দক্ষতা
বন্যা মোকাবিলায় এনজিওগুলোর দক্ষতা কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চলমান বন্যা পরিস্থিতি এবং বন্যা পরবর্তী কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় এনজিওগুলোর স্থানীয় জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ‘এনজিওগুলো বাংলাদেশের শক্তি। তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সেটা করতে পারি। আমাদের সমন্বিতভাবে বন্যা মোকাবিলা করতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে এনজিও প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান শফিউল আলম।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে এমন এনজিওগুলো বৈঠকে অংশ নেয়। সভায় ক্ষুদ্র ও কমিউনিটি পর্যায়ের সংগঠনসহ প্রায় ৪৪টি এনজিওকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে সব অংশীদারের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সমন্বিতভাবে পুনর্বাসন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে আলম বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় মানুষ যেভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, একইভাবে এখনো উদ্বুদ্ধ হয়েছে দেখে আমরা অভিভূত।’
দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির চমকপ্রদ দৃশ্যের কথাও উল্লেখ করেন।
আলম বলেন, বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, টেলিকম সংযোগ এবং বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এনজিওগুলো সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুনর্গঠনেও এনজিওগুলো ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের প্রধান ফারাহ কবির, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ সালেহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে এনজিওগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
তিনি বলেন, প্রয়োজন যাচাইবাছাই করা হবে। তারা কার্যকর সমন্বয়ের দিকে মনোনিবেশ করবেন, যাতে ত্রাণ সামগ্রী প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়।
আসিফ বলেন, ‘এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রয়োজন। প্রবাসীদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের আরেকটি বিষয়েও আলোচনা হয়। সেখানে চ্যানেল তৈরির সুযোগ রয়েছে। অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের তহবিল সংগ্রহ করতে হবে।’
সমন্বিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা চাহিদা নিরূপণ শুরু করেছেন এবং চাহিদা নিরূপণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের সুযোগ রয়েছে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা এগিয়ে আসছেন।
স্বাস্থ্য ও খাদ্য সংকট সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে আসিফ বলেন, 'এখন পর্যন্ত নেওয়া উদ্যোগ দেখে আমরা অভিভূত। আমরা আমাদের আইডিয়া শেয়ার করলাম। যেহেতু আমরা মাঠে কাজ করছি তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
জাতীয়, জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সম্পৃক্ত করে কিছু কর্মপরিকল্পনা ও সমন্বয়ের বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
সমন্বিত ব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে আসিফ বলেন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, দাতাদের সঙ্গে সমন্বয়ের সুযোগ রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দাতা সংস্থাগুলোকেও আমন্ত্রণ জানাবেন।
আসিফ বলেন, যেকোনো মানবিক সংকটে তথ্য ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত উচ্চ পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
৩ মাস আগে
লবিং-রেফারেন্স ছাড়াই চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় কিছু দক্ষতা
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজার, সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে বাজারের চাহিদাগুলো। এরপরেও লবিং ও রেফারেন্সের মতো চিরাচরিত বিষয়গুলো প্রায়ই প্রার্থীদের মৌলিক দক্ষতা ও যোগ্যতাকে ছাপিয়ে যায়। ফলে সঠিক জানাশোনা বা সুপারিশ ছাড়া চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করতে যেয়ে তাদেরকে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এই বিড়ম্বনাগুলোকে পাশ কাটানোর জন্য দক্ষতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিৎ। চাকরি ক্ষেত্রে যে সক্ষমতাগুলো দুর্লভ ঠিক সেই দক্ষতাগুলোকে অর্জন করা সম্ভব হলে আলাদা করে আর কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। চলুন, চাকুরী পেতে রেফারেন্স বা লবিংয়ের বিকল্প হতে পারে এমন কিছু অপরিহার্য দক্ষতার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
যে দক্ষতাগুলো চাকরি পেতে লবিং বা রেফারেন্সের বিকল্প হিসেবে কাজ করে
ব্র্যান্ডিং
লাখ লাখ প্রতিযোগীদের ভিড়ে আলাদাভাবে নিজেকে প্রকাশ করার একটি মোক্ষম উপায় হচ্ছে সেল্ফ-ব্র্যান্ডিং। এটি একজন ব্যক্তির কাজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও অর্জনগুলো পরিবেশনের মাধ্যমে তার একটি স্বতন্ত্র পেশাদার পরিচয় তৈরি করে। এর ফলে নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির নিয়োগকর্তারা তাদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তিটিকে খুঁজে নিতে পারেন।
