বিক্ষোভ মিছিল
গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজার নিরপরাধ মানুষদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
এসময় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বুকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইহুদিবাদী শক্তি। তারা আমেরিকার মদত পেয়ে বার বার আইন লঙ্ঘন করে চুক্তি অমান্য করে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে অনতিবিলম্বে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।’
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস; স্টপ জেনোসাইড, জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন; নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; নেতানিয়াহুর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; অবৈধ ইসরায়েলের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন; ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে অবৈধ ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। তারা নির্বিচারে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যা করছে। আমরা এ-ও দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদীদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোমরা যদি নিরপরাধ মানুষদের উপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধ না করো, তাহলে দুইশত কোটি মুসলমান তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে লাখো ফিলিস্তিনের রক্তের দাগ লেগে আছে। তাদের ইতিহাস বেইমানির ইতিহাস, তাদের ইতিহাস অবাধ্যতার ইতিহাস। তারা আল্লাহর সাথে বার বার বেইমানি, অবাধ্যতা করেছে। জাতি হিসাবে তারা অকৃতজ্ঞ, অভিশপ্ত। অথচ তারা আজ সভ্যতার নীতিকথা শোনায়। এটা অত্যন্ত লজ্জার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমান। আমরা মরতে ভয় পাই না, আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ইতিহাস, ইহুদিবাদী অপশক্তিকে রুখে দিয়ে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের মাটিতে আবারো আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণ আজকে নিজ দেশে পরবাসীর মতো বসবাস করছেন। উদ্বাস্তু হয়ে বিশ্বের নানান প্রান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোয় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা আজ নিজ ভূমি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন জায়নবাদী অপশক্তিদের কারণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফসোস করে বলতে হয়, যারা সভ্যতার বুলি আওড়ায় তারা ফিলিস্তিনের বেলায় চুপ হয়ে যায়। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই যতদিন না ফিলিস্তিনের উপর হামলা বন্ধ হবে, ততদিন প্রতিবাদ চলমান থাকবে।’
১২ ঘণ্টা আগে
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার বটতলায় এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘লীগ গেছে যে পথে, দল যাবে সেই পথে’; ‘টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা’; ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’; ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাস করে দুই দল, লীগ আর ছাত্রদল’; ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘চাঁদাবাজি না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা’; ‘ছাত্রদল হামলা করে, ইন্টিরিম কি করে’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জাবি ক্যাম্পাস।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র নাহিদ হাসান ইমন বলেন, ‘দেশের কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে মসনদে বসানোর জন্য দেশের জনগণ আন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থান করেনি। আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বিএনপি এবং ছাত্রদলকে অনুরোধ করছি, তারা যেন আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিস্ট না হয়। যদি তারা তেমন করে, তবে তাদেরও আওয়ামী লীগের মতোই পরিণতি হবে।’
আরও পড়ুন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে তিনজনের সাজা
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, ’আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এই নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে কেউ পার পাবে না। আমরা ছাত্রদলকে বলে দিতে চাই, আপনারা জুলাইকে ভুলে যাবার চেষ্টা করবেন না। আপনারা জুলাইকে ধারণ করুন। আপনারাও আমাদের সাথে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে স্বৈরাচার পতনে ভূমিকা রেখেছেন। আপনারা এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে গেলে হাসিনার মতোই অবস্থা হবে আপনাদের।’
সমাবেশে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আজকে কুয়েটে যখন আমার ভাইদেরকে হামলা করা হয়, তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। কুয়েটে সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একটি লোভী রাজনৈতিক দল দেশের মানুষকে নিয়ে বিভ্রান্তির রাজনীতি করছে। আমরা আপনাদের বলে দিতে চাই, সাত মাস আগে স্বৈরাচারকে হটাতে আমাদের বেশি সময় লাগেনি, আপনারা যদি এভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখেন তাহলে আপনাদেরকেও ক্যাম্পাস থেকে বিতারিত করতে আমাদের সময় লাগবে না।’
৩০ দিন আগে
আজহারের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে মিছিল-সমাবেশ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজাহারুর ইসলামের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াত এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
খাগড়াছড়ি শহরের মহাজনপাড়ার চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরে শাপলা চত্ত্বর হয়ে কোট বিল্ডিং ঘুরে এসে শাপলা চত্ত্বর মুক্ত মঞ্চে এক সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর খাগড়াছড়ি জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, সেক্রেটারি মিনহাজুল রহমান, খাগড়াছড়ি সদরের আমির মো. ইলিয়াস, অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী।
এ সময় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা তাদের পাঁচ নেতাকর্মীকে অন্যাভাবে ফাঁসি দিয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছর অন্যায়ভাবে বহু নেতাকর্মীকে কারাবরণ করতে হয়েছে। অনেক অন্যায় সহ্য করতে হয়েছে। এ সকল অন্যায়ের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
তারা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটিএম আজাহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন নেতারা। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেন বক্তারা।
এ সময় ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
