সুপ্রিম কোর্ট
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
নবনিযুক্ত চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের নবীন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
জনগণ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
মামলা জট কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে আরও ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব নসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য-লুটপাট বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বললেন রাষ্ট্রপতি
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ: বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
১ মাস আগে
বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত
বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।শনিবার (১০ আগস্ট) এই ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থী, আইনজীবীসহ কয়েকশ’ আন্দোলনকারী।
সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করা হবে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধান বিচারপতি শনিবার ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত
এর আগে আজ এক ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রধান বিচারপতি বৈঠক ডেকেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পরাজিত শক্তির কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে আমরা প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বলেছিলাম। শিক্ষার্থী ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উসকানি দিলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
তিনি প্রধান বিচারপতির নিঃশর্ত পদত্যাগ ও ফুলকোর্ট সভা স্থগিতের দাবি জানান ওই পোস্টে।
আরও পড়ুন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’: সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ঢাবি শিক্ষকরা
১ মাস আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
১ মাস আগে
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তটিকে স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে আফতাবনগরে হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে বাগেরহাট উপকূলবাসী
সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন। হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আফতাবনগর পরিকল্পিত আবাসিক নগরী। সেই বিবেচনায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন।
পরে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৮ মে আফতাবনগরে হাট বসানোর ইজারা আহ্বানের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলাম। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ভেজাল বিরোধী অভিযান: ৩ বেকারিকে জরিমানা
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
৪ মাস আগে
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ৫ আইনজীবী কারাগারে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে পাঁচ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মাদ ওসমান চৌধুরী, কাজী বশির আহাম্মেদ, মো. এনামুল হোসেন সুমন, মো. হাসানুজ্জামান তুষার ও মো. তরিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আযাদ পাঁচ আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৮ মার্চ মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুবক কারাগারে
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী
৬ মাস আগে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (এসসিবিএ) নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল ইসলাম, সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন। শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্ত করে বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।’
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নাশকতার ঘটনায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে কোন গ্রুপের লোক জড়িত ছিল তা বিবেচ্য নয়। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আর ২০-৩০ জন অজ্ঞাত আসামি করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিক সাইফ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী এবং বিএনপিপন্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুসের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।
৬ মাস আগে
বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
সারা দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এবং বিচারকদের গাড়ি ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ চিঠি পাঠান।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারা দেশের বিচারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও জেলা জজ আদালত এবং খুলনায় বোমা হামলা হয়েছে। ইতোপূর্বে কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারাদেশের বিচারকেরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি।
সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এ অবস্থায় সারাদেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি এবং বাসভবনে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
১০ মাস আগে
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে: বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বলেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলের আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে ‘অন্যায়’ রায় দিয়ে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়।
তিনি বলেন, ‘যদিও দেশের জনগণ এই রায়ে (জামায়াতের বিরুদ্ধে) বিস্মিত হয়নি। তারা ন্যায়বিচারের শেষ অবলম্বন বিচার বিভাগের ব্যক্তিদের রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য এবং সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করার ঘটনায় হতাশ।’
বিএনপি নেতা বলেন, জামায়াত ইতোমধ্যেই এই রায়কে 'বিচারহীন' বলে বর্ণনা করেছে।
রিজভী আরও বলেন, যে কোনো বিরোধী দল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিচার বিভাগ কর্তৃক তার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা পাওয়ার যোগ্য। ‘এর কোনো ব্যতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এটাও অগ্রহণযোগ্য।’
পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মীকে দেড় বছরের কারাদণ্ডের ঢাকার আদালতের রায়ের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মাঠ পরিষ্কার করার জন্য এই নির্দেশিত রায়গুলো ভালভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই তরুণ নেতাদের সাজা দিয়ে যদি আটক করা যায়, তাহলে শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘকাল চলবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, এই নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর দায়ের করা লিভ-টু-আপিল খারিজ করে, হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন বাতিল করেছে।