বর্তমানে অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আরও কার্যকরভাবে ব্র্যান্ডিং করা যায়। একটি পেশাদার লিঙ্কডইন প্রোফাইল, একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও বর্তমানে ডিজিটাল ব্র্যান্ডিংয়ের পরিচয় বহন করে। জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি কেন্দ্রিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ও ফোরামগুলোতে সক্রিয় থাকার মাধ্যমেও ব্র্যান্ডিং করা যায়।
এভাবে অনলাইনে ব্যক্তির পেশাগত অবস্থিতি নিয়োগকর্তার কাছে তাকে দৃশ্যমান করে তোলে। এছাড়া জব পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিত্তিতে নিয়োগকর্তা ও চাকরি প্রার্থীদের একত্রিত করে। এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেও সুবিধা থাকে রিজুমি, সিভি ও ডিজিটাল পোর্টফোলিওর মাধ্যমে সেল্ফ-ব্র্যান্ডিংয়ের।
আরও পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
যোগাযোগের দক্ষতা
শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়; জীবনের যে কোনো কাজের জন্য সঠিকভাবে যোগাযোগ করা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা। এটি মূলত মৌখিক ও লিখিত- এই দুইভাগে বিভিক্ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আচরণগত ভাষা মৌখিক যোগাযোগকে সহজে বোধগম্য করে তোলে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নামে পরিচিত এই ধরনটি মূলত দেহের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কোনো কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে। হাত বা মাথা নাড়ানোর সঙ্গে মুখের কথার সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।
একটি পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য এই সঙ্গতি অপরিহার্য। কেননা একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে বক্তার কথা বলা, আর দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে শ্রোতার প্রত্যুত্তর। এই জবাবে শ্রোতা বক্তার কথা বুঝেছেন কি না তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
সাক্ষাৎকার, মিটিং বা আড্ডার সময় মৌখিক যোগাযোগের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। আর লিখিত যোগাযোগ সক্ষমতা কাজে লাগে ইমেইল, প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পেশাদার নথির খসড়া তৈরির সময়। বলার সময় কথা ও লেখার সময় বাক্য যত স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হয় ততই তা শ্রোতা বা পাঠকের জন্য সহজ হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে সব ধরনের মানুষের বোঝার নিমিত্তে সার্বজনীনতা বজায় রাখা আবশ্যক।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত সাধারণ দায়িত্বগুলোতে আলাদা মান যুক্ত হয় সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে। এই দক্ষতার মধ্যে রয়েছে সঠিক সমস্যাটি শনাক্ত করা, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তা বিশ্লেষণ করা এবং কার্যকর সমাধানটি বের করে সেই সমস্যাটির যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে যেভাবে কথা বলবেন
নিয়োগকর্তারা এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করেন, যারা অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর একটি সৃজনশীল সমাধান বের করতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিরা প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহের সময় তার খুটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সমাধানের ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হন। এতে বিশদ গবেষণা ও সুচিন্তার প্রয়োজন থাকলেও যারা যত দ্রুত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন তারা প্রতিযোগিতায় তত বেশি এগিয়ে থাকেন।
যে কোনো পরিবেশে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া
শুধুমাত্র নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়, নতুন পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়া অভিজ্ঞ লোকদের জন্যও জরুরি। কেননা প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। প্রতিনিয়ত সামনে আসছে নতুন নতুন শর্ত, নতুন পদ্ধতি ও নতুন পরিস্থিতি। আর সেই সঙ্গে পুরনো দায়িত্বের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে নতুন দায়িত্ব। এমন পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে প্রায়ই প্রয়োজন হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে নতুন কিছু শিখে নেওয়া।
যারা নিজেদের আরামপ্রদ জায়গাটি একবার খুঁজে পাওয়ার পর সেখান থেকে আর বেরতে চান না, তারা এই অবস্থায় সমূহ বিড়ম্বনার শিকার হন। কারণ এক সময় যে কাজ বা দক্ষতাটি বেশ চাহিদা সম্পন্ন ছিল, কয়েক বছরের মধ্যে তার বাজার আর নাও থাকতে পারে। আর তাই ক্যারিয়ারের অগ্রগতির আরেক অর্থ হচ্ছে অভিযোজন ক্ষমতা।
দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রবণতা
একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মানেই অনেক লোকের সমাগম। আর যে কাজে যত বেশি লোক জড়িত থাকে সে কাজে তত বেশি প্রয়োজন হয় সংগঠনের ক্ষমতা। এর জন্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির মনস্তত্ব ভালোভাবে বোঝার দরকার হয়। এর ধারাবাহিকতায় আরও যুক্ত হয় কাজের পদ্ধতিগত নির্দেশনা প্রদান, কাজ ভাগ করে সমবন্টন ও কোনো সমস্যা হলে সহযোগিতা করা। অর্থাৎ এখানে একসঙ্গে দুটি দক্ষতার প্রয়োজন- এক, যোগাযোগ এবং দুই, সমস্যা সমাধান।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
