতাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য ও পরামর্শ প্রদান দেন।
৭১ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার স্থগিত থাকবে
ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রয়াত এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে কোনো বিচারিক কার্যক্রম চলবে না।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ গত ২০ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
৭৬ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, ন্যায়বিচারের আশ্বাস
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বুধবার ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনাসহ দেশব্যাপী বিচারিক প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় দেশজুড়ে বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিচার প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্ন থাকে তা নিশ্চিত করতে সমস্ত ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে পাশাপাশি জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধান বিচারপতি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
১১০ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩’ পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসহ প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হলো বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ ভরসাস্থল। আশা করি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগ যৌক্তিক সময়ে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
১১১ দিন আগে
জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যেতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ।
এই রায়ের ফলে বিচারকদের বিরুদ্ধে অক্ষমতা বা পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তের ভার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের থাকলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাস করা ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।
তবে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ মে এক রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তে ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন একটি বিশেষ বেঞ্চ। এর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সরকার আপিল করলেও একই বছরের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে তা খারিজ করে দেন। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে এবং এটি নিশ্চিত করেছে যে তদন্ত ও বিচারকদের অপসারণ রাজনৈতিক বিষয় নয় বরং বিচারিক বিষয় হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গোলাম মর্তুজাকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
১৪৯ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
নবনিযুক্ত চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের নবীন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
মামলা জট কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে আরও ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব নসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য-লুটপাট বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ: বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
২১১ দিন আগে
বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত
বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।শনিবার (১০ আগস্ট) এই ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থী, আইনজীবীসহ কয়েকশ’ আন্দোলনকারী।
সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করা হবে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধান বিচারপতি শনিবার ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত
এর আগে আজ এক ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রধান বিচারপতি বৈঠক ডেকেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পরাজিত শক্তির কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে আমরা প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বলেছিলাম। শিক্ষার্থী ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উসকানি দিলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
তিনি প্রধান বিচারপতির নিঃশর্ত পদত্যাগ ও ফুলকোর্ট সভা স্থগিতের দাবি জানান ওই পোস্টে।
আরও পড়ুন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’: সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ঢাবি শিক্ষকরা
২২০ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
২২২ দিন আগে
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তটিকে স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে আফতাবনগরে হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে বাগেরহাট উপকূলবাসী
সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন। হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আফতাবনগর পরিকল্পিত আবাসিক নগরী। সেই বিবেচনায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন।
পরে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৮ মে আফতাবনগরে হাট বসানোর ইজারা আহ্বানের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলাম। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ভেজাল বিরোধী অভিযান: ৩ বেকারিকে জরিমানা
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
২৮৭ দিন আগে