দক্ষতা
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
তরুণদের বিপণনযোগ্য কাজের দক্ষতা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক করবে: মাইকেল শিফার
ইউএসএআইডির এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, ‘বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে, এদেশের তরুণরা দেশকে আরও প্রতিযোগিতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারবে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী এশিয়ান টাইগার – 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার' হিসেবে তারা দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
দক্ষতা ও শক্তির অত্যাশ্চর্য প্রদর্শনী বাংলাদেশের বক্সিং গর্ব সুরা কৃষ্ণ চাকমার। যিনি পরিচিত তার বিদ্যুৎগতির হাতের জন্য। আজ ব্যাংককে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভূতপূর্ব জয় অর্জন করেছেন সুরা কৃষ্ণ চাকমা।
স্পেসপ্লাস ভেন্যুতে থাইল্যান্ডের প্রধান প্রোমোটার হাইল্যান্ড প্রোমোশনস আয়োজিত বহুল প্রত্যাশিত ইভেন্ট, "ওয়ে অব দ্য চ্যাম্পিয়নস: রোয়ার অব ড্রাগনস"-এ লাইটওয়েট বিভাগে থাই প্রতিযোগী সোরনরাম সোপাকুলের মুখোমুখি হয়েছেন "জুম্মো রক" নামে পরিচিত সুরা কৃষ্ণ।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: রংপুরকে হারিয়ে বরিশালের জয়
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ছয় রাউন্ডের জন্য নির্ধারিত এই বাউটটি নাটকীয়ভাবে সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডের মাত্র ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে নকআউট দেন সুরা কৃষ্ণ। তার শক্তিশালী ঘুষি এবং সূক্ষ্ণ ধাক্কার দেওয়ার দুর্দান্ত সংমিশ্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। এর মধ্যে দিয়েই ফুটে উঠে তার বক্সিং দক্ষতা।
এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের অধীনে সুপার লাইটওয়েট আন্তঃমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সুরা কৃষ্ণের বিজয় অর্জন এই জয়ের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী বক্সিং আইকন হিসেবে তার অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আদনান হারুন ও ভাইস চেয়ারম্যান আরমান হকসহ আরও অনেকে। তারা সুরা কৃষ্ণের অসাধারণ কীর্তি উদযাপন করেন।
হারুন তার বিবৃতিতে অত্যন্ত গর্ব প্রকাশ করে বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রচারে আমাদের দেশের সেরা লাইটওয়েট বক্সারের জয়ের সাক্ষী হওয়া আমাদের জন্য আনন্দের এবং গর্বের মুহূর্ত।’
টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দেশের বক্সারদের প্রতিভা তুলে ধরে ১০টি বাউট অনুষ্ঠিত হয়।
ডব্লিউবিএ (ওয়ার্ল্ড বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন) এশিয়া ও এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশন উভয়ই ইভেন্টটির প্রতিযোগিতায় ক্রীড়াবিদদের মান বজায় রেখেছিল।
আরও পড়ুন: শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা সানিয়া মির্জার পরিবারের
চোখের সমস্যায় সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাকিব
শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জীবনে অগ্রগতি করতে হলে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্যারিয়ার গড়ার একটি ছোট অংশ মাত্র। জীবনে উন্নতি করতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।’
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে 'লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এ এন এম ফখরুল আমিন ফরহাদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ও খাদিজা আক্তার উর্মি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান বলেন, 'আমরা আমাদের মনের দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আমাদের মনোবিজ্ঞানের অনেক প্রভাব রয়েছে। এজন্য মানসিক সুস্থতা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আমাদের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয় থাকতে শারীরিক ব্যায়ামের বিকল্প নেই।’
এটুআই প্রোগ্রামের হেড অব সোশ্যাল ইনোভেশন মানিক মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও কর্মজীবনের দক্ষতার বিশাল ব্যবধান সম্পর্কে সচেতন নয়। ‘কর্মজীবন সম্পর্কে দক্ষতার অভাবের কারণে তারা কর্মস্থলে সমস্যার সম্মুখীন হয়।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমান বলেন, 'দক্ষতার বিষয়টি আমরা কখনই উপেক্ষা করতে পারি না। ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেলসহ অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং আমাদের এটি গুরুত্বসহকারে শিখতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি: মোস্তাফা জব্বার
মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে এ শিক্ষা কার্যক্রম।
তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা থাকছে না। মূল্যায়ন করা হবে পারদর্শিতার সূচকে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘বিদেশিদের ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপু মনি
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তারা মহাচিন্তায় পড়ে গেছেন যে তাদের সন্তানরা কীভাবে চাকরি পাবে?
