বায়ুদূষণ
দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিবছর দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী ১৫ লাখেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। যা এই জাতীয় পরিবেশগত ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলোকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক গড়ে ১৫ লাখ ৩০ হাজার মৃত্যুর কারণ এই দাবানলে সৃষ্ট ক্ষতিকারক বায়ুদূষণ।
মৃত্যুর ঘটনাগুলোর ৯০ শতাংশ ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। যার মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও আঞ্চলিক বৈষম্য
বার্ষিক মৃত্যুর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ কার্ডিওভাসকুলার রোগে হয়েছে। ২ লাখ ২০ হাজার মৃত্যু হয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে। দাবানলের সূক্ষ্ম বস্তুকণা হতাহতের ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশের জন্য দায়ী। আর পৃষ্ঠের ওজোন অবশিষ্ট ২২ দশমিক ৪ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী।
গবেষণাটিতে কঠোর আঞ্চলিক বৈষম্য উঠে এসেছে। সাব-সাহারান আফ্রিকায় দাবানলের আগুন-উৎসযুক্ত বায়ু দূষণের সঙ্গে যুক্ত মৃত্যুর সর্বোচ্চ হারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: পেরুর দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
অন্যান্য লেখকরা উল্লেখ করেছেন, ‘উষ্ণ জলবায়ুর কারণে দাবানল ক্রমবর্ধমান ঘন ঘন এবং মারাত্মক হয়ে ওঠার পাশাপাশি জলবায়ু সম্পর্কিত মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত যথেষ্ট স্বাস্থ্যের প্রভাব এবং পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
বৈশ্বিক সমর্থনের আহ্বান
গবেষণায় উচ্চ আয়ের দেশগুলোকে দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো কমাতে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা হিসেবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার পক্ষে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মৃত্যুর হারে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেয়।
লেখকরা যুক্তি দেন, লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ধনী দেশগুলো দরিদ্র অঞ্চলগুলোর কাঁধে থাকা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা কমাতে সহায়তা করতে পারে। যা শেষ পর্যন্ত জলবায়ু সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদ্ধতিতে অবদান রাখতে পারে।
এই বিস্তৃত গবেষণায় সারা বিশ্বের গবেষকরা অবদান রেখেছেন। এটি দাবানলের কারণে বায়ু দূষণের মানবিক ব্যয়কে বোঝার এবং মোকাবিলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করে।
সূত্র: এজেন্সি ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: দাবানলের কারণে ইকুয়েডরের রাজধানীতে জরুরি অবস্থা জারি
৩ সপ্তাহ আগে
উন্নয়নের গতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নের গতি থামিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তবে উন্নয়নের গতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধ জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে গ্র্যান্ড বলরুমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বহু অংশীজনের পরামর্শ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে আসতে দেশে শিল্পায়ন করতে হয়েছে। এ কারণে আমাদের অভ্যন্তরীণ দূষণের হার বেশি। তবে বায়ু দূষণ শুধু আমাদের নিজস্ব ভৌগলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা যদি আমাদের নিজ ভৌগলিক সীমানা দূষণমুক্ত করি তবুও আমাদের বায়ু দূষণমুক্ত হবে না। কারণ সারাবিশ্বে যেভাবে যুদ্ধ হচ্ছে, প্রতিনিয়ত দূষণ হচ্ছে সেগুলো বিভিন্ন উপায়ে আমাদের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
মন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো কোনোরকম জবাবদিহি ছাড়াই অতিমাত্রায় শিল্পায়ন করে পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাদের শিল্পায়নের ফলে পরিবেশের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা মোকাবিলা করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবেশ বিশেষ করে বায়ু দূষণ রোধ জরুরি। এজন্য আইনের যথাযথ ব্যবহার ও বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। প্রতিটি স্তরে সবার মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হলে বায়ু দূষণ রোধে আমরা অনেকটাই এগিয়ে যাব।
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্যান্যদের ব্যক্তিগত পর্যায়ের উদ্যোগ নিতে উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ইম্প্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ্ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস্ (আইইউপিএইচপিএস) প্রজেক্টের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
৬ মাস আগে
বায়ুদূষণে বাড়ছে হাঁপানি রোগী: পরিবেশমন্ত্রী
বায়ুদূষণের কারণে দেশে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দেশে বায়ুদূষণ বেশি হওয়ায় হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি হলে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
এদিন বিকাল ৪টায় অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জনস্বার্থে বায়ুদূষণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে বায়ুদূষণ রোধে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দেশে ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডলের (খুলনা-১) প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বর্তমানে দেশে ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোট ৩৩৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে ৪ হাজার ৪৩৬টি মামলা দায়ের, ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ১ হাজার ১৮০টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ৫ ঘোষণা মেয়র আতিকের
৬ মাস আগে
বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের বেশি বয়সী বাসগুলো ঢাকা শহর থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
রবিবার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া নির্গমন বন্ধ ও উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী না রাখা এবং বায়োমাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করা হবে না। ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ২০ বছরেরও বেশি বয়সী বাসের তালিকা দেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। পরিবহন মালিক সমিতি ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহারের পরিকল্পনা দেবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বরাদ্দ দেওয়া বাজেট দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াশা, সিটি করপোরেশন সমন্বয় করে রাস্তার খননকার্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে সালফারসহ ডিজেল আমদানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্মুক্তভাবে যাতে বর্জ্য পোড়ানো না হয়, সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ বিভাগ নির্মাণকালে নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। রাজউকের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করতে হবে।
এ সময় পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করার নির্দেশও দেন পরিবেশমন্ত্রী।
সভায় আরও ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
৮ মাস আগে
বায়ুদূষণের দায়ে ৭ যানবাহন ও ৬ ইটভাটাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ঘোষিত অভিযানে বায়ুদূষণের দায়ে সাতটি যানবাহন ও ছয়টি ইটভাটা থেকে ২০ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বায়ুদূষণ বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং, ঢাকা মহানগর কার্যালয়, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয় এর উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ হ্রাসে নীতিমালা হচ্ছে
মুন্সিঞ্জের গজারিয়া এলাকায় অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করায় মোবাইল কোর্টে দুইটি ইটভাটা হতে মোট ১০ লাখ টাকা এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর এলাকায় চারটি ইটভাটা হতে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়।
ঢাকার মতিঝিল এলাকায় মোবাইল কোর্টে যানবাহনের কালো ধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে সাতটি যানবাহন হতে হতে মোট ২১ হাজার পাঁচ শত টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং কর্তৃক পরিচালিত বায়ুদূষণ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে জরুরি সমন্বিত পদক্ষেপের তাগিদ বিশ্বব্যাংকের
মেগাপ্রকল্প নির্মাণ এবং আশেপাশের ইটভাটার কারণে ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে: মন্ত্রী
১ বছর আগে
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
দেশের বায়ুদূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেশের সকল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ থেকে পাঠানো চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা, বিশেষ করে অধিক ক্ষতিকর ইটভাটাসমূহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কোনও লাইসেন্স ছাড়াই নতুন তৈরি ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়েছে।
যে জেলাগুলোতে বৈধ ইটভাটার চেয়ে অবৈধ ইটভাটা বেশি, সে জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকগণকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
আজ জারীকৃত অপর এক চিঠিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জেলার সকল সরকারি অফিসসমূহে এবং উপকূলীয় এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ রোধকল্পে মাসিক সভা ও অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভা আয়োজন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাসমূহের হালনাগাদ অবস্থা, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধকল্পে গৃহীত কার্যক্রম এবং পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
বায়ুদূষণ কমাতে গণপরিবহনের ব্যবহার বাড়াতে হবে: মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণজনিত বায়ুদূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনের ব্যবহার বড়াতে হবে।
৪ বছর আগে
মেগাপ্রকল্প নির্মাণ এবং আশেপাশের ইটভাটার কারণে ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে: মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘ঢাকার বায়ুর মানের অবনতি ঘটার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ মেগাপ্রকল্প নির্মাণ। এছাড়াও শহরের আশেপাশে ইটভাটা থেকে যে ধোঁয়া বের হচ্ছে তাতেও বায়ুদূষণ হচ্ছে।’
৪ বছর আগে