একাধিক মানুষের কারবার থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ছোট-বড় দ্বন্দ্বের ব্যাপার থাকে। তাই এখানে দরকার হয় সমঝোতা, আপোস ও গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার। সহকর্মীদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা হলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয় ও সেই সঙ্গে কাজের প্রতি সন্তুষ্টিও থাকে।
সময়ানুবর্তিতা
যে কোনো উৎপাদনশীলতাকে তার স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দিতে পারে সময়ানুবর্তিতা। জীবনের নানা ক্ষেত্রে সারাদিনে কাজের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে ঠিক করে দেওয়া লক্ষ্যকে অর্জন করতেও অনেক বেগ পেতে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুয়েকটা কাজ বেশি সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও অন্যান্যদের থেকে একটু এগিয়ে থাকা যায়। এরকম কাজের চাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজগুলোকে আগে-পরে সাজানো উচিৎ।
প্রত্যেকটি কাজের জন্য ঠিক করতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময়। অতঃপর সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই নির্দিষ্ট কাজটি করার ক্ষেত্রে বদ্ধ পরিকর থাকতে হবে। এভাবে প্রতিদিন নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া যেতে পারে।
মধ্যস্থতা বা আপোসের দক্ষতা
বিভিন্ন পেশাগত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক ফলাফল অর্জনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপোসের দক্ষতা। চাকরির ইন্টারভিউয়ে বেতন, নতুন বিনিয়োগ বা ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, কিংবা নানা ধরনের প্রকল্পের শর্তাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। এমনকি প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ তথা পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য এই দক্ষতা থাকার আবশ্যক। এই দক্ষতার এক বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে সঠিক যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
এর সঙ্গে যুক্ত হয় কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং প্রত্যেক পক্ষের চাহিদার ব্যাপারে সম্যক ধারণা। এখানে সার্বিকভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোকে উপজীব্য করে আলোচনায় দৃঢ়তা রাখা জরুরি। তবে সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় কূটনৈতিক আলোচনা যেন দ্বন্দ্বের দিকে পরিচালিত না করে।
আত্মবিশ্বাস
এটি এমন এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য যার অভাবে যথেষ্ট পারদর্শিতা থাকার পরেও নিমেষেই তা মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিজের কর্মক্ষমতার ব্যাপারে দৃঢ় ভাবে অবস্থান নিতে এবং তার কাজ সংক্রান্ত ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারে। এতে করে যিনি কাজ দিচ্ছেন তিনি সেই ব্যক্তির উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
যে কোনো জরুরি অবস্থায় এ ধরনের ব্যক্তিরা তার আশেপাশের লোকদের পরম নির্ভরতার খোরাক যোগান। একটি টিমে কোনো সদস্য যখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন, তখন তার সহকর্মীরা লক্ষ্য অর্জনে নিশ্চয়তা বোধ করেন। এই মানসিকতা তাদের প্রত্যেকের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করার ইন্ধন যোগায়।
ডিজিটাল সাক্ষরতা
বর্তমানের প্রযুক্তি-নির্ভর কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগের জায়গা দখল করে নিচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার। এমনকি যে প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ কোনো ভাবেই জড়িত নয়, সেগুলোতেও এখন হরহামেশাই ব্যবহার হচ্ছে নানান ধরনের ডিজিটাল টুল্স।
আরও পড়ুন: চাকরির ইন্টারভিউয়ে নিজেকে শান্ত রাখার উপায়
মাইক্রোসফ্ট অফিস, গুগল ওয়ার্কস্পেস, হোয়াট্সঅ্যাপ এবং জুমের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালানোর দক্ষতা কোনো চাকরি বিজ্ঞপ্তিতে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয় না। নিদেনপক্ষে ধরেই নেওয়া হয় যে কম্পিউটার কিবোর্ড টাইপ করার মতো এই বিষয়গুলোতেও প্রার্থীর অভ্যস্ততা রয়েছে। তাছাড়া ইন্টারনেট নির্ভর দুনিয়ায় ডিজিটাল সাক্ষরতা না থাকলে চাকরির জন্য সেল্ফ-ব্র্যান্ডিং ও যে কোনো মুহূর্তে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব নয়।
পেশাদারিত্ব
ইন্ডাস্ট্রি ভেদে প্রতিটি কাজেরই রয়েছে কিছু নিজস্ব নীতিমালা। এই নিয়মগুলোর আঙ্গিকে একজন ব্যক্তি তার কাজের প্রতি কতটা নিবেদিত তা যাচাই করা হয়। যেমন প্রতিষ্ঠানগত আচরণপ্রথা, সময়ানুবর্তিতা, উপযুক্ত পোশাক, গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত আবেগের বশবর্তী হয়ে বিচার না করা। এগুলো কেবল কর্মজীবনের জন্য পৃথক কোনো বৈশিষ্ট্য নয়। বরং শিক্ষা জীবন থেকে একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তির মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এগুলোর আবির্ভাব ঘটে।
