বিক্ষোভ মিছিল
বল প্রয়োগ করায় পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রারিক্ত বল প্রয়োগ করা ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেছেন ৭১.৫ শতাংশ মানুষ৷
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত 'কেমন পুলিশ চাই' শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ৷ সেখানেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮.৮ শতাংশ উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কাররের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮.২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সভা-সমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতিগ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি মনে করেন ৫১.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭.৪ শতাংশ। ১০.৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত।
আরও পড়ুন: ‘জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুলিশ সংস্কার জরুরি’
একটি বিষয় স্পষ্ট যে সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশ আয়োজন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন ১৯৭৬ এর ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী পুলিশ কমিশনারকে অনুরুপ সমাবেশ জনস্বার্থে সর্ব্বোচ্চ ৩০ দিন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আয়োজনে পূর্বানুমতি গ্রহণের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে ৭১.২ ভাগ উত্তরদাতা বিধানটির পরিবর্তন চান।
জরিপে দেখা যায়, উত্তরদাতাদের শতকরা ৮২.৫ শতাংশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন। উত্তরদাতাদের ৪৬.২ শতাংশ ধারাটি যুগোপযুগী সংস্কার চান। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযুগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন৷ এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের বয়সিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬.৬ শতাংশ৷ উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬.৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭.২ শতাংশ, ব্যাবসায়ী ৭.৬ শতাংশ এবং প্রকৌশলী ৭.১ শতাংশ৷ এসব উত্তরদাতাদের সর্বাধিক ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়৷
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে সর্বাধিক মতামত এসেছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশের পক্ষে৷ এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে নিরপেক্ষ পুলিশ এবং তৃতীয় অবস্থানে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চাই ' এমন ক্যাটাগরিতে মতামত এসেছে৷
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯.৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭.৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
এছাড়া গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত মানবাধিকারের চরম লংঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন ৭৪.৯ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত
২ সপ্তাহ আগে
সিলেটে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি মালিকানার ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পরিশোধ ও পিএফ চাঁদা জমা দেওয়ার দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেবাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ২টায় নগরীর ক্বিন ব্রিজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে মিছিল শুরু করে জিন্দাবাজার প্রদক্ষিণ করে তারা।
এসময় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস যাবত সরকারি মালিকানার এনটিসির ১২টি বাগানের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক মজুরি-রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শ্রমিকরা অন্তবর্তী সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে দাবি জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত ২৬ দিন যাবত লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। কিন্ত তাতেও সরকারের টনক নড়ছে না।
তারা বলেন, মজুরি-রেশন না পেয়ে এনটিসির বাগানসমূহের প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ আজ অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির সময়ে দৈনিক মাত্র ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে এমনিতেই চা-শ্রমিকদের অর্ধাহার-অনাহারে কাটাতে হয়। তার উপর যদি শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে শ্রমিকদের কি অবস্থায় পড়তে হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু এনটিসির বাগানই নয়, সমগ্র চা-শিল্পের শ্রমিকরা আজ কঠিন সময় পার করছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর চা-শ্রমিকদের মজুরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চললেও ২০২৩-২৪ সালের মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি। এব্যাপারে অতীতের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বিকার। অনেক বাগানে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রায়ই আটকে রাখা হচ্ছে।
এনটিসি, দেউন্দি টি কোম্পানি, সিলেট টি কোম্পানিসহ তারাপুর, ফুলতলা, ইমাম-বাওয়ানী, মোমিনছড়াসহ ব্যক্তিমালিকাধীন চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন ঠিক মতো পরিশোধ করা হচ্ছে না। আবার মাসের পর মাস চা-শ্রমিকদের পিএফ চাঁদাও ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া হচ্ছে না। মজুরি পরিশোধের ক্ষেত্রে চা-শ্রমিকরা নানা রকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আইন অনুযায়ী ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের মজুরি স্থায়ী শ্রমিকের সমান হলেও অনেক বাগানে কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে এবং উৎসব বোনাস সকল শ্রমিকের সমান হলেও হাজিরার উপর নির্ভর করে বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঠকানো হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের এই সকল বঞ্চনার ব্যাপারে মালিক-সরকার ও দালাল নেতারা নির্বিকার। তাই চা-শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার এই কঠিন সময়ে অতীতের শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হতে হবে।