৩০ দিন আগে
জাবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাবি, ১৩ ফেব্রুয়ারি, (ইউএনবি)— গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত দল আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিল শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তারা। এ সময় তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান এবং আওয়ামী লীগের বিষয়ে বর্তমান সরকারের ‘নীরবতার’ সমালোচনা করেন।
সমাবেশে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘বহু মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে, কিন্তু এই হতাহতের জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অনুতাপ নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন এবং প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন।’
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন আগামী ২১ মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে: জাবি উপাচার্য
সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু এই চব্বিশেই ফ্যাসিস্ট হয়নি, তারা ১৯৭৫ সালেও ফ্যাসিস্ট ছিল। পরপর তিনটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে।’
এ কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম লিমন বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৩ শতাংশ শিশু শহিদ হয়েছে।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা শিশুদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করতে পারে, সেই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সহযোগী ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।’
জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাতের আধারে ভোট কেটে সকালে ভোটের মুলা ঝোলানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, একদল মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য। আমরা বলে দিতে চাই, কোনো প্রকার টালবাহানা আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
৩৫ দিন আগে
বল প্রয়োগ করায় পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রারিক্ত বল প্রয়োগ করা ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেছেন ৭১.৫ শতাংশ মানুষ৷
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত 'কেমন পুলিশ চাই' শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ৷ সেখানেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮.৮ শতাংশ উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কাররের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮.২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সভা-সমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতিগ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি মনে করেন ৫১.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭.৪ শতাংশ। ১০.৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত।
আরও পড়ুন: ‘জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুলিশ সংস্কার জরুরি’
একটি বিষয় স্পষ্ট যে সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশ আয়োজন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন ১৯৭৬ এর ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী পুলিশ কমিশনারকে অনুরুপ সমাবেশ জনস্বার্থে সর্ব্বোচ্চ ৩০ দিন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আয়োজনে পূর্বানুমতি গ্রহণের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে ৭১.২ ভাগ উত্তরদাতা বিধানটির পরিবর্তন চান।
জরিপে দেখা যায়, উত্তরদাতাদের শতকরা ৮২.৫ শতাংশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন। উত্তরদাতাদের ৪৬.২ শতাংশ ধারাটি যুগোপযুগী সংস্কার চান। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযুগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন৷ এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের বয়সিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬.৬ শতাংশ৷ উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬.৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭.২ শতাংশ, ব্যাবসায়ী ৭.৬ শতাংশ এবং প্রকৌশলী ৭.১ শতাংশ৷ এসব উত্তরদাতাদের সর্বাধিক ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়৷
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে সর্বাধিক মতামত এসেছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশের পক্ষে৷ এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে নিরপেক্ষ পুলিশ এবং তৃতীয় অবস্থানে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চাই ' এমন ক্যাটাগরিতে মতামত এসেছে৷
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯.৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭.৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
এছাড়া গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত মানবাধিকারের চরম লংঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন ৭৪.৯ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত
১০৭ দিন আগে
সিলেটে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবিতে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি মালিকানার ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পরিশোধ ও পিএফ চাঁদা জমা দেওয়ার দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেবাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ২টায় নগরীর ক্বিন ব্রিজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে মিছিল শুরু করে জিন্দাবাজার প্রদক্ষিণ করে তারা।
এসময় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস যাবত সরকারি মালিকানার এনটিসির ১২টি বাগানের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক মজুরি-রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শ্রমিকরা অন্তবর্তী সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে দাবি জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত ২৬ দিন যাবত লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। কিন্ত তাতেও সরকারের টনক নড়ছে না।