বিশেষ করে অনুকরণ প্রক্রিয়াটি শৈশব থেকেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনেকেই অফিসের অদ্ভূত নিয়ম-কানুনেও অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে। এখানে সেই অভিযোজন ক্ষমতাও চলে আসে, যা বিশেষ করে শিক্ষানবীশদের জন্য অতীব জরুরি। তাছাড়া এই গুণাবলী সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক তৈরিতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।
শেষাংশ
এই দক্ষতাগুলোর সঠিক প্রদর্শনের মাধ্যমে লবিং বা রেফারেন্স নির্ভর চাকরির বাজারের দৃশ্যপটে অনেকটাই পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বিশেষ করে ডিজিটাল সাক্ষরতার সঙ্গে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে নিজের ব্র্যান্ডিং করাটা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ উপযোগী। কেননা এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলার পূর্বেই তার ব্যাপারে সম্যক ধারণা লাভের চেষ্টা করে। এখানে যাচাই হয়ে যায়- প্রার্থী কি কি সমস্যা সমাধানে পটু, কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেছে, এবং তাতে কতটুকু সুসংঘটিত থাকার বিষয় ছিল।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
পরিশেষে সরাসরি সাক্ষাতের সময় এই ধারণাগুলো প্রতিফলনের পাশাপাশি দেখে নেওয়া হয় তার আপোস করার ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও পেশাদারিত্ব। এই দক্ষতাগুলো কেবল চাকরি পাওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারও পরে কর্মজীবনে উত্তরোত্তর অগ্রগতির জন্যও সহায়ক।
৪ মাস আগে
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে: ফারুক খান
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণ করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সংস্থার সেবা সমূহ জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, গতিশীলতা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি দপ্তর/সংস্থা চুক্তিতে উল্লেখিত কাজ গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করব প্রতিটি দপ্তর এই প্রতিশ্রুতি পালনে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করবে।’
ফারুক খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে সারা বছর এই চুক্তিতে উল্লেখিত কাজ কতটা সম্পাদিত হলো তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে। সময়ে সময়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে তাগিদ দেওয়া হবে। যারা সঠিকভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা এবং বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্ই করেন।
আরও পড়ুন: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
৪ মাস আগে
দেশে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন আয়ের উৎস তৈরি এবং দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে মোবাইল সংযোগ
কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং ফ্রিল্যান্স থেকে বাড়তি উপার্জনের জন্য মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ।
’টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এশিয়া জুড়ে ৮ হাজার মানুষ এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৬ জনই বলছেন, তারা দিনের অর্ধেকেরও বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
একইসঙ্গে ৬২ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
মূলত কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনেই (৭৫ শতাংশ) মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। এর পরেই কারণ হিসেবে রয়েছে দৈনন্দিন কেনাকাটা, রিটেইল ও ব্যাংকিংয়ের-এর মত অনলাইন সেবা গ্রহণ (৬৭%)।
সমীক্ষায় আরও উঠে আসে যে ৯৬ শতাংশ মানুষের মতে, মোবাইল ফোন তাদের কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যকে উন্নত করেছে।
টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ এক্সটার্নাল রিলেশনস মনীষা ডোগরা বলেন, ‘মোবাইল প্রযুক্তি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং এই দেশে মোবাইল ফোন যেভাবে মানসম্মত ডিজিটাল জীবনধারার জন্য অপরিহার্য হয়েছে উঠছে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের মানুষ মোবাইল সংযোগের প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন এবং নতুন সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এই ইতিবাচক মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে এবং ব্যক্তি, ব্যবসা ও সমাজের জন্য এআইয়ের মতো নতুন নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।’
এই সমীক্ষায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি এবং নতুন আয়ের পথ তৈরিতে মোবাইল ফোন এবং মোবাইল প্রযুক্তির প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
আশ্চর্যজনকভাবে ৯৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, গত পাঁচ বছরে কর্মক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা এবং কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আর ৮২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
সমীক্ষায় জানা যায়, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন পরামর্শদাতারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন। কারণ প্রতি ১০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬ জনই বলেছেন, তারা অনলাইনে এই ধরনের সেবা প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ করা হয় যে, বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো জেনারেটিভ এআই-এর মতো নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা যে কোম্পানিতে কাজ করেন সে কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তি এবং জেনারেটিভ এআই ব্যবহারকে সমর্থন করেন এবং প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) বিশ্বাস করেন যে, আগামী ছয় মাসে জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বাড়বে।
উত্তরদাতাদের ৮৬ শতাংশের মতে, মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের কর্মজীবন এবং দক্ষতা বিকাশে সহায়ক হয়েছে এবং ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা গত ১২ মাসে নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন।
ডিজিটাল দক্ষতায় আত্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, পুরুষ ও নারী উত্তরদাতাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা ভিন্ন।
সাধারণত পুরুষ উত্তরদাতারা তাদের ডিজিটাল দক্ষতার ওপর বেশি আত্মবিশ্বাসী (৭৩ শতাংশ পুরুষ বনাম ৫৮ শতাংশ নারী তাদের ডিজিটাল দক্ষতায় ’খুব আত্মবিশ্বাসী’) এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার বিষয়ে কম উদ্বিগ্ন (২৮ শতাংশ পুরুষ বনাম ১৫ শতাংশ নারীর কথায় বোঝা যায় যে, তারা এ ব্যাপারে ’ উদ্বিগ্ন নয়’)।
টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি। ডিজিটাল পণ্য ও সেবা ব্যবহারে সবাই আত্মবিশ্বাসী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠলে এবং সবাই নিরাপদে ডিজিটাল কনটেন্টের নির্মাতা ও ভোক্তা হয়ে উঠতে পারলেই তা সম্ভব হবে। সকল ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও ব্যবসা যেন মোবাইল সংযোগ, উন্নত ডেটা সেবা এবং এআইয়ের মতো উদীয়মান প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।’
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এক প্রবাসী চুরি করলেন আরেক প্রবাসীর মোবাইল-পাসপোর্ট
চিরকুটে মোবাইল নম্বর দিয়ে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি
৬ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বিজিৎ চন্দ।
তিনি বলেন, এ খাতের সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও গ্রাজুয়েটদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে ইউজিসি।
ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ ও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিসি) মধ্যকার এক মতবিনিময় সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বিজিৎ চন্দ এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পবিপ্রবি ভিসি ও ইউজিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক চন্দ বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে ওরিয়েন্টশন কর্মশালা আয়োজনসহ উপাচার্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত মায়েরাসহ দেশের বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা গেলে বিশ্ব শ্রমবাজারে নিজেরাই কাজ খুঁজে নিতে পারবে।
অন্যদিকে, উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করতে পারবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. তানজিবা রহমান বলেন, দক্ষতাই একমাত্র টেকসই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে। আগামীতে বিশ্বের শ্রমবাজার বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হবে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলতে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. তানজিবা রহমানসহ ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ এবং বিএফডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউজিসি
৬ মাস আগে
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
৮ মাস আগে
তরুণদের বিপণনযোগ্য কাজের দক্ষতা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক করবে: মাইকেল শিফার
ইউএসএআইডির এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, ‘বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে, এদেশের তরুণরা দেশকে আরও প্রতিযোগিতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারবে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী এশিয়ান টাইগার – 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার' হিসেবে তারা দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
৯ মাস আগে
ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
দক্ষতা ও শক্তির অত্যাশ্চর্য প্রদর্শনী বাংলাদেশের বক্সিং গর্ব সুরা কৃষ্ণ চাকমার। যিনি পরিচিত তার বিদ্যুৎগতির হাতের জন্য। আজ ব্যাংককে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভূতপূর্ব জয় অর্জন করেছেন সুরা কৃষ্ণ চাকমা।
স্পেসপ্লাস ভেন্যুতে থাইল্যান্ডের প্রধান প্রোমোটার হাইল্যান্ড প্রোমোশনস আয়োজিত বহুল প্রত্যাশিত ইভেন্ট, "ওয়ে অব দ্য চ্যাম্পিয়নস: রোয়ার অব ড্রাগনস"-এ লাইটওয়েট বিভাগে থাই প্রতিযোগী সোরনরাম সোপাকুলের মুখোমুখি হয়েছেন "জুম্মো রক" নামে পরিচিত সুরা কৃষ্ণ।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: রংপুরকে হারিয়ে বরিশালের জয়
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ছয় রাউন্ডের জন্য নির্ধারিত এই বাউটটি নাটকীয়ভাবে সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডের মাত্র ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে নকআউট দেন সুরা কৃষ্ণ। তার শক্তিশালী ঘুষি এবং সূক্ষ্ণ ধাক্কার দেওয়ার দুর্দান্ত সংমিশ্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। এর মধ্যে দিয়েই ফুটে উঠে তার বক্সিং দক্ষতা।
এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের অধীনে সুপার লাইটওয়েট আন্তঃমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সুরা কৃষ্ণের বিজয় অর্জন এই জয়ের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী বক্সিং আইকন হিসেবে তার অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আদনান হারুন ও ভাইস চেয়ারম্যান আরমান হকসহ আরও অনেকে। তারা সুরা কৃষ্ণের অসাধারণ কীর্তি উদযাপন করেন।
হারুন তার বিবৃতিতে অত্যন্ত গর্ব প্রকাশ করে বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রচারে আমাদের দেশের সেরা লাইটওয়েট বক্সারের জয়ের সাক্ষী হওয়া আমাদের জন্য আনন্দের এবং গর্বের মুহূর্ত।’
টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দেশের বক্সারদের প্রতিভা তুলে ধরে ১০টি বাউট অনুষ্ঠিত হয়।
ডব্লিউবিএ (ওয়ার্ল্ড বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন) এশিয়া ও এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশন উভয়ই ইভেন্টটির প্রতিযোগিতায় ক্রীড়াবিদদের মান বজায় রেখেছিল।
আরও পড়ুন: শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা সানিয়া মির্জার পরিবারের
চোখের সমস্যায় সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাকিব
৯ মাস আগে
শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জীবনে অগ্রগতি করতে হলে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্যারিয়ার গড়ার একটি ছোট অংশ মাত্র। জীবনে উন্নতি করতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।’
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে 'লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এ এন এম ফখরুল আমিন ফরহাদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ও খাদিজা আক্তার উর্মি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান বলেন, 'আমরা আমাদের মনের দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আমাদের মনোবিজ্ঞানের অনেক প্রভাব রয়েছে। এজন্য মানসিক সুস্থতা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আমাদের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয় থাকতে শারীরিক ব্যায়ামের বিকল্প নেই।’
এটুআই প্রোগ্রামের হেড অব সোশ্যাল ইনোভেশন মানিক মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও কর্মজীবনের দক্ষতার বিশাল ব্যবধান সম্পর্কে সচেতন নয়। ‘কর্মজীবন সম্পর্কে দক্ষতার অভাবের কারণে তারা কর্মস্থলে সমস্যার সম্মুখীন হয়।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমান বলেন, 'দক্ষতার বিষয়টি আমরা কখনই উপেক্ষা করতে পারি না। ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেলসহ অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং আমাদের এটি গুরুত্বসহকারে শিখতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি: মোস্তাফা জব্বার
মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে এ শিক্ষা কার্যক্রম।
তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা থাকছে না। মূল্যায়ন করা হবে পারদর্শিতার সূচকে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘বিদেশিদের ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপু মনি
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তারা মহাচিন্তায় পড়ে গেছেন যে তাদের সন্তানরা কীভাবে চাকরি পাবে?
তিনি বলেন, শিক্ষাজীবনের কোনো ফলাফল তাদের সন্তানদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসবে না- এমনটাও অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করেছি। সেটা হলো- চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে পাদর্শিতার মূল্যায়ন করা হবে। পারদর্শিতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পারদর্শিতার ভিত্তিতে চাকরির প্রক্রিয়া কেমন হবে, তা ঠিক করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি আমরা। এটি চলমান। নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ে শিক্ষার্থীরা যখন চাকরিজীবনে প্রবেশ শুরু করবে, তখন নতুন পদ্ধতিতে তাদের নিয়োগ হবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণই নেই।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আরেকটা গুজব ও অপপ্রচার হলো- তাদের সন্তানরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করছি এ শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করবে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার ভোগান্তি হবে না। আমরা ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) করছি। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-চীন একসঙ্গে কাজ করবে: দীপু মনি
১ বছর আগে