সিলেট জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা, নারী চা-শ্রমিক লক্ষ্মী রানী বাক্তি, হোটেল শ্রমিকনেতা সাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিকনেতা রুহুল আমিন, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে চা-শ্রমিক নেতারা সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ও উৎপাদনে সক্রিয় থাকার প্রয়োজনে বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে ৬ সদস্যের পরিবারে ভরণ পোষণের খরচ হিসাব করে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের জন্য নিন্মতম মজুরি নির্ধারণ এবং একটি পরিবারের সাপ্তাহিক প্রয়োজনের অনুপাতে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, চা-পাতাসহ পূর্ণ রেশন প্রদান, ভূমির অধিকার প্রদান, চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, বকেয়া মজুরিসহ নিয়মিত সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি-রেশন পরিশোধ, প্রতি মাসের পিএফ চাঁদা ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, উৎপাদনে ধস
১ মাস আগে
গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি ও খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনির বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে 'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন এক পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে 'মোবোক্রেসি'কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই নৃসংশ মৃত্যু হয়েছে।
বিকেল থেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রাস্তায় নেমে আসেন। সন্ধ্যায় তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট'। ছাত্র রাজনীতি গণপিটুনির মূল কারণ নয়। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসন প্রতিটি হল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে 'স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ' ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন হলের আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা জড়িতদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
একই সঙ্গে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
৩ মাস আগে
ঢাকা উত্তর আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত
‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস’র বিরুদ্ধে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে শান্তি সমাবেশ করার কথা জানালেও তা বাতিল করে এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বিএনপির তাদের পুরোনো চরিত্রে ফিরে গেছে। আমরা ১৫০ দিন মাঠে থাকব। সেই ধারাবাহিকতায় থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রলয় সমাদ্দর বাপ্পি ইউএনবিকে বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগ কাউন্টার কর্মসূচি দেওয়াতে সমালোচনার ঝড় ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আগেই বুঝতে পেরেছিল তাদের মাঠ খালি করে দিলে যেকোনো সময় ঢাকা শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং ক্ষতি করবে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাই করেছে।
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে রবিবার (২১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ এক বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকেও হত্যার অনেক চেষ্টা হয়েছে। এটি নতুন কিছু নয়, তবে এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয়। এবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অশুভ ইচ্ছার কথা ঘোষণা করার সাহস দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর কিছু হয় কি না তা দেখব না।। আমরা রাজপথে তাদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
নেতাকর্মীদের লাগাম টানতে ১০ দফা নির্দেশনা ঢাবি ছাত্রলীগের
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
শিক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রতিবাদ ও চার বছরের কোর্স বহাল রাখার দাবিতে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের প্রেসক্লাবের সামনের চিলমারী সড়কটি ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে জানান, গত ১৩ আগস্ট ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী চার বছরের কোর্সকে তিন বছর করার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। কারণ স্বল্প সময়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ হবেনা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতাও অর্জিত হবেনা। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে তারা বঞ্চনার শিকার হবেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, হোস্টেল সুবিধা সম্প্রসারণ,ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য উন্নতমানের যন্ত্রাংশ সরবারহের দাবী জানান তারা।
আরও পড়ুন:সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বগুড়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
ফেনীতে হরতালের সমর্থনে হেফাজতের লাঠি মিছিল
সারা দেশে হরতালের সমর্থনে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা ফেনী শহরের বিভিন্ন সড়কে কয়েকদফা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেছে।
রবিবার সকাল থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোটরসাইকেলে চড়ে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা।
সকালে মহিপাল, টাংরোড, একাডেমি রোড, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, মদিনা বাস স্ট্যান্ডসহ শহরের সব জায়গায় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ সময় শহরেও যানবাহন চলাচল করতে বাধা দিতে দেখা যায়। এছাড়া রাস্তার পাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: হাটহাজারীতে সড়ক কেটে অবরোধ
চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় হেফাজতের বিক্ষোভ
এদিকে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শহরের প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিক মাহমুদ বলেন, ‘শহরে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেই দিকে আমরা সতর্ক আছি। আমরা শহরের প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করেছি। এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন: হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত ৪
মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে যুবলীগের বিক্ষোভ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগ।
৪ বছর আগে
ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন
নৌপথে সন্ত্রাস বন্ধ এবং বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
৪ বছর আগে
‘মুজিব বর্ষে মোদি দেশে আসলে বদরের যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি হবে’
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দিল্লিতে মুসলিমদের গণহত্যা-নির্যাতন ও মসজিদে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখা।
৪ বছর আগে