গণমিনার
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ‘গণমিনার’ নির্মাণের উদ্যোগ
২৪’র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মরণে সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমিনার’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’। কমিটিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানায় আয়োজক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আয়োজক কমিটির সদস্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুতফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খোরশেদ আলম ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্থপতি কামার আহমাদ সাইমন প্রমুখ।
আয়োজকরা বলেন, গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটিতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হচ্ছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক এই নাগরিক উদ্যোগটির লক্ষ্য হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান এবং শহীদদের স্মৃতিকে স্মারক রূপে সংরক্ষণ করা— যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানুষের মধ্যে আত্মত্যাগ ও প্রতিরোধের চেতনা সঞ্চারিত হয়।
‘গণমিনারের’ স্থান হিসেবে রাজধানীর বীর উত্তম মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান রোড (পুরাতন বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী লিঙ্ক রোড) ও বিজয় সরণির মধ্যবর্তী সবুজ চত্বরকে নির্বাচন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ওই জমি বরাদ্দ, অর্থ ও প্রকৌশল সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১ হাজার ৪০০ শহীদের নাম ও পরিচিতি খোদাই করে প্রস্তাবিত ‘গণমিনারে’ সংরক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ২৪’র রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থান ৭১’র স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে: উপদেষ্টা আসিফ
এই ভূখন্ডে গত ২৫০ বছরের প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের ইতিহাস চিত্র ও খোদাইয়ের মাধ্যমে গণমিনারে তুলে ধরার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আয়োজকরা বলেন, এই 'গণমিনার' হবে এমন এক স্মরণস্থল, যা রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে সকল মত ও পথের মানুষের সম্মিলিত গণউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হবে।
গণমানুষের সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে গণচাঁদা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
১৮৬ দিন আগে