শাড়ি অপছন্দ
ভোলায় বরের আনা শাড়ি অপছন্দ হওয়ায় কনে পক্ষের হামলা, আহত ১৫
ভোলার সদর উপজেলায় বিয়ের কনের জন্য আনা শাড়ি ও প্রসাধনী পছন্দ না হওয়ায় বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বর মো. সজিবসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত ছয়জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শেরে বাংলা এলাকায় কনের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জেরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ভেস্তে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকালি গ্রামের আবুর ছেলে সজিব এক বছর আগে বিয়ে করেন পাশের ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিপাকে। সজিব নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। নতুন বউ ঘরে তোলার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দুপুরে শাড়ি ও অন্যান্য উপহারসামগ্রী নিয়ে তিনি কনের বাড়িতে যান।
তবে বরপক্ষের আনা কাপড় ও প্রসাধনী কনে পক্ষের অপছন্দ হলে সজিবের বড় ভাইয়ের সঙ্গে কনে পরিবারের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
কনে পক্ষের লোকজন বর ও তার স্বজনদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। সংঘর্ষ চলাকালীন কনে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বরসহ তার সঙ্গীদের মারধর করে বের করে দেয়। এ সময় বর সজিব, জাহিদ, অন্তু, মো. সোহেল, ফাতেমা ও ময়না গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত ৩০, আটক ৫০
বর সজিব বলেন, ‘ছোট একটি বিষয় নিয়ে কনে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে কনের বাবা শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। শাহাবুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদৎ মো. হাছনাইন পারভেজ জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯১ দিন আগে