ছাত্রদল নেতা নিহত
রংপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
রংপুরের কাউনিয়ায় জমি বন্ধকের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে নিকটাত্মীয়ের ছুরিকাঘাতে হুমায়ুন আহমেদ (২৫) নামের এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হুমায়ুন। তিনি উপজেলার বিনোদন মাঝি গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জহুরুল হক জমি বন্ধক রেখেছিলেন একই গ্রামের আত্মীয় মহির উদ্দিনের কাছে। পরে মহির সেই জমি অন্যের কাছে বেশি দামে বন্ধক দেন। এ নিয়ে ২৩ জুলাই স্থানীয় একটি স্কুলের সামনে হুমায়ুন ও তার ভাই হাছেনুরের সঙ্গে মহির উদ্দিনের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মহির ছুরি দিয়ে হুমায়ুনের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে রংপুর মেডিকেল এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে ছুরিকাঘাত
নিহতের বড় ভাই হাছেনুর অভিযোগ করেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিনোদন মাঝি গ্রামের জহুরুল হক ও মহির উদ্দিন চাচাতো ভাই। জমি বন্ধকের টাকাকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যদিও এটি কাম্য নয়। পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করবে বলে আশা করি।’
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১২৭ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোহরাব মিয়া (২৮) নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷
নিহত সোহরাব কাঠালকান্দি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে ও চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্বামীকে খুন, স্ত্রী আটক
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামের উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠির মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জেরে শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়৷ পরে দুপুরের দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক সোহরাব মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন।
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, কয়েক মাস ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরেই সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৫২ দিন আগে