শুনানির নির্ধারিত তারিখে অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলীসহ দলের আইনজীবীদের ঘন ঘন অনুপস্থিতির কারণে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বরখাস্তের আদেশ দেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় ইসি।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরীকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
আবেদনে তারা বলেন, জামায়াত একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হরতাল উপলক্ষে বিএনপি ও জোটের সমাবেশ
১০ মাস আগে
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল: দলের আপিল খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রবিবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর দায়ের করা লিভ-টু-আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানির নির্ধারিত তারিখে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীসহ দলের আইনজীবীদের ঘন ঘন অনুপস্থিতির কারণে এ খারিজের আদেশ দেন।
আইনজীবী এ জে আলীর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান রবিবার শুনানির জন্য সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
রিট আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট তানিয়া আমির বলেন, খারিজের আদেশের পর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায় কার্যকর থাকবে।
জামায়াত নিযুক্ত আইনজীবী এ জে আলী তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কাছে এর আগে ছয় সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু আপিল বিভাগ সময় আবেদন নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
পরে গত ১২ নভেম্বর জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর করা আবেদনের শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার না দেওয়া পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে গত ২৬ জুন আইনজীবী তানিয়া আমীর একটি আবেদন করেন।
২০০৯ সালে চাঁদপুরী এবং আরও ২৪ জনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
আবেদনে তারা বলেন, জামায়াত একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
হাইকোর্টের রায়ের পর জামায়াতের নিবন্ধন স্থগিত রাখে ইসি।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসি হাইকোর্টের আদেশ মেনে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ
১০ মাস আগে
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে পিটিআইয়ের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট
৯০ দিনের মধ্যে দেশব্যাপী নির্বাচন চেয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) করা আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানভিত্তিক জিও নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এএনআই।
সাবেক ক্ষমতাসীন জোট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার আগে প্রাসঙ্গিক ফোরামের কাছে না যাওয়ায় আবেদনটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে পিটিআই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে রেজিস্ট্রার বলেছেন, ২৪৮ ধারা অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে পিটিশনের অংশ করা যাবে না।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আরও বলেছেন যে আবেদনকারীর কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে তা ‘পিটিশনে উল্লেখ করা হয়নি। পিটিশনটি ১৮৪/৩ ধারার অধীনে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
পিটিআই গত আগস্টে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল।
আবেদনকারী পিটিআই-এর মহাসচিব ওমর আইয়ুব, সুপ্রিম কোর্টকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলভিকে নির্বাচনের তারিখ দেওয়ার জন্য এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) সেই অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি জারি করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
জিও নিউজ জানিয়েছে, আইয়ুব সংবিধানের ১৮৪(৩) অনুচ্ছেদের অধীনে পিটিশনটি দাখিল করেন এবং আদমশুমারিকে অবৈধ ও বাতিল হিসেবে অনুমোদন দিয়ে ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের সাধারণ স্বার্থ কাউন্সিলের (সিসিআই) সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। এটি ছিল সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা দ্বিতীয় পিটিশন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) সভাপতি আবিদ এস জুবায়েরি সুপ্রিম কোর্টে একই আবেদন করেছিলেন।
জুবায়েরি ব্যারিস্টার আলী জাফরের মাধ্যমে পিটিশনটি দাখিল করেন।
তাতে তিনি ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট তারিখ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিজ্ঞপ্তিটিকে বেআইনি, বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করার অনুরোধ করেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ইসিপি’র প্রস্তাবিত বিজ্ঞপ্তিটিকে বেআইনি ও অকার্যকর ঘোষণা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
পিটিআই আদালতকে অনুরোধ করেছেন, সিন্ধু রাজ্যপালকে সিন্ধু জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং নির্বাচনী সংস্থাকে সেই অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল জারি করতে বলা হবে এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের জন্যও একই নিয়ম মানা হবে।
আরও পড়ুন: আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
জিও নিউজ জানিয়েছে, ইসিপি আরও বলেছে যে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া বিধানসভার নির্বাচন আদালতের রায় অনুসারে এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
পিটিআই পিটিশনে বলেছে, জাতীয় পরিষদের নির্বাচন বিলম্বিত করার অজুহাত হিসেবে ইসিপি’র করা আদমশুমারি ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাকিস্তানভিত্তিক ডন জানিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে একটি চিঠিতে ৬ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন।
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেছেন, তিনি ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অংশীজনদের মধ্যে মতামত বিভক্তের কারণে সিইসিকে প্রেসিডেন্ট এই পরামর্শ দেন।
তিনি সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদও উদ্ধৃত করেছেন।
ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলভী বলেন যে সভাপতিকে বিধানসভা 'বিলুপ্তির তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করার জন্য ক্ষমতা ও আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘তাই অনুচ্ছেদ ৪৮ (৫) অনুসারে জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন সাধারণ পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তারিখের ৮৯তম দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
ডন জানিয়েছে, চিঠিতে আলভি আরও বলেছেন যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সিইসিকে সাংবিধানিক অভিপ্রায় এবং আদেশ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করার জন্য একটি বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার জন্য 'অনুচ্ছেদ ৫১, ২১৮, ২১৯, ২২০ এবং নির্বাচন আইন, ২০১৭'-এর অধীনে নির্ধারিত সমস্ত সাংবিধানিক ও আইনি পদক্ষেপগুলো মেনে চলা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) দায়িত্ব।
১ বছর আগে