টাইগার ব্যাটার
দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ
গলে প্রথম টেস্ট অবিশ্বাস্যভাবে ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য কিছু না হলে যে হারতে চলেছে বাংলাদেশ, তা একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল গতকালই। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারে কি না—শুধু তা-ই দেখার অপেক্ষা ছিল। তবে সেই আশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন ১১৫ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ দিন শুরুর পর মাত্র ৩৪ বলেই গুটিয়ে গিয়েছে টাইগারদের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে কেবল লিটন দাসই আউট হতে বাকি ছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
লিটনের আউটে বাংলাদেশ ১১৭ রানে সাত উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতে পারেন লেজের দিকের ব্যাটাররা। ফলে ৭৮ রান ও এক ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতে হয় নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোং-কে।
প্রথম ইনিংসে কেউ অর্ধশত ছুঁতে না পারলেও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৩ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। এই ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন জয়সুরিয়া।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৮০ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ, যা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ৪৫৮ রান টপকে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, দীনেশ চান্দিমালের ৯৩ ও কুশল মেন্ডিসের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওই রান করে স্বাগতিকরা।
বল হাতে তাইজুল ইসলামও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যা ছিল বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ পাঁচবার পাঁচ উইকেট করে নেওয়ার রেকর্ড। তবে লজ্জাজনক হারে সেই রেকর্ড ম্লান হয়েছে।
টেস্ট ইতিসাসে এটি বাংলাদেশের ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। আর সর্বোচ্চ ৯ বার টাইগারদের এই তেতো অভিজ্ঞতা দিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একই সংখ্যক টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জেতার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। এই রেকর্ডে শ্রীলঙ্কা আজ প্রোটিয়াদের পাশে বসল।
আরও পড়ুন: ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ, ১১৫ রানেই সাজঘরে ৬ টাইগার ব্যাটার
১৬০ দিন আগে
ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ, ১১৫ রানেই সাজঘরে ৬ টাইগার ব্যাটার
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৭ জুন) দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার ২১১ রানের বড় লিডের সামনে নেমে ৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
এ দিন শেষে, উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস ১৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) কলম্বোর সিনহালিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বড় লিড সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার জুটি বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে আসিথা ফারনানদোর শিকার হয়ে ডাগ আউটে ফেরেন এনামুল হক। সঙ্গীকে হারিয়ে সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। পরের ওভারেই প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে কনকাসন সাবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ বলে ১২ রান করা এই টাইগার ওপেনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। মুমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রান করে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মুশফিকুর রহিমও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ফেরেন ৫৩ বলে ২৬ রান করে। শেষ দিকে, ইনিংসের ৩৮তম ওভারে থারিন্দ্য রত্নায়েকের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১১ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হলে আম্পায়ার দিনের শেষ ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
এর আগে, শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারে আবারও ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন পাথুম নিসাঙ্কা। ২৫৪ বল মোকাবিলায় ১৯টি চারের সাহায্যে তিনি করেন ১৫৮ রান। এর আগে গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টেও ১৮৭ রান করেছিলেন তিনি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র দিয়ে শেষ হয়েছিল।
নিসাঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৪ রানের জুটি গড়েন দীনেশ চান্দিমাল, যিনি করেন ৯৩ রান। পরে কুশল মেন্ডিসের ৮৭ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস শ্রীলঙ্কার লিডকে আরও বড় করে তোলে।
দুপুরের সেশনে কয়েকটি উইকেট হারালেও পুরো ইনিংসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল শ্রীলঙ্কার কাছেই।
বাংলাদেশের পক্ষে বাম-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছিলেন একমাত্র উল্লেখযোগ্য বোলার। ৪২.৫ ওভারে ১৩১ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে তিনি দলের হয়ে লড়াই করেন। নাইম হাসান ৩ উইকেট নিলেও ধারাবাহিকতা ছিল না। পেস আক্রমণে এবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা দুজনই ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। শাদমান ইসলাম ৪৬ রান করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ (৩১), তাইজুল ইসলাম (৩৩) ও লিটন দাস (৩৪) কিছু রান যোগ করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।৮০ ওভারে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নেন ৫১ রানে এবং সোনাল দিনুশা ২২ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বিসিবি
বড় লিড কাটিয়ে উঠতে এখন ব্যাট হাতে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচে টিকে থাকতে প্রয়োজন বড় ইনিংস।
১৬০ দিন আগে