তিনি বলেন, শিক্ষাজীবনের কোনো ফলাফল তাদের সন্তানদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসবে না- এমনটাও অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করেছি। সেটা হলো- চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে পাদর্শিতার মূল্যায়ন করা হবে। পারদর্শিতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পারদর্শিতার ভিত্তিতে চাকরির প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা ঠিক করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি আমরা। এটি চলমান। নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ে শিক্ষার্থীরা যখন চাকরিজীবনে প্রবেশ শুরু করবে, তখন নতুন পদ্ধতিতে তাদের নিয়োগ হবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণই নেই।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আরেকটা গুজব ও অপপ্রচার হলো- তাদের সন্তানরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করছি এ শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করবে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার ভোগান্তি হবে না। আমরা ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) করছি। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-চীন একসঙ্গে কাজ করবে: দীপু মনি
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
শুধুমাত্র বিনোদন প্রদানের ভনিতায় আবির্ভূত ইউটিউব নামটি এখন দিনযাপনের অর্থ। তাই একে ঘিরে মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করাটা যুগের সহজাত ধারণা। মুঠো ভরা তথ্যের ওপর সামাজিক মাপকাঠির নির্ভরশীলতা তথ্যকে পরিণত করেছে পণ্যে। আর এরই নিরীখেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রজন্মের সেরা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব কেন্দ্রিক পেশাগুলো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ভিডিও, আর তার প্রধান কাঁচামালের যোগান দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। তাই ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং এর প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, এই সৃজনশীল পেশার নানা দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং কী
স্ক্রিপ্ট রাইটিং বা পান্ডুলিপি লিখন হলো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য নির্ধারিত তথ্যগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে লেখা। প্রতিটি দৃশ্যে ক্রমান্বয়ে যা যা দেখানো, শোনানো এবং বোঝানো হবে, তার সামগ্রিক লিখিত রূপ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট।
পাঠ্য, স্থির চিত্র, ও চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় কন্টেন্টের সংমিশ্রণ স্পষ্টভাবে লেখা হয় এতে। মুলত ছকে বাঁধা লেখাগুলো অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ভাবে নির্মাণ করা হয় কন্টেন্ট।
এর আরেক নাম চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনরাইটিং, যেটা সাধারণত মুভি বা মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর পরিধি টিভি নাটক, গেমস, তথ্যচিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এমনকি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও লেখা হয়ে থাকে পান্ডুলিপি।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
ভিডিও স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি তথ্যের উপস্থিতি
একটি পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারে। এতে করে পূর্ব পরিকল্পিত ও প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গুছিয়ে কথা বলা
আগে থেকে একটি স্ক্রিপ্ট ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটার ওপর সময় নিয়ে কথা বলার চর্চা করা যায়। এভাবে চূড়ান্ত ভিডিওর সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কন্টেন্টের গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কথা বলা রেকর্ডিং-এও সময় কম প্রয়োজন হয়।
সময়ের হিসাব
একটি নিক্ষুত স্ক্রিপ্টে প্রতিটি দৃশ্যে নির্ধারিত কথাগুলো বলার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দৃশ্য আলাদা করে রেকর্ড করার সময় পুনঃ পুনঃ অনুশীলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে পুরো কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের বেলায়ও সময়ের হেরফের হয় না।
ধারাবাহিকতা বজায়
যে কোন কন্টেন্টের ক্ষেত্রেই একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তার গুণগত মান বৃদ্ধির পরিচায়ক। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এর স্ক্রিপ্ট বিভিন্ন ফুটেজ, শব্দ, স্থিরচিত্র, ও স্পেশাল ইফেক্ট সহ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইউটিউব ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে ইউটিউব। নাটক-সিনেমার মানের জন্যও এখন গুরুত্ব দেয়া হয় লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারকে, যেগুলো মুলত এই প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্য করে এখন মুক্তি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কন্টেন্ট। তাই সঙ্গত কারণেই এগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারদের চাহিদা বাড়ছে। শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম নির্ভর লেখালেখিই পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র এক পেশায়।
নিউজ ও পাবলিশিং কোম্পানি, তথ্যচিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য তৈরি করছে ইউটিউব চ্যানেল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে পান্ডুলিপি লেখকদের চাহিদা।