তারা বলেন, মজুরি-রেশন না পেয়ে এনটিসির বাগানসমূহের প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ আজ অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির সময়ে দৈনিক মাত্র ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে এমনিতেই চা-শ্রমিকদের অর্ধাহার-অনাহারে কাটাতে হয়। তার উপর যদি শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে শ্রমিকদের কি অবস্থায় পড়তে হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু এনটিসির বাগানই নয়, সমগ্র চা-শিল্পের শ্রমিকরা আজ কঠিন সময় পার করছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর চা-শ্রমিকদের মজুরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চললেও ২০২৩-২৪ সালের মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি। এব্যাপারে অতীতের ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বিকার। অনেক বাগানে চা-শ্রমিকদের মজুরি প্রায়ই আটকে রাখা হচ্ছে।
এনটিসি, দেউন্দি টি কোম্পানি, সিলেট টি কোম্পানিসহ তারাপুর, ফুলতলা, ইমাম-বাওয়ানী, মোমিনছড়াসহ ব্যক্তিমালিকাধীন চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন ঠিক মতো পরিশোধ করা হচ্ছে না। আবার মাসের পর মাস চা-শ্রমিকদের পিএফ চাঁদাও ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া হচ্ছে না। মজুরি পরিশোধের ক্ষেত্রে চা-শ্রমিকরা নানা রকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আইন অনুযায়ী ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের মজুরি স্থায়ী শ্রমিকের সমান হলেও অনেক বাগানে কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে এবং উৎসব বোনাস সকল শ্রমিকের সমান হলেও হাজিরার উপর নির্ভর করে বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঠকানো হচ্ছে। চা-শ্রমিকদের এই সকল বঞ্চনার ব্যাপারে মালিক-সরকার ও দালাল নেতারা নির্বিকার। তাই চা-শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার এই কঠিন সময়ে অতীতের শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হতে হবে।
সিলেট জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা, নারী চা-শ্রমিক লক্ষ্মী রানী বাক্তি, হোটেল শ্রমিকনেতা সাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিকনেতা রুহুল আমিন, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে চা-শ্রমিক নেতারা সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ও উৎপাদনে সক্রিয় থাকার প্রয়োজনে বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে ৬ সদস্যের পরিবারে ভরণ পোষণের খরচ হিসাব করে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের জন্য নিন্মতম মজুরি নির্ধারণ এবং একটি পরিবারের সাপ্তাহিক প্রয়োজনের অনুপাতে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, চা-পাতাসহ পূর্ণ রেশন প্রদান, ভূমির অধিকার প্রদান, চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, বকেয়া মজুরিসহ নিয়মিত সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি-রেশন পরিশোধ, প্রতি মাসের পিএফ চাঁদা ফান্ড অফিসে জমা দেওয়া এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, উৎপাদনে ধস
১২৫ দিন আগে
গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি ও খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনির বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে 'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন এক পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে 'মোবোক্রেসি'কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই নৃসংশ মৃত্যু হয়েছে।
বিকেল থেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রাস্তায় নেমে আসেন। সন্ধ্যায় তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট'। ছাত্র রাজনীতি গণপিটুনির মূল কারণ নয়। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসন প্রতিটি হল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে 'স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ' ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন হলের আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা জড়িতদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
একই সঙ্গে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
১৮২ দিন আগে
ঢাকা উত্তর আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত
‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস’র বিরুদ্ধে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে শান্তি সমাবেশ করার কথা জানালেও তা বাতিল করে এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বিএনপির তাদের পুরোনো চরিত্রে ফিরে গেছে। আমরা ১৫০ দিন মাঠে থাকব। সেই ধারাবাহিকতায় থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রলয় সমাদ্দর বাপ্পি ইউএনবিকে বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগ কাউন্টার কর্মসূচি দেওয়াতে সমালোচনার ঝড় ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আগেই বুঝতে পেরেছিল তাদের মাঠ খালি করে দিলে যেকোনো সময় ঢাকা শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং ক্ষতি করবে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাই করেছে।
৫৯৮ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে রবিবার (২১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ এক বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকেও হত্যার অনেক চেষ্টা হয়েছে। এটি নতুন কিছু নয়, তবে এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয়। এবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অশুভ ইচ্ছার কথা ঘোষণা করার সাহস দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর কিছু হয় কি না তা দেখব না।। আমরা রাজপথে তাদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
নেতাকর্মীদের লাগাম টানতে ১০ দফা নির্দেশনা ঢাবি ছাত্রলীগের
৬৬৮ দিন আগে
কুড়িগ্রামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
শিক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রতিবাদ ও চার বছরের কোর্স বহাল রাখার দাবিতে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের প্রেসক্লাবের সামনের চিলমারী সড়কটি ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে জানান, গত ১৩ আগস্ট ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী চার বছরের কোর্সকে তিন বছর করার যে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। কারণ স্বল্প সময়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ হবেনা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতাও অর্জিত হবেনা। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে তারা বঞ্চনার শিকার হবেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, হোস্টেল সুবিধা সম্প্রসারণ,ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য উন্নতমানের যন্ত্রাংশ সরবারহের দাবী জানান তারা।
আরও পড়ুন:সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বগুড়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৯৪০ দিন আগে