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা হলো সম্পূর্ণ অভিনব ধারণার অবতারণা করা। অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক চ্যানেল মালিকের নতুন নতুন কন্টেন্ট বানানোর প্রবণতা থাকে। আর তখনি তাদের সরণাপন্ন হতে হয় পান্ডুলিপি লেখকদের। নতুন ধারণা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বিষয়বস্তু দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, এই চিত্তাকর্ষণের জায়গাতেও তাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
গবেষণা ও বিশ্লেষণ
তথ্য হচ্ছে স্ক্রিপ্টের মুল জীবনী শক্তি। তাই লেখকদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে বের করা, অতঃপর সেই তথ্যের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ যাচাইও এই দক্ষতার অন্তর্ভূক্ত।
গল্প বলা
এটি এমন এক দক্ষতা যা প্রতিটি লেখকেরই থাকা আবশ্যক। লেখা পড়েই যদি কোন পাঠকের গল্প শোনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাহলেই কন্টেন্ট সফল হওয়ার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটুকু থাকে কারিগরির জায়গাতে। জটিল রকেট সায়েন্স থেকে শুরু করে বিপণন বিজ্ঞাপন সবকিছুই চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় সুনিপুণ গল্প বলার মাধ্যমে।
সংলাপ তৈরি
পান্ডুলিপি মানেই সংলাপ আকারে পুরো ধারা বর্ণনা করা। ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মনোলগ পর্যন্ত সবকিছু হবে কথোপোকথন আকারে। এটি স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মূল হাতিয়ার, কারণ এর মাধ্যমে একটি দৃশ্য কতটুকু প্রাণবন্ত তা ফুটে উঠে।
প্রুফরিডিং ও রিরাইটিং
যে কোন লেখা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি লেখকের উচিত তা কয়েকবার পড়ে দেখা। এ সময় ব্যাকরণজনিত নানা ছোট খাটো ভুল ধরা পড়ে। অনেক কষ্ট করে একটি পান্ডুলিপি শেষ করার পরেও ক্লায়েন্টের কাছে তা নির্ভুলভাবে পরিবেশন না করা গেলে সব কষ্টই বৃথা। অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নতুন শর্ত জুড়ে দিলে সামগ্রিক লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই লেখককে রিরাইটিং-এ দক্ষ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
ধৈর্যশক্তি
যে মাধ্যমের জন্যই হোক না কেন; পুরো একটি পান্ডুলিপি শেষ করা বেশ ধৈর্য্যের কাজ। প্রথমত সৃজনশীল এই কাজে জোর-জবরদস্তির কোনও সুযোগ নেই। এরপর শেষ করার পর পুনরায় তার মান যাচাই করাতেও যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তাই লেখার কাজে ধৈর্য্যশীলতার কোনও বিকল্প নেই।
দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতির কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি দেখা দেয়ার কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর আয়োজনে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের পর সম্প্রতি সময়ে পুলিশের পাঁচজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের এ (অবসরে পাঠানো) বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া যাদের বয়স ২৫ বছর হয়ে যায় যাদের দক্ষতায় ঘাটতি পড়ে যায়, তাদের যদি দেশপ্রেমে ঘাটতি পড়ে যায়; তখন তাদের অনেক আগে থেকেই এ ব্যবস্থাটা নেয়া হচ্ছে। সেই পর্যায়ে তাদের দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি ছিল বলে ডিপার্টমেন্ট থেকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশপ্রেমের ঘাটতিকে আপনারা অ্যালার্মিং মনে করেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যালার্মিং মনে করব কেন, সরকারের কাছে কিছুই অ্যালার্মিং নয়। সরকার যদি মনে করেন তার দক্ষতার ঘাটতি হয়েছে, তাকে দিয়ে কাজ হবে না। খামাখা একটা পোস্ট দখল করে রাখবে কেন? আরেকজন সেই পদে দিয়ে তার দক্ষতা দিয়ে আরও বেশি সেবা দিতে পারবে। সেজন্য এ কাজটি করা।’
গত ১৮ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি (টিআর) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরীকে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবসরে পাঠানো হয়। তাদের অবসরে পাঠিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওইদিন সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. আলমগীর ও ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহবুব হাকিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বাধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘শিখো’র সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার ফলে ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মের রাইডাররা আরও সহজে শিখোর দক্ষতা বৃদ্ধির কোর্সগুলো সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন।
এ চুক্তির আওতায় ফুডপ্যান্ডার রাইডাররা শিখোর বিভিন্ন ধরনের কোর্সে বিশেষ ছাড় পাবেন। এ কোর্সগুলোতে মাইক্রোসফট অফিস, রিজিউমি বিল্ডিং ও ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এর মতো দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ফলে যেসব শিক্ষার্থী রাইডার হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন তাদের জন্য এ কোর্সগুলো প্রাসঙ্গিক হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা বলেন, ‘বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং নিজেদের এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রযুক্তি বিপ্লবে বাংলাদেশকে প্রস্তুত করার জন্য আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষা এবং রিমোট লার্নিং এর সমান সুযোগ পায় না। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার- শিখোর এ লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সমর্থন দিতে পারায় আমরা উচ্ছ্বসিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
বিশেষ ছাড়ে এ কোর্সগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার পর রাইডারদের সম্মাননা হিসেবে ও স্বীকৃতি স্বরুপ সার্টিফিকেট দেবে শিখো। যা তারা তাদের পরবর্তী কর্মজীবনে ব্যবহার করতে পারবেন।
এ চুক্তি প্রসঙ্গে শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও শাহির চৌধুরী বলেন,‘ফুডপ্যান্ডার রাইডারদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সহায়তা দেয়ার জন্য এ চুক্তির ফলে আমরা উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত।’
শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের অপারেশনস ডিরেক্টর খন্দকার আন্দালিব হাসান মাসনুন, হেড অব লজিস্টিকস মোহাম্মদ তাবরিজ খান, অপারেশনস ম্যানেজার সাহিদা ফাতেমা, পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আমবিরীন এস জামান, শিখো’র হেড অব বিজনেস স্কিলস প্রফেশনালস ইয়ানুর ইসলাম পিয়াস ও প্রজেক্ট ম্যানেজার জায়েদ রহমান।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
স্বপ্ন ও ফুডপ্যান্ডার গ্রোসারি ডেলিভারি সেবা প্যান্ডামার্ট’র যাত্রা শুরু
তরুণদের উদ্যোক্তা হতে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশের জনমিতিক সুবিধাকে লভ্যাংশে পরিণত করতে সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ২২ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে যুক্ত হয়। তারা যেন শুধু চাকরি খোঁজার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠে সে জন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনমিতিক লভ্যাংশকে কাজে লাগিয়ে রূপকল্প ২০৪১ অর্জন করে দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে চায়।
তিনি বলেন, দেশের তরুণদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। এজন্য আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থ বাঁচাতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কথা ভুলে যান: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী রয়েছে। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনমিতিক সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চায় তরুণরা বিশ্ববাজারে তাদের সম্ভাবনাকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে যেন কাজে লাগায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে চাই।’
শেখ হাসিনা বিশ্ববাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে জনশক্তির প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দেশ-বিদেশ থেকে বিনিয়োগ চায় যেখানে দক্ষ জনশক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে ও বৈচিত্র্য আনতে হবে। আমাদের রপ্তানি বাস্কেট প্রসারিত করতে হবে।’
তিনি কর্মকর্তাদের নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং তাদের চাহিদা খুঁজে বের করতে বলেন যাতে বাংলাদেশ সেই অনুযায়ী রপ্তানি পণ্য তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নতুন পণ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজারও পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু আমরা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাব না। আমরা অন্যান্য দেশেও বিনিয়োগ করতে পারি। এই সবের জন্য আমাদের দক্ষ জনবল দরকার।’
তরুণ প্রজন্মকে শুধু সনদ পাওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান তিনি। যাতে করে তারা নিজেদের উদ্যোগ শুরু করতে পারে এবং অন্যদের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে।
তিনি বলেন, অনেক তরুণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে চাকরির পেছনে ছুটে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তরুণ প্রজন্ম যেন দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠে।’
আরও পড়ুন: আবারও জীবনের সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা অনুশীলন করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের তরুণদের বেকারত্ব দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে দক্ষতার ব্যবধান চিহ্নিতকরণ ও কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষতার ফাঁকা জায়গাগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবনী ও দক্ষ থাকার জন্য দ্রুত উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন করে সাজাতে হবে।’
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড (আইসি৪আইআর)-২০২১’ বিষয়ক দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রেজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি, যা দক্ষতার অমিলকে নির্দেশ করে। আমাদের চাকরির বাজারে বিদেশিরা আধিপত্য বিস্তার করছে, বিশেষ করে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে, কর্পোরেট সংস্থা এবং বহু-জাতিক কোম্পানিতে। এই প্রবণতার ফলে বাংলাদেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রেমিটেন্স আউটফ্লো হয়।’
সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ আসবে
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থানীয় ও বৈশ্বিক চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ যদিও আমরা কৃষি, অটোমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং এবং অন্যান্য অনেক খাতে ক্রমবর্ধমান উন্নতি করছি। তবে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে আরও বেশি জোর দিতে হবে।’
সম্মেলনের পাশাপাশি আরও দুটি ইভেন্ট হচ্ছে- ‘মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্ট’ এবং ‘মুজিব ১০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিবিট’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপ-শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৈষম্য দূর করতে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির